Ajker Patrika

উচ্ছ্বাসের মধ্যেও শঙ্কা

দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ০৪
উচ্ছ্বাসের মধ্যেও শঙ্কা

সারা দেশের মতো দ্বিতীয় দফা বন্ধের পর কুমিল্লায় আবারও খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে আনন্দের পাশাপাশি আবার বন্ধের শঙ্কাও পিছু ছাড়ছে না অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি অভিভাবকদের।

করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস শুরু হয়েছে। কলেজ ও বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার নগরীর জিলা স্কুল, মডার্ন স্কুল, ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা হাইস্কুল, কালেক্টরেট স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা ছিল শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও মাস্ক পরে আসছে ক্লাস করতে।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫৫৮টি, কলেজ ৩৭টি, ডিগ্রি কলেজ রয়েছে ৬৬টি এবং দাখিল, আলিম, ফাজিল ও ইবতেদায়ি মিলে মাদ্রাসা রয়েছে ৩৭৯টি।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তাসিন বলে, ‘অনলাইনে ক্লাস থেকে সরাসরি ক্লাস করার মতো আনন্দ আর নেই। দ্বিতীয়বার বন্ধ হওয়ার পর আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। এতে আমরা খুশি হলেও আবার বন্ধ হয়ে যায় কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছি।’

কুমিল্লা মডার্ন স্কুলের শিক্ষার্থী তারিফুর আলম বলে, ‘বিদ্যালয় খোলার পরও যেন আমরা একটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। বিদ্যালয় যেন আবার বন্ধ হয়ে না যায়, সে জন্য সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ক্লাসে আসব।’

কুমিল্লা জিলা স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাবেয়া আলম বলেন, ‘বিদ্যালয় খোলায় আমরা আনন্দিত। বাচ্চাদের লেখাপড়ার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে উঠতে সীমিত নয়, পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানাই।’

কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুভাগ করে কমিয়ে ক্লাস নিচ্ছি, যাতে দূরত্ব বজায় রেখে বসতে পারে। তা ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের সব স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিন ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছিল।’

বিমানবন্দর মুন্সী ফারুক আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনামতে তিন বিভাগের তিনটি বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস উপস্থিত নিশ্চিত করা হয়েছে। আর যেসব শিক্ষার্থীর টিকা সনদ নেই, তাদের অনলাইনে ক্লাস করার জন্য বলা হয়েছে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘২ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। জেলার ২ হাজার ১০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলায় অপেক্ষায় রয়েছে। সে জন্য যাবতীয় পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সীমিত পরিসরে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বলা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পন্ন করেছে, তারাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে। তিনি বলেন, গত সোমবার পর্যন্ত জেলার ৯৯ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৩৮ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...