খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল নগরের পাঁচটি বড় উন্নয়ন প্রকল্প নগরবাসীর কল্যাণে আসছে না। এরই মধ্যে প্রকল্পগুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে শতকোটি টাকা। প্রকল্প পাঁচটি হলো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম, সিটি গেট, ট্রাক টার্মিনাল ও সিসি ক্যামেরা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাস্তবায়নে যথাযথ সমীক্ষা না করা, অর্থ বরাদ্দে জটিলতা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপুল পরিমাণ টাকার অপচয় হয়েছে।
জানা গেছে, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল প্রয়াত সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সময়ে। অপর চারটি বিগত মেয়র আহসান হাবিব কামাল শুরু করেছিলেন। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পরও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেননি। যদিও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন, তিনি কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ পাচ্ছেন না। তাই অসমাপ্ত প্রকল্পগুলোও সমাপ্ত করা যাচ্ছে না।
ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট: নগরবাসীর বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৯-১০ অর্থবছরে নগরীর বেলতলা এবং রূপাতলীতে দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। প্ল্যান্ট দুটির পানি উত্তোলন সক্ষমতা সোয়া দুই কোটি লিটার হলেও পাথমিকভাবে এক কোটি লিটারের বেশি উত্তোলন করার সক্ষমতা ছিল। কিন্তু দুটোর কোনোটিই কাজে আসছে না। অভিযোগ উঠেছে, পানিসংকট সমাধানের উদ্যোগটি ভেস্তে গেছে।
বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুল হাসান জানান, দুই বছর আগে বিসিসির কাছে প্ল্যান্ট দুটি হস্তান্তর করেছেন তাঁরা।
তবে বিসিসির পানি শাখার তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন পান্না বলেন, ত্রুটি থাকায় প্ল্যান্ট দুটির দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে বিসিসি গ্রহণ করেনি।
ট্রাক টার্মিনাল: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরীর কাশীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপরীতে ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিসিসি ২০১৬ সালে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু করেছিল। নিচু জমি ভরাট করে টার্মিনাল ভবন এবং একটি মার্কেট নির্মাণকাজ অর্ধেক সম্পন্ন হওয়ার পর এটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অসম্পন্ন টার্মিনালটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান পরিকল্পনাবিদ আসাদুল হক বলেন, সেখানে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ভবিষ্যতে নাগরিক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম: নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে ৫ তলার অসম্পূর্ণ ভবন দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৭ বছর ধরে। ৫০০ আসনের আধুনিক বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি। কিন্তু ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও সংষ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়নি। ভবনের নকশায়ও ত্রুটির অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোমেন সিকদার সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামের কাজ শুরুর পর নকশা পরিবর্তন করায় প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে।
তবে সম্প্রতি সিটি মেয়র সাদেক অডিটরিয়াম পরিদর্শনকালে বলেন, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম নির্মাণের বরাদ্দকৃত অর্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেলেও কাজ শেষ করেনি।
সিটি গেট: নগরীর দুটি প্রবেশপথ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গড়িয়ারপাড় এবং বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে প্রকল্পের অধীনে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দুটি ‘সিটি গেট’ নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন তৎকালীন মেয়র আহসান হাবিব কামাল। ৬ মাস পর ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ টাকার পুরোটাই জলে গেছে। প্রস্তাবিত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করলে অসম্পূর্ণ দুটি গেট অপসারণ করতে হবে।
সিসি ক্যামেরা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নগরের সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ২০১৭ সালে ২৬৪টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ৮টি নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করেছিল বিসিসি। এ জন্য ব্যয় করা হয় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ওই ক্যামেরার আর অস্তিত্ব নেই।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদার দুর্নীতি করে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে। যে কারণে উন্নয়নকাজগুলোর স্থান নির্ধারণ কিংবা এগুলোর ভবিষ্যৎ যাচাই-বাছাই না করে যেনতেনভাবে কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু শেষ আর করতে পারেননি। তিনি বলেন, বিসিসি এর দায় এড়াতে পারে না।
বরিশাল নগরের পাঁচটি বড় উন্নয়ন প্রকল্প নগরবাসীর কল্যাণে আসছে না। এরই মধ্যে প্রকল্পগুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে শতকোটি টাকা। প্রকল্প পাঁচটি হলো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম, সিটি গেট, ট্রাক টার্মিনাল ও সিসি ক্যামেরা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাস্তবায়নে যথাযথ সমীক্ষা না করা, অর্থ বরাদ্দে জটিলতা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপুল পরিমাণ টাকার অপচয় হয়েছে।
জানা গেছে, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল প্রয়াত সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সময়ে। অপর চারটি বিগত মেয়র আহসান হাবিব কামাল শুরু করেছিলেন। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পরও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেননি। যদিও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন, তিনি কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ পাচ্ছেন না। তাই অসমাপ্ত প্রকল্পগুলোও সমাপ্ত করা যাচ্ছে না।
ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট: নগরবাসীর বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৯-১০ অর্থবছরে নগরীর বেলতলা এবং রূপাতলীতে দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। প্ল্যান্ট দুটির পানি উত্তোলন সক্ষমতা সোয়া দুই কোটি লিটার হলেও পাথমিকভাবে এক কোটি লিটারের বেশি উত্তোলন করার সক্ষমতা ছিল। কিন্তু দুটোর কোনোটিই কাজে আসছে না। অভিযোগ উঠেছে, পানিসংকট সমাধানের উদ্যোগটি ভেস্তে গেছে।
বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুল হাসান জানান, দুই বছর আগে বিসিসির কাছে প্ল্যান্ট দুটি হস্তান্তর করেছেন তাঁরা।
তবে বিসিসির পানি শাখার তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন পান্না বলেন, ত্রুটি থাকায় প্ল্যান্ট দুটির দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে বিসিসি গ্রহণ করেনি।
ট্রাক টার্মিনাল: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরীর কাশীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপরীতে ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিসিসি ২০১৬ সালে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু করেছিল। নিচু জমি ভরাট করে টার্মিনাল ভবন এবং একটি মার্কেট নির্মাণকাজ অর্ধেক সম্পন্ন হওয়ার পর এটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অসম্পন্ন টার্মিনালটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান পরিকল্পনাবিদ আসাদুল হক বলেন, সেখানে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ভবিষ্যতে নাগরিক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম: নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে ৫ তলার অসম্পূর্ণ ভবন দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৭ বছর ধরে। ৫০০ আসনের আধুনিক বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি। কিন্তু ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও সংষ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়নি। ভবনের নকশায়ও ত্রুটির অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোমেন সিকদার সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামের কাজ শুরুর পর নকশা পরিবর্তন করায় প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে।
তবে সম্প্রতি সিটি মেয়র সাদেক অডিটরিয়াম পরিদর্শনকালে বলেন, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম নির্মাণের বরাদ্দকৃত অর্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেলেও কাজ শেষ করেনি।
সিটি গেট: নগরীর দুটি প্রবেশপথ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গড়িয়ারপাড় এবং বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে প্রকল্পের অধীনে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দুটি ‘সিটি গেট’ নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন তৎকালীন মেয়র আহসান হাবিব কামাল। ৬ মাস পর ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ টাকার পুরোটাই জলে গেছে। প্রস্তাবিত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করলে অসম্পূর্ণ দুটি গেট অপসারণ করতে হবে।
সিসি ক্যামেরা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নগরের সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ২০১৭ সালে ২৬৪টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ৮টি নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করেছিল বিসিসি। এ জন্য ব্যয় করা হয় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ওই ক্যামেরার আর অস্তিত্ব নেই।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদার দুর্নীতি করে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে। যে কারণে উন্নয়নকাজগুলোর স্থান নির্ধারণ কিংবা এগুলোর ভবিষ্যৎ যাচাই-বাছাই না করে যেনতেনভাবে কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু শেষ আর করতে পারেননি। তিনি বলেন, বিসিসি এর দায় এড়াতে পারে না।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫