Ajker Patrika

আট বছরেও বিচার পায়নি শিক্ষক কামরুলের পরিবার

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ১০
Thumbnail image

আট বছর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামের স্কুলশিক্ষক শেখ মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে (৪২) প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত সড়কের ওপরে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকেরা। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন চতুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই সহকারী শিক্ষক।

তবে শিক্ষক কামরুল ইসলামকে হত্যার দীর্ঘ দিন পার হলেও এখনো এর বিচার পায়নি তাঁর পরিবার। পরিবারের আক্ষেপ জীবদ্দশায় ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারেননি নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম শেখ। হত্যা মামলাটি বর্তমানে ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ দ্বিতীয় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে বিচারাধীন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২৬ নভেম্বর নিহতের বড় ভাই এসএম খায়রুল আলম ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক নিপুন মজুমদার এজাহারে উল্লেখিত ১২ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন।

মামলার বাদী এসএম খায়রুল আলম বলেন, মামলার ১২ আসামির সবাই এখন জামিনে আছেন। আর অভিযোগপত্রের ২৩ সাক্ষীর মধ্যে বিচারিক আদালতে ইতিমধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্কুলশিক্ষক বাবার আকুতি ছিল সন্তান হত্যার বিচার দেখা। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা ও ছেলেকে খুন করার পর দুশ্চিন্তায় তিনি আর বেশি দিন বাঁচতে পারেননি। মামলার আসামিপক্ষ ও আসামিদের সমর্থনে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের থেকে মামলা প্রত্যাহারের অব্যাহত চাপও বাবার মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে।

নিহত কামরুল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খানম এখন ঢাকা জেলা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, স্বামী হত্যার ন্যায়বিচার পাব বলে আমি আশাবাদী। তবে বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতায় বিচার অঙ্গনের একজন মানুষ হিসেবে আমিও হতাশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত