Ajker Patrika

হল চালু হয়নি দেড় বছরেও

মো. ফাহাদ বিন সাঈদ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫২
Thumbnail image

আবাসন সংকট নিরসনে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব হল নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ১০ তলাবিশিষ্ট হল দুটি দেড় বছর ধরে উদ্বোধন ও চালুর অপেক্ষায়। অথচ হল দ্রুত চালু করা গেলে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাবে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ হলে ওঠানোর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভাইভা নিয়েছে। এরপরও হল চালুতে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

গত সেপ্টেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ. এইচ. এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, ‘হলের কাজ শেষ। আগামী এক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে।’

এ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী তামান্না ডলি বলেন, ‘আমরা যারা মেসে থাকি তাঁরা কতটা নিরাপদ? ইদানীং মেসে চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি মেসের দেয়াল ভেঙে দুর্বৃত্তরা সবার রুমে নক করে। কিন্তু কিছুই নেয়নি। এই জন্য সবাই ভয় পাচ্ছে তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে। পরপর দুদিন এমন ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। টালবাহানা না করে হলগুলো দ্রুত খুলে দেওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।’

আরেক শিক্ষার্থী মোরসালীন রহমান শিখর আক্ষেপ করে বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি প্রশাসনিক দায়িত্বহীনতায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা দুটি হলের একটিতেও গ্যাস নেই। এই অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানোয় কালক্ষেপণ করাটা ঠিক নয়। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ফুটবল বানিয়ে খেলছে। চার বছর হতে চলল, আমি বা আমাদের অনেকেই আদুভাই হলেও এই হলে উঠতে পারব কি না সন্দেহ আছে।’

হাফসা আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভয়ে রাতে ঘুমানো যায় না। প্রয়োজনে আমরা বাইরে থেকে খেয়ে নেব। হল দুটিকে শোপিস না বানিয়ে আমাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দ্রুত খুলে দিন।’

এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা রাজি থাকলে ক্যানটিন সুবিধা ব্যতীত নবনির্মিত দুটি হলেই শিক্ষার্থী ওঠানো উচিত। সেই সঙ্গে প্রশাসনের কাছে দ্রুত গ্যাস সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি।’

নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর দে এ বিষয়ে সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘নতুন দুটো হলের একটিতেও গ্যাসলাইন নেই। কাঠ বা গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর খাবার রান্না করা অসম্ভব। গ্যাস লাইনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। গ্যাসের ব্যবস্থা হলেই হল দুটি চালু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত