Ajker Patrika

মানুষের কষ্ট লাঘব করতে হবে

সম্পাদকীয়
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৮
মানুষের কষ্ট লাঘব করতে হবে

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। দাম বাড়ার এই দৌড় শিগগিরই থামবে বলে মনে হয় না। মূল্যবৃদ্ধির চাপে কোটি কোটি মানুষ পিষ্ট হচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে। মানুষের আয় কমছে, ব্যয় বাড়ছে। এ এক দুঃসহ অবস্থা। যাঁদের আয়-রোজগারের সীমা নেই, তাঁদের কাছে দাম বেশি কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু যাঁদের আয় সীমিত, নির্দিষ্ট, তাঁদের কষ্টের শেষ নেই। আগে বাজারে পণ্যের ঘাটতি থাকলে দাম বাড়ত। আজকাল দাম বাড়ার কোনো কারণ লাগে না। যাঁরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরা খেয়ালখুশিমতো দাম বাড়িয়ে নিজেদের মুনাফা বাড়ান, আর নিম্নবিত্ত, বিত্তহীন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলেন।

গত এক বছরে বিশ্ববাজারে অনেক পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বেড়েছে জাহাজের ভাড়াও। তাই যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোর দাম বাড়ার একটা যুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও অস্বাভাবিক কেন? শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদক কৃষক ভালো দাম না পেলেও বাজারে কোনো সবজির দাম কি কম ছিল? আমরা কি আমাদের দেশে উৎপাদিত সবজি বিদেশে রপ্তানি করছি? একশ্রেণির ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগী ও মহাজনের সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে মুনাফা লোটেন, আর সর্বস্বান্ত হন ভোক্তা ও খোদ উৎপাদকেরা। মন্ত্রীরা বলছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তাহলে চালের দাম কেন বাড়ছে? এই প্রশ্ন তোলা কি অসংগত? এসব দেখার এবং বাজার-অরাজকতা বন্ধ করার কেউ কি নেই?

আমাদের দেশে এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আবার সরকার বা সরকারি দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

আজকের পত্রিকায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে একজন অর্থনীতিবিদ যথার্থই বলেছেন যে বাজারে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। এখানে বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সরকার তাদের পরামর্শে চলে। বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকায় যার যা খুশি করে চলেছে।

তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, জনসাধারণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে সরকার কয়েকটি পণ্য ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর ও ছোলা সরবরাহ করা হবে। এসব পণ্য টিসিবির ট্রাকের মাধ্যমে না দিয়ে সরাসরি দুস্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এটা সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। মানুষের কষ্ট বাড়ানো নয়, লাঘব করাই সরকারের দায়িত্ব। বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া দরকার। আর সাশ্রয়ী দামে পণ্য সরবরাহে কোনোভাবেই যেন কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অপচয়-দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে বেশি মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত