Ajker Patrika

১০ কিলোমিটার বেহাল সড়কে দুর্ভোগ চরমে

মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ১০
১০ কিলোমিটার বেহাল সড়কে দুর্ভোগ চরমে

কাউনিয়ায় সংস্কারের অভাবে হারাগাছ থেকে মীরবাগ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক বেহাল হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবহেলায় সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই অল্প বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাড়ির চালক ও যাত্রীদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৫ সালে হারাগাছ ইউনিয়নের ঠাকুরদাস এলাকা থেকে মীরবাগের ১০ কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। এরপর আর কোনো কাজ করা হয়নি। এখন বেহাল সড়কজুড়েই ক্ষতচিহ্ন। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী।

খানসামা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাকা সড়কের পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই একটু বৃষ্টিতে জমছে পানি। খানাখন্দে ভরা সড়কে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে হালকা ও ভারী যানবাহন। প্রতিদিন ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

ঠাকুরদাস এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন এবং উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তারা ধুমগড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প তদারকি করার জন্য যাতায়াত করেন। অথচ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে একটি পৌরসভা ও দুটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত করেন।

সোনাতন গ্রামের রিকশাভ্যানের চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে মেরামত না করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও ইট-পাথর উঠে গিয়ে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দুর্ভোগ আমাদের এখন নিত্যসঙ্গী।’

ভাঙা রাস্তার কারণে ভ্যানচালকেরা পণ্য পরিবহন করতে চান না বলে জানান উত্তর ঠাকুরদাস গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য প্রায়ই হাটবাজারে নিতে হয়। ভ্যানচালকেরা গেলেও এ জন্য অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে। গ্রামীণ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

মেনাজবাজার গ্রামের অটোরিকশাচালক আব্দুল মোন্নাফ বলেন, প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ থাকায় রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়।

সড়কটি সংস্কার না হওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার হারাগাছ-মীরবাগ সড়কটিসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কার ও প্রস্থ বাড়ানোর প্রকল্প প্রস্তাব অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কগুলো সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত