রাঙামাটি প্রতিনিধি
তিন বছর বন্ধ হয়ে পড়ে আছে রাঙামাটির একমাত্র সরকারি কাপড়ের কারখানা রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলস। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পরই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কারখানাটি চালু হয়নি।
লোকসানের আশঙ্কায় বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই কারখানা চালানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অর্ধসহস্রাধিক শ্রমিক। কারখানা চালুর সম্ভাবনাও দেখছেন না এর বর্তমান ব্যবস্থাপক।
কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া এলাকায় অবস্থিত রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলস। এটি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি কারখানার ব্যবস্থাপক অমর বিকাশ চাকমা। এ ছাড়া কারখানার সম্পদ পাহারার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ৮ জন নিরাপত্তা প্রহরী রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি কারখানায় দেখা গেছে, এক প্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে কারখানাটি। যন্ত্রপাতিসহ অন্য সরঞ্জাম তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কারখানাটি আর চালু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এর ব্যবস্থাপক।
কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া এলাকায় ২৬ দশমিক ২৪ একর জমিতে রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলসের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ১৯৮৩ সালে উৎপাদনে যায় কারখানাটি। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ভালোই চলে এটি। সে সময় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর নামডাক ছিল।
স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলস। এতে মেডিকেল সেন্টার, অতিথি ভবন, ক্যানটিন, শ্রমিক কোয়ার্টার, বিদ্যালয়, স্টাফ ভবন, ম্যানেজার বাংলোও আছে।
কিন্তু ১৯৯২ সাল থেকে ক্ষতির তালিকায় নাম লেখায় কারখানাটি। এই ক্ষতি চলতে থাকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এরপর এটি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বন্ধই ছিল কারখানাটি। এরপর ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের বেসরকারি কোম্পানি মেসার্স রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্সের সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তি করে সরকার। কিন্তু চুক্তির পর নিজে উৎপাদনে না গিয়ে আমমোক্তারনামার ভিত্তিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন মেসার্স আল আমীন এন্টারপ্রাইজ মিলের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎপাদনে যায় কারখানাটি।
এতে এলাকার চিত্র কিছুটা বদলাতে থাকে। কিন্তু করোনা আসার পর কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল মেসার্স আল আমীন এন্টারপ্রাইজ মেয়াদপূর্তির আগে মিলের দায়িত্ব সরকারের হাতে হস্তান্তর করে কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে বন্ধই রয়েছে এটি।
কারখানার শ্রমিক শান্তিময় চাকমা (৫০) বলেন, ‘কারখানার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ৫ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়েছি। শ্রমিকেরা সবাই মানবেতর জীবন-যাপন করছে। কারখানাটি চালু করা হলে আমরা কর্মসংস্থান ফিরে পাব।’
কারখানার ব্যবস্থাপক অমর বিকাশ চাকমা বলেন, ‘কারখানায় যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে এগুলো পুরোনো মডেলের। বর্তমানে এর চেয়েও আধুনিক মেশিন এসেছে। ফলে রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলের মেশিন দিয়ে উৎপাদনে গেলে লোকসানে পড়তে হবে। এজন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই কারখানা চালানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কারখানায় অনেক সরকারি সম্পদ রয়েছে। এ সম্পদ রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে।’
তিন বছর বন্ধ হয়ে পড়ে আছে রাঙামাটির একমাত্র সরকারি কাপড়ের কারখানা রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলস। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পরই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কারখানাটি চালু হয়নি।
লোকসানের আশঙ্কায় বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই কারখানা চালানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অর্ধসহস্রাধিক শ্রমিক। কারখানা চালুর সম্ভাবনাও দেখছেন না এর বর্তমান ব্যবস্থাপক।
কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া এলাকায় অবস্থিত রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলস। এটি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি কারখানার ব্যবস্থাপক অমর বিকাশ চাকমা। এ ছাড়া কারখানার সম্পদ পাহারার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ৮ জন নিরাপত্তা প্রহরী রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি কারখানায় দেখা গেছে, এক প্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে কারখানাটি। যন্ত্রপাতিসহ অন্য সরঞ্জাম তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কারখানাটি আর চালু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এর ব্যবস্থাপক।
কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া এলাকায় ২৬ দশমিক ২৪ একর জমিতে রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলসের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ১৯৮৩ সালে উৎপাদনে যায় কারখানাটি। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ভালোই চলে এটি। সে সময় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর নামডাক ছিল।
স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলস। এতে মেডিকেল সেন্টার, অতিথি ভবন, ক্যানটিন, শ্রমিক কোয়ার্টার, বিদ্যালয়, স্টাফ ভবন, ম্যানেজার বাংলোও আছে।
কিন্তু ১৯৯২ সাল থেকে ক্ষতির তালিকায় নাম লেখায় কারখানাটি। এই ক্ষতি চলতে থাকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এরপর এটি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বন্ধই ছিল কারখানাটি। এরপর ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের বেসরকারি কোম্পানি মেসার্স রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্সের সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তি করে সরকার। কিন্তু চুক্তির পর নিজে উৎপাদনে না গিয়ে আমমোক্তারনামার ভিত্তিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন মেসার্স আল আমীন এন্টারপ্রাইজ মিলের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎপাদনে যায় কারখানাটি।
এতে এলাকার চিত্র কিছুটা বদলাতে থাকে। কিন্তু করোনা আসার পর কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল মেসার্স আল আমীন এন্টারপ্রাইজ মেয়াদপূর্তির আগে মিলের দায়িত্ব সরকারের হাতে হস্তান্তর করে কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে বন্ধই রয়েছে এটি।
কারখানার শ্রমিক শান্তিময় চাকমা (৫০) বলেন, ‘কারখানার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ৫ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়েছি। শ্রমিকেরা সবাই মানবেতর জীবন-যাপন করছে। কারখানাটি চালু করা হলে আমরা কর্মসংস্থান ফিরে পাব।’
কারখানার ব্যবস্থাপক অমর বিকাশ চাকমা বলেন, ‘কারখানায় যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে এগুলো পুরোনো মডেলের। বর্তমানে এর চেয়েও আধুনিক মেশিন এসেছে। ফলে রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলের মেশিন দিয়ে উৎপাদনে গেলে লোকসানে পড়তে হবে। এজন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই কারখানা চালানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কারখানায় অনেক সরকারি সম্পদ রয়েছে। এ সম্পদ রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪