Ajker Patrika

চীন কি দরিদ্র দেশগুলোকে ‘ঋণের ফাঁদে’ ফেলছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ১০
Thumbnail image

দরিদ্র দেশগুলোকে ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে চীন। কারণ, এই ঋণ শোধ করতে গিয়ে বিশাল অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়ছে দেশগুলো। যদিও এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে চীন বলছে, তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে পশ্চিমারা। বেইজিংয়ের দাবি, এমন একটি দেশও নেই যারা চীনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে তথাকথিত ‘ঋণের ফাঁদে’ পড়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম একক ঋণদাতা দেশগুলোর মধ্যে একটি চীন। বিবিসি বলছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দেশটির ঋণ গত এক দশকে তিন গুণ বেড়েছে, যা ২০২০ সালের শেষ নাগাদ পৌঁছেছে ১৭ হাজার কোটি ডলারে। যদিও বিশ্লেষকদের ধারণা, চীনের দেওয়া সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ এই পরিসংখ্যানগুলোর চেয়ে আরও অনেক বেশি। কারণ, তাদের অনেক ‘গোপন ঋণ’ রয়েছে, যা সরাসরি সরকারি নথিতে উল্লেখ নেই। এ ছাড়া চীন তার বিদেশি ঋণের তথ্যও প্রকাশ করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এইডডাটার গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বের ৪০টির বেশি নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশ রয়েছে, চীনের কাছে যাদের ঋণ নিজেদের জিডিপির আকারের চেয়েও ১০ শতাংশ বেশি। চীনের পাওনা ঋণের বেশির ভাগই রাস্তা, রেলপথ, বন্দর এবং খনি ও জ্বালানি শিল্পের মতো বড় অবকাঠামো প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত।

‘ঋণ ফাঁদ’ কী?

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান রিচার্ড মুর বলেন, অন্য দেশের কাছ থেকে বিশেষ উদ্দেশ্যসাধনের জন্য চীনের অন্যতম কৌশল এই ঋণ। দেশগুলো ধার নেওয়া অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে মূল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় চীনের হাতে।

এ ক্ষেত্রে প্রায়ই শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টানেন চীনের সমালোচকেরা। কয়েক বছর আগে চীনা বিনিয়োগে হাম্বানটোটায় একটি বিশাল বন্দর প্রকল্প শুরু করেছিল দেশটি। কিন্তু প্রকল্পটি লাভজনক প্রমাণিত না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে ক্রমবর্ধমান ঋণে জর্জরিত হয় কলম্বো। পরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না মার্চেন্টসকে আরও চীনা বিনিয়োগের বিনিময়ে ৯৯ বছরের লিজে ওই বন্দরের ৭০ শতাংশের শেয়ার দিতে সম্মত হয় শ্রীলঙ্কা। বিশ্বের আরও অনেক দেশেও চীনের ঋণ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।

পরিশোধ করা কঠিন

ধনী পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় ঋণের বিপরীতে উচ্চ হারে সুদ নেয় চীন। এ ছাড়া চীনা ঋণ পরিশোধের সময়কালও অন্য ঋণদাতাদের তুলনায় কম। তবে দরিদ্র দেশগুলোকে মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ঋণ ছাড় দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জি-২০ দেশগুলো। এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছে চীনও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত