Ajker Patrika

প্রার্থী হতে চান ১০ জন আশীর্বাদ পেতে তদবির

শেখ আবু হাসান, খুলনা
প্রার্থী হতে চান ১০ জন আশীর্বাদ পেতে তদবির

তফসিল ঘোষণার পরপরই খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সরব হয়ে উঠেছেন জেলার ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ নেতা। দলের হাই কমান্ডের আশীর্বাদ পেতে ইতিমধ্যে তদবিরে নেমে পড়েছেন তাঁরা।

না জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ২৩ আগস্ট। এরপর থেকেই মাঠে নেমেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন তাঁরা। স্থানীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থন পেতে দলের মধ্যে লবিং ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত যাঁদের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সহসভাপতি খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী, সহসভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা, যুগ্ম সম্পাদক তেরখাদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল এবং খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মুর্তজা রশিদী দারা।

খুলনা জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ এর আগে জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৮১ বছর বয়স্ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদের রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ। এরপর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলিয়েছেন। খুলনা-১ আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সদর আসনের সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘দল যদি মনে করে, আমাকে দিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাচন করাবেন, সে ক্ষেত্রে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি রাজনীতি করি, দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।’

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ‘আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। তবে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষেই কাজ করব। এখানে দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’

নোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, ‘আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা মাথা পেতে নেব।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন চাইব কি চাইব না, সেটি নির্ভর করছে দলের হাই কমান্ডের ওপর। দলের হাই কমান্ড যা বলবে, সেভাবেই আমি আমার কার্যক্রম পরিচালনা করব। হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি ও করছি। অতএব দলের হাই কমান্ড যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি চলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তামিম কি তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হবেন

রাজনৈতিক দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ, হেফাজতে সেনা কর্মকর্তা

পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

নারীর ‘বগলের গন্ধ’ পুরুষের মানসিক চাপ কমায়, তবে কি মানুষেরও আছে ফেরোমোন!

বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের চেয়ে কম শুল্কের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত