
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি দশকজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাধাগ্রস্ত থাকবে।
‘পোভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট’ নামক বিশ্বব্যাংকের নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে চরম দারিদ্র্য হ্রাসে অগ্রগতি একেবারেই কমে গেছে। মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও উন্নয়নের পথে বিস্তৃত নানা সংকট চরম দারিদ্র্য বাড়িয়েছে। আর তার সঙ্গে কমিয়েছে সাধারণ সমৃদ্ধি। অর্থাৎ সমৃদ্ধিতে বৈষম্য বেড়েছে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এর অর্থ হলো, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের সামনে ভবিষ্যৎ ম্লান।’
এই সংকট থেকে উত্তরণের পথে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পুঁজির বণ্টন উন্নত করতে হবে। মুদ্রার স্থিতিশীলতা জোরদার ও মধ্যম আয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধি চালু করতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংস্কার আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিশ্বব্যাংকের ধারণার চেয়ে আরও বাজে হতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে সামগ্রিক হালনাগাদ তথ্য নেই; সরকারিভাবে ২০১৬ সালের পর কোনো জরিপ হয়নি; আর করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্যের হার দিগুণ হওয়ার আলামত আগেই মিলেছে।
আজকের পত্রিকাকে সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিডের মারাত্মক প্রভাবের পর কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে “অফিশিয়াল” কোনো ডেটা নেই, যেটা দিয়ে আমরা বলতে পারি দারিদ্র্যের হার কত। ২০২১ সালের শুরুতে সানেমের এক জরিপেও দেখা গিয়েছিল, যে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বিআইডিএসের জরিপেও কাছাকাছি তথ্যই উঠেছিল। কিন্তু সরকার সেটিকে গ্রহণ না করে বলেছে, এগুলো বেসরকারি সংস্থার তথ্য, তাদের পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু সরকারের কাছেও তো কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৬ সালের পর সরকারিভাবে আর কোনো জরিপ হয়নি। দরিদ্রতা নিয়ে সরকার থেকে যা বলা হচ্ছে, তার সবই অনুমানভিত্তিক। হালনাগাদ কোনো ডেটাই যদি না থাকে, দারিদ্র্যের হার কমানো পরের কথা, তার উদ্যোগ নেওয়াই তো সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বড় সংকট হলো—সরকারিভাবে হালনাগাদ ডেটা না থাকা ও তথ্যের অস্বচ্ছতা।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য নির্মূলের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে জিডিপিতে কর রাজস্বের অবদান খুবই কম, সে ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার। কিন্তু হালনাগাদ ও স্বচ্ছ তথ্য থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যায়।
গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেসব কঠিন হোঁচট খেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতির সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। ২০২০ সালে মহামারি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে। ১৯৯০ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ শুরুর পর এই সংখ্যা এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর ফলে ২০২০ সাল শেষে ৭১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের সমপরিমাণ অর্থের ওপর কোনোমতে বেঁচে থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক নতুন বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা মাথাপিছু দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ যাদের আয় এর চেয়ে কম, তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বা চরম দরিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। আগে এই সীমা ছিল ১ ডলার ৯০ সেন্ট। ক্রয়সক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়। আর পিপিপি হলো বিভিন্ন মুদ্রাকে সাধারণ ও তুলনাযোগ্য এককে রূপান্তরে ব্যবহৃত প্রধান ডেটা এবং বিভিন্ন দেশের দামের ভিন্নতার হিসাব। আগের দারিদ্র্যসীমা ২০১৭ সালের পিপিপির ভিত্তিতে নির্ধারিত ছিল। দেশে দেশে দামের ভিন্নতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়ে সময়ে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমাকেও হালনাগাদ করতে হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সাল এমন যুগান্তকারী সময় ছিল, যেখানে বৈশ্বিক আয়ে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মহামারির সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনতে হয়েছে দরিদ্র মানুষদের। দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে গড়ে ৪ শতাংশ আয় হারিয়েছে, যা সর্বোচ্চ ধনীর ২০ শতাংশের ক্ষতির চেয়ে দ্বিগুণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিগতভাবে তিন দিকে বেশি জোর এসেছে প্রতিবেদনে। তা হলো বড় ভর্তুকি এড়িয়ে লক্ষ্যভিত্তিক নগদ বিতরণ বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে নজর দেওয়া ও দরিদ্রদের আঘাত না করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে যত মানুষের কর দেওয়ার কথা, তাঁদের কাছ থেকে সরকার কর আদায় করতে পারছে না। সমাজে যাঁরা বড় শিল্পপতি, তাঁরা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। রাজনৈতিক প্রভাবে অটেকসই প্রকল্পে বা বাস্তবে প্রকল্প না থাকলেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে আর্থিক পরিস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি দশকজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাধাগ্রস্ত থাকবে।
‘পোভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট’ নামক বিশ্বব্যাংকের নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে চরম দারিদ্র্য হ্রাসে অগ্রগতি একেবারেই কমে গেছে। মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও উন্নয়নের পথে বিস্তৃত নানা সংকট চরম দারিদ্র্য বাড়িয়েছে। আর তার সঙ্গে কমিয়েছে সাধারণ সমৃদ্ধি। অর্থাৎ সমৃদ্ধিতে বৈষম্য বেড়েছে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এর অর্থ হলো, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের সামনে ভবিষ্যৎ ম্লান।’
এই সংকট থেকে উত্তরণের পথে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পুঁজির বণ্টন উন্নত করতে হবে। মুদ্রার স্থিতিশীলতা জোরদার ও মধ্যম আয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধি চালু করতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংস্কার আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিশ্বব্যাংকের ধারণার চেয়ে আরও বাজে হতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে সামগ্রিক হালনাগাদ তথ্য নেই; সরকারিভাবে ২০১৬ সালের পর কোনো জরিপ হয়নি; আর করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্যের হার দিগুণ হওয়ার আলামত আগেই মিলেছে।
আজকের পত্রিকাকে সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিডের মারাত্মক প্রভাবের পর কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে “অফিশিয়াল” কোনো ডেটা নেই, যেটা দিয়ে আমরা বলতে পারি দারিদ্র্যের হার কত। ২০২১ সালের শুরুতে সানেমের এক জরিপেও দেখা গিয়েছিল, যে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বিআইডিএসের জরিপেও কাছাকাছি তথ্যই উঠেছিল। কিন্তু সরকার সেটিকে গ্রহণ না করে বলেছে, এগুলো বেসরকারি সংস্থার তথ্য, তাদের পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু সরকারের কাছেও তো কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৬ সালের পর সরকারিভাবে আর কোনো জরিপ হয়নি। দরিদ্রতা নিয়ে সরকার থেকে যা বলা হচ্ছে, তার সবই অনুমানভিত্তিক। হালনাগাদ কোনো ডেটাই যদি না থাকে, দারিদ্র্যের হার কমানো পরের কথা, তার উদ্যোগ নেওয়াই তো সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বড় সংকট হলো—সরকারিভাবে হালনাগাদ ডেটা না থাকা ও তথ্যের অস্বচ্ছতা।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য নির্মূলের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে জিডিপিতে কর রাজস্বের অবদান খুবই কম, সে ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার। কিন্তু হালনাগাদ ও স্বচ্ছ তথ্য থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যায়।
গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেসব কঠিন হোঁচট খেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতির সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। ২০২০ সালে মহামারি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে। ১৯৯০ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ শুরুর পর এই সংখ্যা এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর ফলে ২০২০ সাল শেষে ৭১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের সমপরিমাণ অর্থের ওপর কোনোমতে বেঁচে থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক নতুন বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা মাথাপিছু দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ যাদের আয় এর চেয়ে কম, তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বা চরম দরিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। আগে এই সীমা ছিল ১ ডলার ৯০ সেন্ট। ক্রয়সক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়। আর পিপিপি হলো বিভিন্ন মুদ্রাকে সাধারণ ও তুলনাযোগ্য এককে রূপান্তরে ব্যবহৃত প্রধান ডেটা এবং বিভিন্ন দেশের দামের ভিন্নতার হিসাব। আগের দারিদ্র্যসীমা ২০১৭ সালের পিপিপির ভিত্তিতে নির্ধারিত ছিল। দেশে দেশে দামের ভিন্নতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়ে সময়ে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমাকেও হালনাগাদ করতে হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সাল এমন যুগান্তকারী সময় ছিল, যেখানে বৈশ্বিক আয়ে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মহামারির সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনতে হয়েছে দরিদ্র মানুষদের। দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে গড়ে ৪ শতাংশ আয় হারিয়েছে, যা সর্বোচ্চ ধনীর ২০ শতাংশের ক্ষতির চেয়ে দ্বিগুণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিগতভাবে তিন দিকে বেশি জোর এসেছে প্রতিবেদনে। তা হলো বড় ভর্তুকি এড়িয়ে লক্ষ্যভিত্তিক নগদ বিতরণ বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে নজর দেওয়া ও দরিদ্রদের আঘাত না করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে যত মানুষের কর দেওয়ার কথা, তাঁদের কাছ থেকে সরকার কর আদায় করতে পারছে না। সমাজে যাঁরা বড় শিল্পপতি, তাঁরা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। রাজনৈতিক প্রভাবে অটেকসই প্রকল্পে বা বাস্তবে প্রকল্প না থাকলেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে আর্থিক পরিস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি দশকজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাধাগ্রস্ত থাকবে।
‘পোভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট’ নামক বিশ্বব্যাংকের নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে চরম দারিদ্র্য হ্রাসে অগ্রগতি একেবারেই কমে গেছে। মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও উন্নয়নের পথে বিস্তৃত নানা সংকট চরম দারিদ্র্য বাড়িয়েছে। আর তার সঙ্গে কমিয়েছে সাধারণ সমৃদ্ধি। অর্থাৎ সমৃদ্ধিতে বৈষম্য বেড়েছে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এর অর্থ হলো, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের সামনে ভবিষ্যৎ ম্লান।’
এই সংকট থেকে উত্তরণের পথে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পুঁজির বণ্টন উন্নত করতে হবে। মুদ্রার স্থিতিশীলতা জোরদার ও মধ্যম আয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধি চালু করতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংস্কার আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিশ্বব্যাংকের ধারণার চেয়ে আরও বাজে হতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে সামগ্রিক হালনাগাদ তথ্য নেই; সরকারিভাবে ২০১৬ সালের পর কোনো জরিপ হয়নি; আর করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্যের হার দিগুণ হওয়ার আলামত আগেই মিলেছে।
আজকের পত্রিকাকে সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিডের মারাত্মক প্রভাবের পর কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে “অফিশিয়াল” কোনো ডেটা নেই, যেটা দিয়ে আমরা বলতে পারি দারিদ্র্যের হার কত। ২০২১ সালের শুরুতে সানেমের এক জরিপেও দেখা গিয়েছিল, যে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বিআইডিএসের জরিপেও কাছাকাছি তথ্যই উঠেছিল। কিন্তু সরকার সেটিকে গ্রহণ না করে বলেছে, এগুলো বেসরকারি সংস্থার তথ্য, তাদের পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু সরকারের কাছেও তো কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৬ সালের পর সরকারিভাবে আর কোনো জরিপ হয়নি। দরিদ্রতা নিয়ে সরকার থেকে যা বলা হচ্ছে, তার সবই অনুমানভিত্তিক। হালনাগাদ কোনো ডেটাই যদি না থাকে, দারিদ্র্যের হার কমানো পরের কথা, তার উদ্যোগ নেওয়াই তো সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বড় সংকট হলো—সরকারিভাবে হালনাগাদ ডেটা না থাকা ও তথ্যের অস্বচ্ছতা।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য নির্মূলের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে জিডিপিতে কর রাজস্বের অবদান খুবই কম, সে ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার। কিন্তু হালনাগাদ ও স্বচ্ছ তথ্য থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যায়।
গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেসব কঠিন হোঁচট খেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতির সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। ২০২০ সালে মহামারি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে। ১৯৯০ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ শুরুর পর এই সংখ্যা এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর ফলে ২০২০ সাল শেষে ৭১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের সমপরিমাণ অর্থের ওপর কোনোমতে বেঁচে থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক নতুন বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা মাথাপিছু দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ যাদের আয় এর চেয়ে কম, তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বা চরম দরিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। আগে এই সীমা ছিল ১ ডলার ৯০ সেন্ট। ক্রয়সক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়। আর পিপিপি হলো বিভিন্ন মুদ্রাকে সাধারণ ও তুলনাযোগ্য এককে রূপান্তরে ব্যবহৃত প্রধান ডেটা এবং বিভিন্ন দেশের দামের ভিন্নতার হিসাব। আগের দারিদ্র্যসীমা ২০১৭ সালের পিপিপির ভিত্তিতে নির্ধারিত ছিল। দেশে দেশে দামের ভিন্নতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়ে সময়ে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমাকেও হালনাগাদ করতে হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সাল এমন যুগান্তকারী সময় ছিল, যেখানে বৈশ্বিক আয়ে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মহামারির সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনতে হয়েছে দরিদ্র মানুষদের। দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে গড়ে ৪ শতাংশ আয় হারিয়েছে, যা সর্বোচ্চ ধনীর ২০ শতাংশের ক্ষতির চেয়ে দ্বিগুণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিগতভাবে তিন দিকে বেশি জোর এসেছে প্রতিবেদনে। তা হলো বড় ভর্তুকি এড়িয়ে লক্ষ্যভিত্তিক নগদ বিতরণ বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে নজর দেওয়া ও দরিদ্রদের আঘাত না করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে যত মানুষের কর দেওয়ার কথা, তাঁদের কাছ থেকে সরকার কর আদায় করতে পারছে না। সমাজে যাঁরা বড় শিল্পপতি, তাঁরা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। রাজনৈতিক প্রভাবে অটেকসই প্রকল্পে বা বাস্তবে প্রকল্প না থাকলেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে আর্থিক পরিস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি দশকজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাধাগ্রস্ত থাকবে।
‘পোভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট’ নামক বিশ্বব্যাংকের নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে চরম দারিদ্র্য হ্রাসে অগ্রগতি একেবারেই কমে গেছে। মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও উন্নয়নের পথে বিস্তৃত নানা সংকট চরম দারিদ্র্য বাড়িয়েছে। আর তার সঙ্গে কমিয়েছে সাধারণ সমৃদ্ধি। অর্থাৎ সমৃদ্ধিতে বৈষম্য বেড়েছে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এর অর্থ হলো, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের সামনে ভবিষ্যৎ ম্লান।’
এই সংকট থেকে উত্তরণের পথে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পুঁজির বণ্টন উন্নত করতে হবে। মুদ্রার স্থিতিশীলতা জোরদার ও মধ্যম আয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধি চালু করতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংস্কার আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিশ্বব্যাংকের ধারণার চেয়ে আরও বাজে হতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে সামগ্রিক হালনাগাদ তথ্য নেই; সরকারিভাবে ২০১৬ সালের পর কোনো জরিপ হয়নি; আর করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্যের হার দিগুণ হওয়ার আলামত আগেই মিলেছে।
আজকের পত্রিকাকে সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিডের মারাত্মক প্রভাবের পর কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে “অফিশিয়াল” কোনো ডেটা নেই, যেটা দিয়ে আমরা বলতে পারি দারিদ্র্যের হার কত। ২০২১ সালের শুরুতে সানেমের এক জরিপেও দেখা গিয়েছিল, যে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বিআইডিএসের জরিপেও কাছাকাছি তথ্যই উঠেছিল। কিন্তু সরকার সেটিকে গ্রহণ না করে বলেছে, এগুলো বেসরকারি সংস্থার তথ্য, তাদের পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু সরকারের কাছেও তো কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৬ সালের পর সরকারিভাবে আর কোনো জরিপ হয়নি। দরিদ্রতা নিয়ে সরকার থেকে যা বলা হচ্ছে, তার সবই অনুমানভিত্তিক। হালনাগাদ কোনো ডেটাই যদি না থাকে, দারিদ্র্যের হার কমানো পরের কথা, তার উদ্যোগ নেওয়াই তো সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বড় সংকট হলো—সরকারিভাবে হালনাগাদ ডেটা না থাকা ও তথ্যের অস্বচ্ছতা।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য নির্মূলের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে জিডিপিতে কর রাজস্বের অবদান খুবই কম, সে ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার। কিন্তু হালনাগাদ ও স্বচ্ছ তথ্য থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যায়।
গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেসব কঠিন হোঁচট খেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতির সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। ২০২০ সালে মহামারি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে। ১৯৯০ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ শুরুর পর এই সংখ্যা এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর ফলে ২০২০ সাল শেষে ৭১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের সমপরিমাণ অর্থের ওপর কোনোমতে বেঁচে থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক নতুন বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা মাথাপিছু দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ যাদের আয় এর চেয়ে কম, তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বা চরম দরিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। আগে এই সীমা ছিল ১ ডলার ৯০ সেন্ট। ক্রয়সক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়। আর পিপিপি হলো বিভিন্ন মুদ্রাকে সাধারণ ও তুলনাযোগ্য এককে রূপান্তরে ব্যবহৃত প্রধান ডেটা এবং বিভিন্ন দেশের দামের ভিন্নতার হিসাব। আগের দারিদ্র্যসীমা ২০১৭ সালের পিপিপির ভিত্তিতে নির্ধারিত ছিল। দেশে দেশে দামের ভিন্নতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়ে সময়ে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমাকেও হালনাগাদ করতে হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সাল এমন যুগান্তকারী সময় ছিল, যেখানে বৈশ্বিক আয়ে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মহামারির সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনতে হয়েছে দরিদ্র মানুষদের। দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে গড়ে ৪ শতাংশ আয় হারিয়েছে, যা সর্বোচ্চ ধনীর ২০ শতাংশের ক্ষতির চেয়ে দ্বিগুণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিগতভাবে তিন দিকে বেশি জোর এসেছে প্রতিবেদনে। তা হলো বড় ভর্তুকি এড়িয়ে লক্ষ্যভিত্তিক নগদ বিতরণ বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে নজর দেওয়া ও দরিদ্রদের আঘাত না করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে যত মানুষের কর দেওয়ার কথা, তাঁদের কাছ থেকে সরকার কর আদায় করতে পারছে না। সমাজে যাঁরা বড় শিল্পপতি, তাঁরা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। রাজনৈতিক প্রভাবে অটেকসই প্রকল্পে বা বাস্তবে প্রকল্প না থাকলেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে আর্থিক পরিস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ
০৭ অক্টোবর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ
০৭ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ
০৭ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ
০৭ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫