Ajker Patrika

দাকোপে ব্যস্ত লেপ তোশকের কারিগরেরা

দাকোপ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ১০
দাকোপে ব্যস্ত লেপ তোশকের কারিগরেরা

খুলনার দাকোপে শীতে লেপ-তোশকের কারিগরেরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রির জন্য কারিগরেরা লেপ-তোশক তৈরি করে মজুত করছেন।

জানা গেছে, উপজেলার বটবুনিয়া বাজার, কালিনগর বাজার, নলিয়ান বাজার, বাজুয়া বাজার ও লাউডোব বাজারে লেপ-তোশক তৈরির জন্য প্রায় ১৫-১৬টি দোকান গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া উপজেলা সদর চালনা পৌর বাজারেও আরও ৫-৭টি দোকান রয়েছে। তা ছাড়া বাইরের কারিগররাও বাড়ি বাড়ি আসছেন লেপ-তোশক তৈরি করে দিতে। আবার কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী বাইসাইকেল ও ভ্যানগাড়িতে করে গ্রামে গ্রামে লেপ-তোশক ফেরি করে বিক্রি করছেন।

এলাকার অবস্থা সম্পন্ন লোকজন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোশক সংগ্রহ করলেও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো তা করতে পারছে না। ফলে এসব পরিবারের নারীরা পুরোনো শাড়ি, লুঙ্গি ও অন্যান্য কাপড় এবং রং-বেরঙের সুতা দিয়ে মোটা কাঁথা তৈরি করছেন। তাঁরা এসব কাঁথা বিক্রিও করছেন। প্রতিটি কাঁথা তৈরিতে তাঁরা ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নিচ্ছেন।

লেপ-তোশক তৈরিতে নিয়োজিত বটিয়াঘাটা উপজেলার টালিয়ামারী এলাকার শহীদ বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিটি লেপের মজুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। প্রতিদিন তিনজন মিলে ৬-৭টি লেপ তৈরি করি।’

চালনা বাজার লঞ্চঘাট এলাকার কারিগর ও দোকানদার নূর মোহাম্মদ জানান, বর্তমানে শীত একটু বেশি পড়ায় প্রতিদিন ৫-৬টি করে লেপ-তোশক বিক্রি করছেন। কিন্তু বর্তমানে মালামালের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে লাভ অনেক কম হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আবদুল কাদের বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে চালনা পৌরসভাসহ সব ইউনিয়নে ৪ হাজার কম্বল বণ্টন করা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু নগদ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সে টাকা দিয়ে আরও ১ হাজার ৮০০ কম্বল কিনে খুব তাড়াতাড়ি এগুলো তালিকা করে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত