মুলাদী প্রতিনিধি
মুলাদীতে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকাদান কার্যক্রম। শৃঙ্খলা না থাকায় টিকা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনার ঘটেছে। গতকাল রোববার টিকা দেওয়ার ২য় দিনে মুলাদী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। যেসব শিক্ষার্থীরা ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চায় তারা টিকা না নিয়ে ফিরে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টিকা কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া দেরিতে টিকা দেওয়া শুরু করায় শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। জানা যায়, শিক্ষকেরা তাঁদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে নিয়ে এলেও টিকা দেওয়া শুরু হয় বেলা ১২টার দিকে। মুলাদী সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের একটি মাত্র পথ দিয়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়ায় উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। টিকা কক্ষে প্রবেশের সময় ধাক্কা লাগায় শিক্ষার্থীরা মারামারি করেছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা শিক্ষক না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির হাসানের মা আছমা বেগম বলেন, ছেলেকে নিয়ে সকাল ৯টায় টিকা কেন্দ্রে এসেছি। টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বেলা ১২টায়। এর আগেই শিক্ষার্থীরা টিকা কক্ষের বাইরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে। ভবনের বাইরেও অনেক শিক্ষার্থী জড়ো হয়। তারা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টায় ধাক্কাধাক্কি করে। অনেকে ব্যর্থ হয়ে চলে গেছে।
নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবি ছিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজ মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। ধাক্কাধাক্কিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।’
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল বলে, ‘ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম। মুলাদী পৌর সদরের কিছু ছেলেরা বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভিড়ের মধ্যে থাকায় কষ্ট দেখে টিকা না দিয়েই চলে এসেছি। পরবর্তীতে যদি পাই তাহলে টিকা দেব।’
মুলাদী মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান বলে, টিকা কেন্দ্রে এসে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি। তাই টিকা না দিয়েই চলে আসছি।
মুলাদী হাসপাতালের স্যানিটারি পরিদর্শক জাহানারা বেগম জানান, রোববার মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেয়েদের এবং মুলাদী সরকারি কলেজে ছেলেদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরিশাল থেকে দেড় হাজার টিকা আনা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, টিকাবাহী গাড়ি মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে সঠিক সময়ে পার হতে পারেনি। তাই দেরিতে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। নাজিরপুর ও চরকালেখান ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাদ্রাসার দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গত ২৩ ডিসেম্বর যারা টিকা পায়নি তারাও টিকা কেন্দ্রে এসেছে। কিছু শিক্ষার্থী টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
মুলাদীতে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকাদান কার্যক্রম। শৃঙ্খলা না থাকায় টিকা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনার ঘটেছে। গতকাল রোববার টিকা দেওয়ার ২য় দিনে মুলাদী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। যেসব শিক্ষার্থীরা ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চায় তারা টিকা না নিয়ে ফিরে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টিকা কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া দেরিতে টিকা দেওয়া শুরু করায় শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। জানা যায়, শিক্ষকেরা তাঁদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে নিয়ে এলেও টিকা দেওয়া শুরু হয় বেলা ১২টার দিকে। মুলাদী সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের একটি মাত্র পথ দিয়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়ায় উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। টিকা কক্ষে প্রবেশের সময় ধাক্কা লাগায় শিক্ষার্থীরা মারামারি করেছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা শিক্ষক না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির হাসানের মা আছমা বেগম বলেন, ছেলেকে নিয়ে সকাল ৯টায় টিকা কেন্দ্রে এসেছি। টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বেলা ১২টায়। এর আগেই শিক্ষার্থীরা টিকা কক্ষের বাইরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে। ভবনের বাইরেও অনেক শিক্ষার্থী জড়ো হয়। তারা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টায় ধাক্কাধাক্কি করে। অনেকে ব্যর্থ হয়ে চলে গেছে।
নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবি ছিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজ মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। ধাক্কাধাক্কিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।’
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল বলে, ‘ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম। মুলাদী পৌর সদরের কিছু ছেলেরা বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভিড়ের মধ্যে থাকায় কষ্ট দেখে টিকা না দিয়েই চলে এসেছি। পরবর্তীতে যদি পাই তাহলে টিকা দেব।’
মুলাদী মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান বলে, টিকা কেন্দ্রে এসে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি। তাই টিকা না দিয়েই চলে আসছি।
মুলাদী হাসপাতালের স্যানিটারি পরিদর্শক জাহানারা বেগম জানান, রোববার মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেয়েদের এবং মুলাদী সরকারি কলেজে ছেলেদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরিশাল থেকে দেড় হাজার টিকা আনা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, টিকাবাহী গাড়ি মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে সঠিক সময়ে পার হতে পারেনি। তাই দেরিতে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। নাজিরপুর ও চরকালেখান ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাদ্রাসার দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গত ২৩ ডিসেম্বর যারা টিকা পায়নি তারাও টিকা কেন্দ্রে এসেছে। কিছু শিক্ষার্থী টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪