Ajker Patrika

নাব্যতা-সংকটে সরেছে ঘাট, শুরু দুর্ভোগের

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩৪
নাব্যতা-সংকটে সরেছে ঘাট, শুরু দুর্ভোগের

যমুনা নদীতে নাব্যতা-সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বগুড়ার সারিয়াকান্দির কালীতলা নৌঘাটটি ৫ কিলোমিটার দূরে দেবডাঙ্গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে কালীতলার ঘাটের যাত্রীদের কয়েক কিলোমিটার বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হচ্ছে। তাঁদের ভাড়াও দিতে হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে যাতায়াতে সময়ও বেশি লাগছে। এদিকে ঘাটে লোকজন কম আসায় স্থানীয় কালীতলা নৌঘাটের বিভিন্ন ধরনের দোকানিরা এখন প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ঘাটটি স্থানান্তর না করে নদীর অল্প কিছু স্থানে ড্রেজিং করা হলে এ সমস্যার সমাধান হতো।

কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর পানি কমে এর নাব্যতা-সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নৌরুটে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় নৌকাগুলো আটকে যায়। ফলে সারিয়াকান্দি পৌরসভার কালীতলা নৌঘাটটি দেবডাঙ্গায় স্থানান্তর করা হয়।

একাধিক সূত্রমতে, সারিয়াকান্দির কালীতলা নৌঘাট থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ জামথল নৌঘাটে হাজার হাজার যাত্রী মোটরসাইকেল, নানা কৃষিপণ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন করতেন। এই নৌরুটে আর যাত্রী পরিবহন হচ্ছে না। গত শুক্রবার থেকে ঘাটটি একই উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের দেবডাঙ্গায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

কালীতলা নৌঘাট থেকে জামথল নৌঘাটের দূরত্ব বর্ষাকালে ১২ কিলোমিটার এবং শুষ্ক মৌসুমে ১৬ কিলোমিটার। অন্যদিকে দেবডাঙ্গা নৌঘাট থেকে জামথল নৌঘাটের দূরত্ব বর্ষাকালে ১৫ কিলোমিটার এবং শুষ্ক মৌসুমে ২২ কিলোমিটার। তা ছাড়া সারিয়াকান্দি থেকে দেবডাঙ্গার দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।

এদিকে কালীতলা নৌঘাট থেকে জামথল নৌঘাটের খেয়াভাড়া ছিল ৬০ টাকা। রিজার্ভ নৌকার ভাড়া ছিল ১০০ টাকা। এখন কালীতলা থেকে দেবডাঙ্গা যেতে সড়কপথে যাত্রীভাড়া মাথাপিছু ২০ টাকা দিতে হয়। অপরদিকে দূরত্ব বৃদ্ধিতে খেয়াভাড়া হয়েছে ৮০ টাকা। ফলে জামথল যেতে যাত্রীদের ৪০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। অপরদিকে রিজার্ভ নৌকার ভাড়া হয়েছে ১২০ টাকা।

কালীতলা ঘাটে কথা হয় অসিম কুমারের সঙ্গে। তিনি জামালপুরে সরকারি চাকরি করেন। তাঁর বাড়ি নাটোরের সিংড়ায়। তিনি প্রায়ই কালীতলা ঘাট দিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ‘জামালপুর যাওয়ার জন্য কালীতলা ঘাটে এসেছিলাম। এসে শুনি কয়েক দিন হলো ঘাটটি দেবডাঙ্গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হবে।’

স্থানীয় কালীতলা ঘাটের মতির হোটেলের স্বত্বাধিকারী মতিউর রহমান বলেন, ‘এই নৌঘাটে ছোট-বড় ৫০টির বেশি বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট আছে। নৌঘাটটি স্থানান্তর করায় বেচাকেনা বন্ধের দিকে। সরকার যদি নদীটি অল্প কিছু ড্রেজিং করে দিত, তাহলে যাত্রীদেরও সুবিধা হতো আমাদেরও পরিবারগুলো চলত।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, জনসাধারণের সাময়িক দুর্ভোগের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। নাব্যতা ফিরে পেলে পুনরায় ঘাটটি দেবডাঙ্গা থেকে কালীতলায় নিয়ে আসা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত