Ajker Patrika

মশার সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু-আতঙ্ক

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
মশার সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু-আতঙ্ক

হবিগঞ্জ শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনে-রাতে সব সময়, ঘরে-বাইরে সব জায়গায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ। এতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় শহরবাসী। শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে হবিগঞ্জে তিনজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ায়। মশার উপদ্রব বৃদ্ধি ও ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার পরও নীরব পৌর কর্তৃপক্ষ। মশা নিধনে নেই কোনো তৎপরতা।

যদিও পৌরসভার মেয়র বলছেন, নানা জটিলতায় মশা নিধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আগামী সপ্তাহ থেকে আবার শুরু হবে। হবিগঞ্জ শহরের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নালা ও ডোবাগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপ মশার ভয়াবহ বংশবিস্তার ঘটিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নালাগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। যে কারণে প্রতিটি নালা এখন ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে এগুলোতে এডিস মশাসহ বিভিন্ন ধরনের মশা বংশবিস্তার করছে।

চিড়িয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা রূপক চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকার নালাগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ফলে এসব ড্রেনে মশা ডিম দিয়ে বাচ্চা তুলছে। যে কারণে মশার উপদ্রবে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। রাতে মশারি ছাড়া ঘুমানো তো দূরের কথা, দিনের বেলা বাসায় থাকাই দায় হয়ে গেছে।’

শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, ‘সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। আমরাও সব সময় আতঙ্কে থাকি কখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হই। রাতদিন মশার উপদ্রব। কোনোভাবেই মশাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। এমনকি আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে কামান দিয়ে মশা নিধন করা হতো। এখন এত বেশি উপদ্রব কিন্তু পৌরসভা নীরব।’

এদিকে, গেল সপ্তাহে হবিগঞ্জে তিনজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। যদিও তাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আমরা ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন করেছি। তবে নানা জটিলতার কারণে কিছুদিন সেটি বন্ধ ছিল। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে আগে স্প্রে করা ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে।’

মেয়র বলেন, ‘হবিগঞ্জ পৌরসভায় ছয়টি ফগার মেশিন ছিল, যার চারটিই বিকল। কয়েক দিন আগে আমি নতুন ১২টি মেশিন আনিয়েছি। আগামী সপ্তাহেই স্প্রে করা শুরু হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত