Ajker Patrika

২১ বছর পার হয়েছে এখনো বিচার হয়নি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১১: ০১
Thumbnail image

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন স্বজন ও দলটির নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনার ২১ বছর পূর্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার চাষাঢ়ায় স্থাপিত নিহতদের স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন তাঁরা।

সকালে দিনের শুরুতে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ। এরপর নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা–কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন হামলায় দুটি পা হারানো মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা বিচারটা দেখে যেতে চাই। ঘটনার ২১ বছর পার হয়েছে, কিন্তু এখনো বিচার হয়নি। এটা অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি এই হামলার বিচার একদিন হবে। বাংলাদেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কালচারে রূপ নিয়েছে। জাতির জনক হত্যার বিচার হতে ৩০ বছর সময় লেগেছে। আমরাও মনে হয় সেই ধারাই অনুসরণ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। এই হামলার পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনবেন।’

বোমা হামলায় মা হারানো শাহিদা আক্তার ঝুমা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আর কী বলব? প্রতিবছর এই দিনে এসে বিচারের দাবি জানাই। কিন্তু আমাদের পরিবারগুলোর দিকে কেউ তাকায় না। আমাদের ব্যবহার করে অনেক নেতা ফায়দা লুটেছে। কিন্তু আমাদের কেউ খোঁজ নেয় না।’ ঝুমার মা পলি বেগম ছিলেন তৎকালীন ফতুল্লা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, দুই পা হারানো রতন কুমার দাস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া এলাকার তৎকালীন আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়। যেখানে প্রথমবারের মতো আরডিএক্স বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। এই হামলায় একে একে ২০টি তাজা প্রাণ ঝড়ে যায়।

এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। চির দিনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দনশীল ও তৎকালীন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন দাস। তবে এখনো এই মামলার কোনো কুল কিনারা হয়নি। ঘটনার প্রায় ২১ বছর পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন কারণে মামলাটি ঝুলে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত