Ajker Patrika

নির্মাণাধীন ডাম্পিং প্রজেক্ট বিনোদনের খোরাক

শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৮: ০১
নির্মাণাধীন ডাম্পিং প্রজেক্ট বিনোদনের খোরাক

শিল্প-বাণিজ্যসমৃদ্ধ নগরী নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় এখানে নেই পর্যাপ্ত বিনোদনকেন্দ্র। তবে জালকুড়িতে নির্মাণাধীন ডাম্পিং প্রজেক্ট বিনোদনের সেই খোরাক ঘোচাচ্ছে। ডাম্পিং প্রজেক্টের কাজ এখনো সম্পূর্ণ শেষ না হওয়ায় এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

খোলামেলা পরিবেশে প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে সিদ্ধিরগঞ্জের দর্শনার্থীরা এ ডাম্পিং প্রজেক্টে স্থানটিতে ভিড় জমায়। শুক্রবার ও বন্ধের দিনগুলোতে মানুষের ঢল নামে এখানে। দিনে আশপাশে মানুষের উপস্থিতি থাকলেও সন্ধ্যার পর স্থানটি নীরব হয়ে যায়।

গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণাধীন প্রজেক্টে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। বাদাম, চটপটি, ফুচকা, ঝালমুড়ি, জিলাপি, পপকর্ন, শরবত ও আচারসহ ভাসমান বিভিন্ন দোকান বসেছে। তা ছাড়া রয়েছে ফাস্টফুডের ছোট-বড় কয়েকটি দোকান। এ ছাড়া বিক্রি হয় শিশুদের নানা খেলনাসামগ্রী।

কথা হয় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রুমিন হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে থাকা কাজের ব্যস্ততায় পরিবারকে ঠিকমতো সময় দেওয়া হয় না। পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজের ক্লান্তি ভাবটা দূর করতেই তাঁর এখানে আসা। তা ছাড়া এখানে আসায় অনেক পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হয় বলে জানান তিনি।

মো. হৃদয় নামের সিদ্ধিরগঞ্জের এক ব্যবসায়ী জানান, প্রকৃতির সংস্পর্শ পেতেই তাঁর এখানে ঘুরতে আসা। হৃদয় বলেন, ‘আমাদের এলাকায় একটু শান্তিতে হাঁটার মতো কোনো ভালো জায়গা নেই। রাস্তায় বেশির ভাগ সময় রিকশা এবং অন্যান্য যানবাহন চলে। এখানে ছুটির দিনে বিকেলে হাঁটার মজাই আলাদা। আমাদের এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে তেমন খোলামেলা পরিবেশ নেই। এখানে আসার ফলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়।’

সিদ্ধিরগঞ্জের বেসরকারি এক স্কুলের শিক্ষক মো. শাকের আহমেদ সোহান বলেন ‘সিদ্ধিরগঞ্জে তেমন বিনোদনকেন্দ্র না থাকায় বেশির ভাগ মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। তা ছাড়া মহামারি করোনাভাইরাস আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ দূরের কোনো পর্যটন স্থানেও যেতে পারছেন না, তাই দিন দিন এটি পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠছে।’

ঘুরতে আসা কলেজপড়ুয়া মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে প্রতি শুক্রবার আমি এখানে ঘুরতে আসি। ছুটির দিনে এই জায়গাটি এক রকম মেলায় পরিণত হয়। এমন খোলামেলা পরিবেশে বন্ধুদের সঙ্গে ফুচকা-চটপটি খেতে খুবই ভালো লাগে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত