Ajker Patrika

বেহাল সড়কে জনদুর্ভোগ

নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ২৯
বেহাল সড়কে জনদুর্ভোগ

দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে শরীয়তপুর পৌর শহরের পাকার মাথা থেকে পালং বাজার সড়ক। সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার কার্পেটিং উঠে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়, এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।

শুষ্ক মৌসুমে সড়ক জুড়ে থাকা ধুলা আর বালুকণা বাড়তি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সড়কে চলাচলকারী পৌরবাসীর জন্য। আগামী বর্ষার আগে সড়ক সংস্কারের কথা জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুর সদরের পাকার মাথা থেকে পালং বাজার পর্যন্ত সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার অংশ সব শেষ ২০১৬ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর সড়কে সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কটি বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সড়কের আশপাশে বেশ কিছু নির্মাণকাজ চলমান থাকায় এসব নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য পাথর, রড সহ ভারী মালামাল পরিবহনে সড়কটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে সড়কের বেশ কিছু অংশে পানি জমে থাকায় সড়কের পিচ খুলে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে পাকার মাথা পর্যন্ত সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। পুরো অংশেরই পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে থাকা এসব গর্তে আপকে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় শহরবাসী।

জেলা শহরের পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পালং তুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন নিয়মিত এই সড়কে চলাচল করতে হয়। তুলাসার, নিঝুমপড়া, হাসপাতাল কলোনি, পাকার মাথা সহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষকে জেলার মুল বাজার পালং বাজার ও সদর উপজেলা পরিষদে যাতায়াতের জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। এসব এলাকার মানুষকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে যাতায়াতের জন্যও এই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানি আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলা বালির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয় পৌরবাসীকে। সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পারায় দুর্ঘটনা এড়াতে এই সড়কে যানবাহন চলাচল অনেকাংশেই কমে গেছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে হেঁটে এই ধুলা বালির মধ্য দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ধুলা নাকে মুখে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা জুয়েল বলেন, ‘প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে এই সড়কে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। সড়কের অবস্থা এতই খারাপ যে কোনো রিকশা বা অন্য যানবাহন এই রাস্তায় যেতে চায় না। মেয়েকে নিয়ে প্রায়ই হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। শীতের এই সময়ে রাস্তার ধুলা-বালুতে প্রতিদিন জামকাপড় নোংরা হয়ে যায়। এ ছাড়া বাচ্চাদের শ্বাস কষ্টের ঝুঁকি অনেকাংশেই বেরে যায়। শহরের এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক অথচ মেরামতে কারও কোনো উদ্যোগ দেখছি না।’

পালং বাজারের ব্যবসায়ী সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে বাড়ি থেকে দোকানে যাতায়াত করতে হয়। মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করি। তবে সড়কের অবস্থা এতই খারাপ যে মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াতে ভীষণ কষ্ট হয়। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হই। এ ছাড়া সামনে একটি গাড়ি গেলে ধুলার কারণে কিছুই দেখতে পাই না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামতে দাবি জানাচ্ছি।’

শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন জানান, সড়কটি শরীয়তপুর পৌরসভার ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। সড়কের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা পালং বাজার ও সদর উপজেলা পরিষদের সামনের অংশ এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে। আগামী বর্ষার আগে সড়কটি সংস্কার করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত