সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস-সংকট চলছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আবাসিক গ্রাহকেরা। বাসাবাড়িতে সময়মতো রান্না করতে পারছেন না গৃহিণীরা। পাশাপাশি শিল্পকারখানায় উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে সাধারণত প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকে। তবে গতকাল শুক্রবার ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা ছিল। এর মধ্যে ২৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি সার কারখানা এবং একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রকেই দিতে হয়েছে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
জানা গেছে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) এবং শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে হয়েছে। তাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আবাসিক, শিল্পকারখানা ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের অভাব দেখা দেয়।
চকবাজার ডিসি রোডের বাসিন্দা গৃহিণী তাহমিনা শারমিন গতকাল বিকেলে বলেন, ‘সকাল থেকে চুলায় গ্যাস না থাকায় কোনো রান্নাবান্না হয়নি। আগের দিন রান্না করা খাবার খেয়ে কোনো রকমে দিন কেটেছে। তবে বেলা ২টা নাগাদ গ্যাস আসতে শুরু করে। এরপর রান্নাবান্না শুরু করি। কয়েক দিন ধরেই গ্যাস নিয়ে এ ধরনের সমস্যায় পড়ছি। সময়মতো রান্না করতে পারছি না।’
চান্দগাঁও এলাকার গৃহিণী রাবেয়া আক্তার বলেন, সকাল থেকে গ্যাস থাকে না। দুপুরে সামান্য গ্যাস আসে। সন্ধ্যার পর আবার চলে যায়। রাত ১০টার পর আবারও গ্যাস আসে। ভোরের দিকে আবার চলে যায়। কদিন ধরে এর মধ্য দিয়েই রান্নাবান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। এমন সমস্যার কারণে লাকড়ি দিয়ে বাসার বাইরে রান্নাবান্না করতে হচ্ছে। কোনো কোনো সময় বাইরে থেকে খাবার কিনে খেয়ে দিন কাটছে।
এদিকে গ্যাস-সংকটে পড়েছে চট্টগ্রামের ৭০টি সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ফিলিং স্টেশন। গ্যাস-সংকটের কারণে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দৈনিক ৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখছে কেজেডিসিএল কর্তৃপক্ষ। এতে কোনো কোনো স্টেশন দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে সিএনজি স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চাহিদামতো গ্যাস পাচ্ছেন না চালকেরা। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল কমে গেছে।
সিএনজি অটোরিকশার চালক মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘কাপ্তাই রাস্তার মাথায় অলি সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে সব সময় গ্যাস নিয়ে থাকি। কিন্তু এই স্টেশন এখন বন্ধ। রাতের বেলায় সামান্য গ্যাস এলে স্টেশনটি যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। গ্যাস শেষ হলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাহিদামতো গ্যাস গাড়িতে ভরতে পারছি না।’
গ্যাসের অভাবে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কেজিডিসিএল কর্মকর্তারা বলছেন, সামনে চাষাবাদ মৌসুমে সার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহৎ সার কারখানা সিইউএফএল ও কাফকোতে গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রেও গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে গ্যাস দিতে তিনটি বাল্ক চালু রাখতে হয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানই বৃহৎ গ্যাস ব্যবহারকারী হওয়ায় সরবরাহ লাইনে প্রবাহ কমে গেছে। পাইপলাইনে গ্যাসের প্রবাহ বাড়াতে হলে একটি সার কারখানা বন্ধ রাখতে হবে অথবা গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রামে গ্যাসের একটি বড় অংশ আমদানি করা এলএনজি। এলএনজি আমদানি কমে যাওয়াতে চট্টগ্রামে প্রয়োজন অনুসারে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন-উত্তর) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানই সবচেয়ে বড় গ্যাস ব্যবহারকারী। এগুলো একসঙ্গে চালু করায় সরবরাহ লাইনে গ্যাসের প্রবাহ কমে গেছে। তবে শনিবার (আজ) থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস-সংকট চলছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আবাসিক গ্রাহকেরা। বাসাবাড়িতে সময়মতো রান্না করতে পারছেন না গৃহিণীরা। পাশাপাশি শিল্পকারখানায় উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে সাধারণত প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকে। তবে গতকাল শুক্রবার ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা ছিল। এর মধ্যে ২৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি সার কারখানা এবং একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রকেই দিতে হয়েছে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
জানা গেছে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) এবং শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে হয়েছে। তাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আবাসিক, শিল্পকারখানা ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের অভাব দেখা দেয়।
চকবাজার ডিসি রোডের বাসিন্দা গৃহিণী তাহমিনা শারমিন গতকাল বিকেলে বলেন, ‘সকাল থেকে চুলায় গ্যাস না থাকায় কোনো রান্নাবান্না হয়নি। আগের দিন রান্না করা খাবার খেয়ে কোনো রকমে দিন কেটেছে। তবে বেলা ২টা নাগাদ গ্যাস আসতে শুরু করে। এরপর রান্নাবান্না শুরু করি। কয়েক দিন ধরেই গ্যাস নিয়ে এ ধরনের সমস্যায় পড়ছি। সময়মতো রান্না করতে পারছি না।’
চান্দগাঁও এলাকার গৃহিণী রাবেয়া আক্তার বলেন, সকাল থেকে গ্যাস থাকে না। দুপুরে সামান্য গ্যাস আসে। সন্ধ্যার পর আবার চলে যায়। রাত ১০টার পর আবারও গ্যাস আসে। ভোরের দিকে আবার চলে যায়। কদিন ধরে এর মধ্য দিয়েই রান্নাবান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। এমন সমস্যার কারণে লাকড়ি দিয়ে বাসার বাইরে রান্নাবান্না করতে হচ্ছে। কোনো কোনো সময় বাইরে থেকে খাবার কিনে খেয়ে দিন কাটছে।
এদিকে গ্যাস-সংকটে পড়েছে চট্টগ্রামের ৭০টি সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ফিলিং স্টেশন। গ্যাস-সংকটের কারণে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দৈনিক ৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখছে কেজেডিসিএল কর্তৃপক্ষ। এতে কোনো কোনো স্টেশন দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে সিএনজি স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চাহিদামতো গ্যাস পাচ্ছেন না চালকেরা। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল কমে গেছে।
সিএনজি অটোরিকশার চালক মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘কাপ্তাই রাস্তার মাথায় অলি সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে সব সময় গ্যাস নিয়ে থাকি। কিন্তু এই স্টেশন এখন বন্ধ। রাতের বেলায় সামান্য গ্যাস এলে স্টেশনটি যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। গ্যাস শেষ হলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাহিদামতো গ্যাস গাড়িতে ভরতে পারছি না।’
গ্যাসের অভাবে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কেজিডিসিএল কর্মকর্তারা বলছেন, সামনে চাষাবাদ মৌসুমে সার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহৎ সার কারখানা সিইউএফএল ও কাফকোতে গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রেও গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে গ্যাস দিতে তিনটি বাল্ক চালু রাখতে হয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানই বৃহৎ গ্যাস ব্যবহারকারী হওয়ায় সরবরাহ লাইনে প্রবাহ কমে গেছে। পাইপলাইনে গ্যাসের প্রবাহ বাড়াতে হলে একটি সার কারখানা বন্ধ রাখতে হবে অথবা গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রামে গ্যাসের একটি বড় অংশ আমদানি করা এলএনজি। এলএনজি আমদানি কমে যাওয়াতে চট্টগ্রামে প্রয়োজন অনুসারে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন-উত্তর) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানই সবচেয়ে বড় গ্যাস ব্যবহারকারী। এগুলো একসঙ্গে চালু করায় সরবরাহ লাইনে গ্যাসের প্রবাহ কমে গেছে। তবে শনিবার (আজ) থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪