সম্পাদকীয়
কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন সমাজভাবুক, জ্ঞানতাপস, পরিসংখ্যানবিদ, দাবাড়ু ও সাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তবে পৈতৃক বাড়ি ছিল ফরিদপুরের পাংশা উপজেলার বাগমারায়।
তিনি কুষ্টিয়া হাইস্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স এবং রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স পাস করেন। একই বিষয়ে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৩৮ সালে পরিসংখ্যানে ডিপ্লোমা এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ‘পরীক্ষণ প্রকল্প’ বিষয়ে গবেষণা করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আজীবন তিনি দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে পালন করেছেন বিবেকি ভূমিকা। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নের একজন অধ্যাপক, পূর্ববঙ্গে পরিসংখ্যানবিদ্যা পঠনের জনক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষার পথিকৃৎ, বুদ্ধি মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বপুরুষ। রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বাংলার পক্ষে দৃঢ় সমর্থন, আধুনিকমনা ও প্রগতিশীল তরুণ সাহিত্যসেবীদের নেতৃত্বদান, পাকিস্তান সরকারের রবীন্দ্র-বর্জনের বিরোধিতা ও অন্যান্য গণবিরোধী সাংস্কৃতিক নীতির প্রতিবাদ, বাংলা নববর্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিসহ বাঙালি সংস্কৃতিচর্চায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। তবে স্বাধীন বিচারবুদ্ধি দিয়ে সবকিছু বিচার করতেন। গোঁড়ামি পছন্দ করতেন না। আরবি-ফারসি বেশ ভালো জানতেন।
কাজী মোতাহার হোসেনের প্রথম প্রবন্ধের বই ‘সঞ্চরণ’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। সে সময় বইটি বহু পাঠককে আলোড়িত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বইটির প্রশংসা করেছিলেন প্রাঞ্জল ভাষা, বলার সাহস এবং চিন্তার স্বকীয়তার জন্য।
কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইমেরিটাস প্রফেসর’ পদে নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৫ সালে ‘জাতীয় অধ্যাপক’ পদে সম্মানিত হন।
১৯৮১ সালের ৯ অক্টোবর তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন সমাজভাবুক, জ্ঞানতাপস, পরিসংখ্যানবিদ, দাবাড়ু ও সাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তবে পৈতৃক বাড়ি ছিল ফরিদপুরের পাংশা উপজেলার বাগমারায়।
তিনি কুষ্টিয়া হাইস্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স এবং রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স পাস করেন। একই বিষয়ে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৩৮ সালে পরিসংখ্যানে ডিপ্লোমা এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ‘পরীক্ষণ প্রকল্প’ বিষয়ে গবেষণা করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আজীবন তিনি দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে পালন করেছেন বিবেকি ভূমিকা। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নের একজন অধ্যাপক, পূর্ববঙ্গে পরিসংখ্যানবিদ্যা পঠনের জনক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষার পথিকৃৎ, বুদ্ধি মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বপুরুষ। রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বাংলার পক্ষে দৃঢ় সমর্থন, আধুনিকমনা ও প্রগতিশীল তরুণ সাহিত্যসেবীদের নেতৃত্বদান, পাকিস্তান সরকারের রবীন্দ্র-বর্জনের বিরোধিতা ও অন্যান্য গণবিরোধী সাংস্কৃতিক নীতির প্রতিবাদ, বাংলা নববর্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিসহ বাঙালি সংস্কৃতিচর্চায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। তবে স্বাধীন বিচারবুদ্ধি দিয়ে সবকিছু বিচার করতেন। গোঁড়ামি পছন্দ করতেন না। আরবি-ফারসি বেশ ভালো জানতেন।
কাজী মোতাহার হোসেনের প্রথম প্রবন্ধের বই ‘সঞ্চরণ’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। সে সময় বইটি বহু পাঠককে আলোড়িত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বইটির প্রশংসা করেছিলেন প্রাঞ্জল ভাষা, বলার সাহস এবং চিন্তার স্বকীয়তার জন্য।
কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইমেরিটাস প্রফেসর’ পদে নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৫ সালে ‘জাতীয় অধ্যাপক’ পদে সম্মানিত হন।
১৯৮১ সালের ৯ অক্টোবর তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪