ক্রীড়া ডেস্ক
একটি চুমু যে এমন বিপদ ডেকে আনবে, সেটি হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি লুইস রুবিয়ালেস। তাঁর স্পেন ফুটবলের রাজকীয় সিংহাসনটা যে এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে! রাতারাতি হয়ে উঠেছেন ‘জাতির শত্রু’ও। বিশ্বকাপ জেতায় আনন্দের আতিশয্যে না হয় চুমু দিয়ে ফেলেছিলেন, তাই বলে এত কিছু ঘটে যাবে!
ইউরোপে ‘চুমু’ এমন কীই-বা আর! প্রেমিক-প্রেমিকা তো রাস্তাঘাটে হাঁটতে-বসতে চুমু খায়। রুবিয়ালেস বাংলা জানলে আত্মপক্ষ সমর্থনে হয়তো কবীর সুমনের গানের কথা ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড করো, প্রেমের পদ্যটাই, বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি, শুধু তোমাকে চাই’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারতেন।
কিন্তু রুবিয়ালেসের এই চুমু কোনো শিশুতোষ অপরাধ নয়! নারী ফুটবলারকে জড়িয়ে ধরে অন্তরঙ্গভাবে ঠোঁটে চুমু দিয়েছেন বলে নয়, সেই চুমুতে যে কোনো সম্মতি ছিল না। এ কারণেই এত সমালোচনা, বিদ্রূপের তির! ক্ষমা চেয়েও পার পাচ্ছেন না রুবিয়ালেস। রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) প্রেসিডেন্ট পদের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই কাণ্ড পছন্দ হয়নি কারও।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কটু বাক্যবাণ তো আছেই, এমনকি এ ব্যাপারে রুবিয়ালেসের ওপর ক্ষুব্ধ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও।
তিনি জানিয়েছেন, হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খাওয়া অগ্রহণযোগ্য এবং শুধু ক্ষমা চাওয়াটা যথেষ্ট নয়। গত পরশু এক প্রকার আক্ষেপের সুরেই সানচেজ বললেন, ‘আমরা যা দেখেছি সেটা একেবারে অগ্রহণযোগ্য। রুবিয়ালেসের ক্ষমা চাওয়াটা যথেষ্ট নয়। আমরা যা দেখেছি, সেটা খোলাসা করা দরকার তার। জেতার জন্য খেলোয়াড়েরা সবকিছু করেছে, তবে রুবিয়ালেসের আচরণ প্রমাণ করে, সমতার জন্য আরও অনেক দূর যাওয়া বাকি।’
প্রধানমন্ত্রীর গলা নরম থাকলেও খড়্গহস্ত হয়ে আছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ইউলান্দা দিয়াজ। রুবিয়ালেসের পদত্যাগই চান তিনি, ‘এখানে অজুহাত দেখানোর মানে নেই। স্পেন স্কোয়াড শুধু ক্রীড়াক্ষেত্র বা ফুটবলে নয়, সমতার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু দেখিয়েছে। তারা দেখিয়েছে, আমাদের দেশে এখনো অনেক কিছু করা বাকি। পুরুষ ও নারীরা যাতে সম-অধিকার পেতে পারে, সে ব্যাপারে অনেক কিছু করার আছে।’
স্পেন সরকারের আরও কয়েকজন মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রুবিয়ালেসের এ ঘটনায়। স্পেনের সমঅধিকারমন্ত্রী আইরিন মন্তেরো বলেছেন, প্রতিদিন মেয়েরা যে যৌন সহিংসতার মুখোমুখি হয়, এটি তার একটি রূপ। ক্রীড়ামন্ত্রী মিকুয়েল ইসিতাও জানিয়েছেন, হারমোসোকে রুবিয়ালেসের চুমু অগ্রহণযোগ্য।
ঘটনা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, আরএফইএফ এক জরুরি সভায় বসতে যাচ্ছে দ্রুত। সেখানে রুবিয়ালেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে স্পেন সরকারের ক্রীড়া পরিষদ।
রুবিয়ালেসের এই চুমু-কাণ্ডের ঘটনা এখন মোড় নিয়েছে নারীদের সমতা আলোচনায়। সেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দলের উইঙ্গার মেগান রাফিনোও। তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায়ে। তিনি জানিয়েছেন, সমতা নিয়ে প্রচারণা মানে একই সময়ে দুই ম্যাচ খেলার মতো। রুবিয়ালেসের এই চুমুকে রাফিনো উল্লেখ করেছেন ‘নারীবিদ্বেষী’ ও ‘পুরুষতান্ত্রিকতা’ হিসেবে।
২০১৮ সালে আরএফইএফের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেস। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ভ্যালেন্সিয়ায় তাঁর বাড়ি সংস্কারের দায়িত্বে থাকা এক নারী স্থপতিকে আহত করার ঘটনায় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল রুবিয়ালেসকে।
শুধু হারমোসোকে চুমু দেওয়ার জন্য নয়, রুবিয়ালেসকে যৌন-ইঙ্গিতমূলক উদ্যাপন করতে দেখা যায় ফাইনালের দিন স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে। ওই সময় তাঁর পাশে বসেছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও স্পেনের রানি লেতিজিয়া। শেষ বাঁশি বাজার পর উদ্যাপনের একপর্যায়ে নিম্নাঙ্গ চেপে ধরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করেন রুবিয়ালেস।
স্পেনের নারী ফুটবলে গত বছর ঝড় বয়ে গেছে কোচ হোর্হে ভিলদার কারণে। তিনি অতিরিক্ত খাটান, এই অভিযোগে ১৫ জন ফুটবলার ই-মেইল করেছিলেন আরএফইএফে। এমনকি বিশ্বকাপ দল থেকে ১২ জন নাম প্রত্যাহার করে নেন। পরে বিদ্রোহীদের থেকে দলে ফেরেন আটজন। সেই ভিলদাই এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নেপথ্যের নায়ক।
একটি চুমু যে এমন বিপদ ডেকে আনবে, সেটি হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি লুইস রুবিয়ালেস। তাঁর স্পেন ফুটবলের রাজকীয় সিংহাসনটা যে এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে! রাতারাতি হয়ে উঠেছেন ‘জাতির শত্রু’ও। বিশ্বকাপ জেতায় আনন্দের আতিশয্যে না হয় চুমু দিয়ে ফেলেছিলেন, তাই বলে এত কিছু ঘটে যাবে!
ইউরোপে ‘চুমু’ এমন কীই-বা আর! প্রেমিক-প্রেমিকা তো রাস্তাঘাটে হাঁটতে-বসতে চুমু খায়। রুবিয়ালেস বাংলা জানলে আত্মপক্ষ সমর্থনে হয়তো কবীর সুমনের গানের কথা ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড করো, প্রেমের পদ্যটাই, বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি, শুধু তোমাকে চাই’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারতেন।
কিন্তু রুবিয়ালেসের এই চুমু কোনো শিশুতোষ অপরাধ নয়! নারী ফুটবলারকে জড়িয়ে ধরে অন্তরঙ্গভাবে ঠোঁটে চুমু দিয়েছেন বলে নয়, সেই চুমুতে যে কোনো সম্মতি ছিল না। এ কারণেই এত সমালোচনা, বিদ্রূপের তির! ক্ষমা চেয়েও পার পাচ্ছেন না রুবিয়ালেস। রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) প্রেসিডেন্ট পদের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই কাণ্ড পছন্দ হয়নি কারও।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কটু বাক্যবাণ তো আছেই, এমনকি এ ব্যাপারে রুবিয়ালেসের ওপর ক্ষুব্ধ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও।
তিনি জানিয়েছেন, হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খাওয়া অগ্রহণযোগ্য এবং শুধু ক্ষমা চাওয়াটা যথেষ্ট নয়। গত পরশু এক প্রকার আক্ষেপের সুরেই সানচেজ বললেন, ‘আমরা যা দেখেছি সেটা একেবারে অগ্রহণযোগ্য। রুবিয়ালেসের ক্ষমা চাওয়াটা যথেষ্ট নয়। আমরা যা দেখেছি, সেটা খোলাসা করা দরকার তার। জেতার জন্য খেলোয়াড়েরা সবকিছু করেছে, তবে রুবিয়ালেসের আচরণ প্রমাণ করে, সমতার জন্য আরও অনেক দূর যাওয়া বাকি।’
প্রধানমন্ত্রীর গলা নরম থাকলেও খড়্গহস্ত হয়ে আছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ইউলান্দা দিয়াজ। রুবিয়ালেসের পদত্যাগই চান তিনি, ‘এখানে অজুহাত দেখানোর মানে নেই। স্পেন স্কোয়াড শুধু ক্রীড়াক্ষেত্র বা ফুটবলে নয়, সমতার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু দেখিয়েছে। তারা দেখিয়েছে, আমাদের দেশে এখনো অনেক কিছু করা বাকি। পুরুষ ও নারীরা যাতে সম-অধিকার পেতে পারে, সে ব্যাপারে অনেক কিছু করার আছে।’
স্পেন সরকারের আরও কয়েকজন মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রুবিয়ালেসের এ ঘটনায়। স্পেনের সমঅধিকারমন্ত্রী আইরিন মন্তেরো বলেছেন, প্রতিদিন মেয়েরা যে যৌন সহিংসতার মুখোমুখি হয়, এটি তার একটি রূপ। ক্রীড়ামন্ত্রী মিকুয়েল ইসিতাও জানিয়েছেন, হারমোসোকে রুবিয়ালেসের চুমু অগ্রহণযোগ্য।
ঘটনা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, আরএফইএফ এক জরুরি সভায় বসতে যাচ্ছে দ্রুত। সেখানে রুবিয়ালেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে স্পেন সরকারের ক্রীড়া পরিষদ।
রুবিয়ালেসের এই চুমু-কাণ্ডের ঘটনা এখন মোড় নিয়েছে নারীদের সমতা আলোচনায়। সেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দলের উইঙ্গার মেগান রাফিনোও। তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায়ে। তিনি জানিয়েছেন, সমতা নিয়ে প্রচারণা মানে একই সময়ে দুই ম্যাচ খেলার মতো। রুবিয়ালেসের এই চুমুকে রাফিনো উল্লেখ করেছেন ‘নারীবিদ্বেষী’ ও ‘পুরুষতান্ত্রিকতা’ হিসেবে।
২০১৮ সালে আরএফইএফের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেস। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ভ্যালেন্সিয়ায় তাঁর বাড়ি সংস্কারের দায়িত্বে থাকা এক নারী স্থপতিকে আহত করার ঘটনায় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল রুবিয়ালেসকে।
শুধু হারমোসোকে চুমু দেওয়ার জন্য নয়, রুবিয়ালেসকে যৌন-ইঙ্গিতমূলক উদ্যাপন করতে দেখা যায় ফাইনালের দিন স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে। ওই সময় তাঁর পাশে বসেছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও স্পেনের রানি লেতিজিয়া। শেষ বাঁশি বাজার পর উদ্যাপনের একপর্যায়ে নিম্নাঙ্গ চেপে ধরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করেন রুবিয়ালেস।
স্পেনের নারী ফুটবলে গত বছর ঝড় বয়ে গেছে কোচ হোর্হে ভিলদার কারণে। তিনি অতিরিক্ত খাটান, এই অভিযোগে ১৫ জন ফুটবলার ই-মেইল করেছিলেন আরএফইএফে। এমনকি বিশ্বকাপ দল থেকে ১২ জন নাম প্রত্যাহার করে নেন। পরে বিদ্রোহীদের থেকে দলে ফেরেন আটজন। সেই ভিলদাই এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নেপথ্যের নায়ক।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪