Ajker Patrika

ব্যথানাশক ট্যাবলেট যখন ভয়ংকর মাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৩৭
ব্যথানাশক ট্যাবলেট যখন ভয়ংকর মাদক

ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবেই বাজারে এসেছে। সীমিত আকারে সরকারিভাবে উৎপাদনের অনুমতি আছে একটি বিশেষ কোম্পানির। অথচ দীর্ঘদিন ধরে অক্সি-মরফোন ওষুধটি দেশের এক শ্রেণির তরুণ মাদক হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই ওষুধটির অবৈধ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত এমন একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি জানান, ১৯ নভেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি বাবুবাজার এলাকা থেকে এই চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন অক্সি-মরফোনের পাইকারি বিক্রেতা আলমগীর সরকার (৫৮) ও জ্রেড ট্রেড ফার্মেসির মালিক খুচরা বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম (৩৪)। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানাধীন মিটফোর্ড ও ধানমন্ডির সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে ১৩ হাজার পিস অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, দেশে একমাত্র জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদনের অনুমোদন আছে। তবুও সেটা বছরে মাত্র ৫ লাখ উৎপাদন করতে পারবে। জিসকা ওষুধ কোম্পানি এটা উৎপাদন করে বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য। নির্দিষ্ট কিছু প্রতিনিধির মাধ্যমে এগুলো বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া এই ওষুধটি ডাক্তারেরা তাঁদের নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখেন। সেটাও আবার ৬-৭ দিনের নরমাল ডোজ। এই ওষুধ বেশি নিলে মানুষের কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ২০টি বড়ির প্যাকেটের গায়ে ৪০০ টাকা লেখা। কিন্তু অবৈধভাবে বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়। এটা সেবনের অভ্যাস হয়ে গেলে পরে না খেয়ে থাকতে পারে না সেবনকারীরা। এর জন্য টাকা জোগাতে অনেকে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই ওষুধ বিক্রয়ে যাদের অনুমতি আছে তাদের নিয়ম মেনে বিক্রির আহ্বান জানান হাফিজ আক্তার।

হাফিজ আক্তার বলেন, অক্সি-মরফোন মূলত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে (ব্রেইন) কাজ করে। তীব্র ব্যথানাশক হিসেবে ক্যানসার, হার্ট, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য এটাকে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া এই মাদক মস্তিষ্কে প্রচণ্ড আনন্দ অনুভূতি তৈরি করে। শরীরে সাময়িকভাবে দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা ভুলিয়ে দেয়। ব্যথার সিগন্যাল গিয়ে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে না। মস্তিষ্ক বোধহীন অসাড় হয়ে যায়। মূলত মাদকসেবীরা অক্সি-মরফোন গুঁড়ো করে যেকোনো সিরাপ ও পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত