নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘করোনা মহামারি শুরু হলে হঠাৎ বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নতুন চাকরি নিয়ে সব সামলে ওঠার আগেই শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রভাবে বারবার নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় এখন আর বেতনের টাকায় সংসার চালানো যাচ্ছে না। আমার বেতনের প্রায় পুরো টাকা বাজারেই শেষ হয়ে যায়।’ গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী শামসুর রহমান।
আরও কয়েকজন জানালেন, প্রায় প্রতিদিন সবকিছুর দাম বাড়লেও বেতন না তো বাড়ে না। তাই তাঁরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বাজার করতে আসা জাকির হোসেন বললেন, তাঁর বাবা বেঁচে নেই। পরিবারে স্কুলপড়ুয়া সন্তান রয়েছে দুজন। সঙ্গে আছেন মা ও ছোট ভাই। সব মিলিয়ে ছয়জনের সংসার। তাই বাধ্য হয়ে বাবার ব্যাংকে জমানো টাকা থেকে প্রতি মাসে খরচ করতে হচ্ছে। এভাবে চললে বাবার টাকাও তো একসময় শেষ হয়ে যাবে।
রাশেদা খানম নামের আরেকজন বলেন, ‘সারা মাস চাকরি করে যে বেতন পাই, ব্যাগ ভরে যদি এক দিন বাজার করি, তাতেই বেতনের অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়।’
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বঙ্গবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে বাজারে অন্তত ১৫টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্যমূল্য তালিকায়ও তা লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও দাম কমছে না।
বিক্রেতারা বলছেন, এক সপ্তাহ আগে ১১৫ টাকার চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। প্রতি কেজি ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডাল ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। এ ছাড়া খোলা আটা প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬২-৬৩ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৩ টাকা থেকে বেড়ে ৬৬ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৫ টাকা, পাম অয়েল সুপার ১৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দাম বেড়েছে লবণ, আদা, রসুন, ধনে, জিরা, ছোলা, শুকনা মরিচ, হলুদ, লবঙ্গসহ আরও কিছু পণ্যের।
এদিকে শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরে গেলেও দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছিল। গতকালও সেই দামের হেরফের হয়নি। শুধু শিম নয়, কোনো সবজির দামই কমেনি। বাজারগুলোতে গাজর ও টমেটো আগের মতোই ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে আলুর কেজি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এ ছাড়া শসা রকমভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের দামেও পরিবর্তন আসেনি।
তবে সবজির এমন দামকে বেশি বলে মানতে নারাজ বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, পুরোদমে শীতের সবজি বাজারে এলে দাম আরও কমে যাবে। সবজিবিক্রেতা শাহরিয়ার বলেন, বাজারে অন্যান্য জিনিসের দাম অনুযায়ী সবজির দাম এখনো কম। আরও কয়েক দিন পর শীত বাড়লে তা আরও কমে যাবে।
বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা নানা কারণ ও অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন। ভোক্তারা এখন অসহায়, এ অবস্থায় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে জোরালো ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাজার তদারক করছি। অনিয়ম পেলে শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।’
‘করোনা মহামারি শুরু হলে হঠাৎ বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নতুন চাকরি নিয়ে সব সামলে ওঠার আগেই শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রভাবে বারবার নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় এখন আর বেতনের টাকায় সংসার চালানো যাচ্ছে না। আমার বেতনের প্রায় পুরো টাকা বাজারেই শেষ হয়ে যায়।’ গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী শামসুর রহমান।
আরও কয়েকজন জানালেন, প্রায় প্রতিদিন সবকিছুর দাম বাড়লেও বেতন না তো বাড়ে না। তাই তাঁরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বাজার করতে আসা জাকির হোসেন বললেন, তাঁর বাবা বেঁচে নেই। পরিবারে স্কুলপড়ুয়া সন্তান রয়েছে দুজন। সঙ্গে আছেন মা ও ছোট ভাই। সব মিলিয়ে ছয়জনের সংসার। তাই বাধ্য হয়ে বাবার ব্যাংকে জমানো টাকা থেকে প্রতি মাসে খরচ করতে হচ্ছে। এভাবে চললে বাবার টাকাও তো একসময় শেষ হয়ে যাবে।
রাশেদা খানম নামের আরেকজন বলেন, ‘সারা মাস চাকরি করে যে বেতন পাই, ব্যাগ ভরে যদি এক দিন বাজার করি, তাতেই বেতনের অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়।’
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বঙ্গবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে বাজারে অন্তত ১৫টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্যমূল্য তালিকায়ও তা লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও দাম কমছে না।
বিক্রেতারা বলছেন, এক সপ্তাহ আগে ১১৫ টাকার চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। প্রতি কেজি ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডাল ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। এ ছাড়া খোলা আটা প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬২-৬৩ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৩ টাকা থেকে বেড়ে ৬৬ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৫ টাকা, পাম অয়েল সুপার ১৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দাম বেড়েছে লবণ, আদা, রসুন, ধনে, জিরা, ছোলা, শুকনা মরিচ, হলুদ, লবঙ্গসহ আরও কিছু পণ্যের।
এদিকে শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরে গেলেও দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছিল। গতকালও সেই দামের হেরফের হয়নি। শুধু শিম নয়, কোনো সবজির দামই কমেনি। বাজারগুলোতে গাজর ও টমেটো আগের মতোই ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে আলুর কেজি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এ ছাড়া শসা রকমভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের দামেও পরিবর্তন আসেনি।
তবে সবজির এমন দামকে বেশি বলে মানতে নারাজ বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, পুরোদমে শীতের সবজি বাজারে এলে দাম আরও কমে যাবে। সবজিবিক্রেতা শাহরিয়ার বলেন, বাজারে অন্যান্য জিনিসের দাম অনুযায়ী সবজির দাম এখনো কম। আরও কয়েক দিন পর শীত বাড়লে তা আরও কমে যাবে।
বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা নানা কারণ ও অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন। ভোক্তারা এখন অসহায়, এ অবস্থায় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে জোরালো ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাজার তদারক করছি। অনিয়ম পেলে শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫