Ajker Patrika

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মে ২০২২, ১১: ১১
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কৃষক প্রণোদনার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের চারশতাধিক স্থানীয় কৃষক এ নিয়ে এক প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভা শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সালাম মিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, নিয়ম মেনেই তালিকা করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল শিলাবৃষ্টি ও ১৪ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত উজানের পানি বেড়ে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা ও জামারবালি গ্রামের প্রায় ৪০০ কৃষকের ধানি জমির ক্ষতি হয়। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নামের তালিকা তৈরি করে কৃষি অফিস। কিন্তু কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল সরেজমিন না গিয়ে নিজের পছন্দমতো লোক দিয়ে তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকায় প্রকৃত কৃষক ও ক্ষতিগ্রস্তদের নাম নেই। এ ছাড়া একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম সরকারি প্রণোদনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চাল বিতরণ করা হয়। এতে সোনাতলা ও জামারবালি গ্রামের প্রায় ৪০০ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সরকারি প্রণোদনার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

প্রতিবাদ সভায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা, জামারবালি ও মাইজখোলাসহ তিন ওয়ার্ডে ৪০০ থেকে ৫০০ কৃষকের শিলাবৃষ্টি ও উজানের পানির কারণে পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কৃষি অফিসের লোকজন তাঁদের কোনো সরকারি প্রণোদনা দেয়নি। এমনকি তালিকা প্রণয়নে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি। তালিকায় বিত্তবান ও একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামও রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. নাছির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ১০ বিঘা ধানিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে। কিন্তু কৃষি অফিসের কোনো লোক কোনো দিন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’

অভিযুক্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল বলেন, ‘আমি তালিকা তৈরিতে কোনো স্বজনপ্রীতি করিনি। সরকারি নিয়ম মেনেই তালিকা করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ তারেক বলেন, ‘শিলাবৃষ্টি ও পানিতে তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আলাদা করে তালিকা করা হয়েছে। সবাই সরকারি প্রণোদনার আওতায় আসবে।’ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তা সরেজমিন গিয়েছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে জনবলের সংকট আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত