
আজকের পত্রিকা: দেশের পরিস্থিতি কেমন বুঝছেন?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: কথাটা মজা করে বললে আমাদের পার্টির একজন সিনিয়র নেতা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে বলতেন, দেশের পরিস্থিতি এখন দুই টাকার নোটের মতো। মানে ভালো হোক, মন্দ হোক, চলে যাচ্ছে আর কি। কাউকে দুই টাকা দিলে কেউ না বলে না। আসলে পরিস্থিতিটা সে রকমই চলছে। কিন্তু এটাকে চলা বলে না। পরিস্থিতিটা দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রথমত, অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমিক, মেহনতি, মধ্যবিত্ত তারা দিন যত যাচ্ছে, কত কম খেয়ে টিকে থাকা যায়, সেভাবে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয়ত, মানুষকে হতাশা গ্রাস করছে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে মানুষের মধ্যে এই ধারণা কাজ করছে যে তারা কীভাবে বেঁচে আছে—সেটাই যেন জানে না।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনের কথা যদি বলি, রাজনীতিবিদেরা মনে করছেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিই যেন স্বাভাবিক একটা বিষয়। সে রকম একটা জায়গায় আমাদের দেশ পৌঁছে গেছে।
আজকের পত্রিকা: সিপিবি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: আমাদের পার্টি চায়, পুরো সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের জন্য নানা ধরনের পথ আছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যেতে পারে। এ পথ তো আছেই। এর বাইরেও আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। মূল কথা হলো, গণ-অভ্যুত্থান বা অন্য যেভাবেই করি না কেন নির্বাচনে তো অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে যেটা হচ্ছে, সেটাকে প্রহসন ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। অতীতেও এ ধরনের পরিস্থিতি অনেকবার হয়েছে। আর গত দুটি নির্বাচন বড় ধরনের বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, তাহলে সেই নির্বাচনে সিপিবি অংশগ্রহণের চিন্তা করবে। যদি নির্বাচনের নামে প্রহসন করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচনে সিপিবি অংশ নেবে না।
আজকের পত্রিকা: এখন যদি রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে আশা করেন?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: অবস্থার পরিবর্তন হলে, কোন দিকে যাবে—সেটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আওয়ামী লীগ তিন টার্মে ক্ষমতায় থেকে দেশে একটা দুঃশাসন এবং স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করেছে। বর্তমানে আমাদের সমাজে চারটি বড় ঘটনা ঘটে গেছে। সমাজে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে, রাজনীতিতে বিভক্তি বেড়েছে, ভয়ের সংস্কৃতি সর্বত্র বিরাজ করছে, গণতন্ত্র নাই হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হচ্ছে, লুটপাটতন্ত্র জেগে আছে, বিদেশি শক্তি আধিপত্যের ক্ষেত্রে ভূমিকা নিচ্ছে এবং নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির নামে লুটপাট চলছে। দেশে আয়বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যদি আমরা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রামে জয়ী হতে পারি, তাহলে দেশের মানুষের জন্য আমরা একটা কল্যাণ বয়ে আনতে পারব। কিন্তু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যদি স্থিতিশীলতা রক্ষা না পায়, তাহলে তো সেটা খারাপই হবে। আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেশ আরও পেছনে গেলে, মানুষের মুক্তি আসবে কীভাবে? সে জন্যই আমরা মনে করি মুক্তির একটিই পথ—ব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রামটা জোরদার করা।
আজকের পত্রিকা: বাম বিকল্পের অগ্রগতির কোনো খবর আছে?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: দেশে বাম, প্রগতিশীল শক্তির ঐক্য নানা কারণে জরুরিভাবে দরকার। প্রচলিত ব্যবস্থা পাল্টিয়ে জনকল্যাণমুখী ব্যবস্থার জন্যও এ ধরনের একটা বিকল্প দরকার। আমরা নব্বইয়ের দশকে বলেছিলাম, দেশি-বিদেশি লুটেরারা এ দেশের রাজনীতিকে দ্বিদলীয় রাজনীতির ফাঁদে ফেলতে চায়। দ্বিদলীয় রাজনীতির ফাঁদটা এমন, নামে-বেনামে যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তারা লুটেরা ধনিক শ্রেণি, বিদেশি কমিশনভোগী, সামরিক-বেসামরিক আমলাদের স্বার্থ রক্ষা করবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যে লড়াই, সেটা এখনো জারি আছে।
আমাদের জন্য এটা মোটেও সুখবর নয়। যাদের নিয়ে আমরা এ লড়াইয়ের সূচনা করলাম, তাদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের মধ্যে একীভূত হয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে আবার যাদের নিয়ে এক জায়গায় দাঁড়াতে চাইলাম, তাদের মধ্যে দুটি দল বিএনপির বলয়ে চলে গেল। এ রকম একটা সংকটজনক পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে কিছু হতাশা ও প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। তারপরও আমি বলব, নীতিহীন রাজনীতির মধ্যেও সিপিবি এখন বাম গণতান্ত্রিক জোটের মধ্য দিয়ে যে লড়াই-সংগ্রাম জারি রেখেছে, সেটা এক ধাপ অগ্রগতি।
মানুষ অন্তত দেখতে পাচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বাইরেও একটা নীতিনিষ্ঠ শক্তি দেশে আছে। সম্প্রতি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ঐক্য ন্যাপ ও বাংলাদেশ জাসদ যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করব। তারা তাদের নিজস্ব দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হবে এবং দুঃশাসনের অবসানের জন্য ব্যবস্থা বদলের লড়াইয়েও ঐক্যবদ্ধ হবে। এ ধারা এগোচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা, উপজেলা, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দ্বিদলীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে দুঃশাসনের অবস্থার বদল চায় এমন অনেক ব্যক্তি, সংগঠন আছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আছি। এভাবে বিকল্প শক্তি সমাবেশের জন্য যে মালাটা গাঁথার চেষ্টা করছি, ভবিষ্যতে এটা আরও বেশি দৃশ্যমান হবে।
আজকের পত্রিকা: একদিকে দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি বাড়ছে, অপরদিকে দুর্নীতি-লুটপাট ও টাকা পাচারও হচ্ছে। প্রতিরোধের উপায় কী?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: এসব অস্বীকার করার সুযোগ নেই। দেশের পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে সমাজের মধ্যে সাম্প্রদায়িকীকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজনীতি হলো উপরিকাঠামো আর ভিত্তিটা হলো অর্থনীতি। নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির কতগুলো অনিবার্য পরিণতি আছে। তাকে টিকে থাকতে হলে সমাজের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও লুটপাটতন্ত্রকে বিস্তার ও প্রশ্রয় দিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাশের দেশসহ পাশ্চাত্য দেশগুলো তথাকথিত উন্নত সংস্কৃতির কথা বলে থাকে। সেই সব দেশে জাত-উপজাত, বর্ণবাদ ও ধর্মীয় উত্থানের ঘটনা ঘটছে। সবই হলো নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির অনিবার্য ফল।
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকেই যে উদারনীতিবাদী অর্থনীতি গ্রহণ করেছে, যা এখনো বহমান। এর পাহারাদার হচ্ছে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি। অসৎ আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী—এই ত্রয়ী দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি তৈরি করেছে, তাদের বহাল রাখতে গেলে লুটপাটতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রশ্রয় দিতে হবে।
এখন আমরা যদি সাম্প্রদায়িক শক্তি ও লুটপাটতন্ত্রকে উপড়ে ফেলে অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গড়তে বিজয় লাভ করতে চাই, এর জন্য নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির বিরুদ্ধে বৌদ্ধিক সংগ্রামটা আমাদের করতে হবে। স্পষ্ট করে বললে পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য সংগ্রামটা করতে হবে। ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া সাময়িক টোটকা দিয়ে এর পুরো সমাধান করা যাবে না। এর জন্য নীতিনিষ্ঠ বাম বিকল্প শক্তিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।
আজকের পত্রিকা: সিপিবির অভ্যন্তরে বিরোধের কথা শোনা যায়। আসল ঘটনা কী?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: যারা বাংলাদেশে বিকল্প শক্তির উত্থান চায় না, এটা তাদের একধরনের অপপ্রচার। এ দেশে যদি বিকল্প বাম শক্তির উত্থান ঘটে, তাহলে তার অন্যতম সহায়ক শক্তি হবে সিপিবি। সুতরাং এটা যেন না ঘটে তার জন্য নানা গ্রুপ, নানাভাবে চেষ্টা করছে।
এক বছর আগে আমাদের পার্টির জাতীয় কংগ্রেস হয়েছে। আমাদের অন্যতম সৌন্দর্য হলো, কংগ্রেসের আগে যে দলিল রচনা করি তার কপি আমরা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিই। সবার মতামত গ্রহণ করি। দলিল নিয়ে নানা মত ও দ্বিমত থাকে।
আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছে আমাদের রাজনৈতিক প্রস্তাব গ্রহণ করি। সুতরাং আমাদের ভেতরে অনৈক্যের কোনো কারণ দেখি না। আমাদের নেতৃত্ব ডেলিগেটদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের দল চলছে। তাই দলের মধ্যে বিরোধের কোনো ব্যাপার নেই। তবে আমার ধারণা, বাংলাদেশে যেভাবে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ প্রধান উপাদান হিসেবে দাঁড়িয়েছে, তাতে করে কোথাও কোথাও নেতৃত্বের কোনো অংশের মধ্যে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার ব্যাপার আছে কি না, আমি জানি না। আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, আমাদের পার্টিতে অনৈক্যের কোনো ধরনের ব্যাপার নেই।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে ধন্যবাদ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।

আজকের পত্রিকা: দেশের পরিস্থিতি কেমন বুঝছেন?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: কথাটা মজা করে বললে আমাদের পার্টির একজন সিনিয়র নেতা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে বলতেন, দেশের পরিস্থিতি এখন দুই টাকার নোটের মতো। মানে ভালো হোক, মন্দ হোক, চলে যাচ্ছে আর কি। কাউকে দুই টাকা দিলে কেউ না বলে না। আসলে পরিস্থিতিটা সে রকমই চলছে। কিন্তু এটাকে চলা বলে না। পরিস্থিতিটা দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রথমত, অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমিক, মেহনতি, মধ্যবিত্ত তারা দিন যত যাচ্ছে, কত কম খেয়ে টিকে থাকা যায়, সেভাবে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয়ত, মানুষকে হতাশা গ্রাস করছে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে মানুষের মধ্যে এই ধারণা কাজ করছে যে তারা কীভাবে বেঁচে আছে—সেটাই যেন জানে না।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনের কথা যদি বলি, রাজনীতিবিদেরা মনে করছেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিই যেন স্বাভাবিক একটা বিষয়। সে রকম একটা জায়গায় আমাদের দেশ পৌঁছে গেছে।
আজকের পত্রিকা: সিপিবি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: আমাদের পার্টি চায়, পুরো সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের জন্য নানা ধরনের পথ আছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যেতে পারে। এ পথ তো আছেই। এর বাইরেও আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। মূল কথা হলো, গণ-অভ্যুত্থান বা অন্য যেভাবেই করি না কেন নির্বাচনে তো অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে যেটা হচ্ছে, সেটাকে প্রহসন ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। অতীতেও এ ধরনের পরিস্থিতি অনেকবার হয়েছে। আর গত দুটি নির্বাচন বড় ধরনের বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, তাহলে সেই নির্বাচনে সিপিবি অংশগ্রহণের চিন্তা করবে। যদি নির্বাচনের নামে প্রহসন করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচনে সিপিবি অংশ নেবে না।
আজকের পত্রিকা: এখন যদি রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে আশা করেন?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: অবস্থার পরিবর্তন হলে, কোন দিকে যাবে—সেটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আওয়ামী লীগ তিন টার্মে ক্ষমতায় থেকে দেশে একটা দুঃশাসন এবং স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করেছে। বর্তমানে আমাদের সমাজে চারটি বড় ঘটনা ঘটে গেছে। সমাজে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে, রাজনীতিতে বিভক্তি বেড়েছে, ভয়ের সংস্কৃতি সর্বত্র বিরাজ করছে, গণতন্ত্র নাই হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হচ্ছে, লুটপাটতন্ত্র জেগে আছে, বিদেশি শক্তি আধিপত্যের ক্ষেত্রে ভূমিকা নিচ্ছে এবং নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির নামে লুটপাট চলছে। দেশে আয়বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যদি আমরা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রামে জয়ী হতে পারি, তাহলে দেশের মানুষের জন্য আমরা একটা কল্যাণ বয়ে আনতে পারব। কিন্তু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যদি স্থিতিশীলতা রক্ষা না পায়, তাহলে তো সেটা খারাপই হবে। আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেশ আরও পেছনে গেলে, মানুষের মুক্তি আসবে কীভাবে? সে জন্যই আমরা মনে করি মুক্তির একটিই পথ—ব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রামটা জোরদার করা।
আজকের পত্রিকা: বাম বিকল্পের অগ্রগতির কোনো খবর আছে?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: দেশে বাম, প্রগতিশীল শক্তির ঐক্য নানা কারণে জরুরিভাবে দরকার। প্রচলিত ব্যবস্থা পাল্টিয়ে জনকল্যাণমুখী ব্যবস্থার জন্যও এ ধরনের একটা বিকল্প দরকার। আমরা নব্বইয়ের দশকে বলেছিলাম, দেশি-বিদেশি লুটেরারা এ দেশের রাজনীতিকে দ্বিদলীয় রাজনীতির ফাঁদে ফেলতে চায়। দ্বিদলীয় রাজনীতির ফাঁদটা এমন, নামে-বেনামে যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তারা লুটেরা ধনিক শ্রেণি, বিদেশি কমিশনভোগী, সামরিক-বেসামরিক আমলাদের স্বার্থ রক্ষা করবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যে লড়াই, সেটা এখনো জারি আছে।
আমাদের জন্য এটা মোটেও সুখবর নয়। যাদের নিয়ে আমরা এ লড়াইয়ের সূচনা করলাম, তাদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের মধ্যে একীভূত হয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে আবার যাদের নিয়ে এক জায়গায় দাঁড়াতে চাইলাম, তাদের মধ্যে দুটি দল বিএনপির বলয়ে চলে গেল। এ রকম একটা সংকটজনক পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে কিছু হতাশা ও প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। তারপরও আমি বলব, নীতিহীন রাজনীতির মধ্যেও সিপিবি এখন বাম গণতান্ত্রিক জোটের মধ্য দিয়ে যে লড়াই-সংগ্রাম জারি রেখেছে, সেটা এক ধাপ অগ্রগতি।
মানুষ অন্তত দেখতে পাচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বাইরেও একটা নীতিনিষ্ঠ শক্তি দেশে আছে। সম্প্রতি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ঐক্য ন্যাপ ও বাংলাদেশ জাসদ যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করব। তারা তাদের নিজস্ব দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হবে এবং দুঃশাসনের অবসানের জন্য ব্যবস্থা বদলের লড়াইয়েও ঐক্যবদ্ধ হবে। এ ধারা এগোচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা, উপজেলা, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দ্বিদলীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে দুঃশাসনের অবস্থার বদল চায় এমন অনেক ব্যক্তি, সংগঠন আছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আছি। এভাবে বিকল্প শক্তি সমাবেশের জন্য যে মালাটা গাঁথার চেষ্টা করছি, ভবিষ্যতে এটা আরও বেশি দৃশ্যমান হবে।
আজকের পত্রিকা: একদিকে দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি বাড়ছে, অপরদিকে দুর্নীতি-লুটপাট ও টাকা পাচারও হচ্ছে। প্রতিরোধের উপায় কী?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: এসব অস্বীকার করার সুযোগ নেই। দেশের পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে সমাজের মধ্যে সাম্প্রদায়িকীকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজনীতি হলো উপরিকাঠামো আর ভিত্তিটা হলো অর্থনীতি। নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির কতগুলো অনিবার্য পরিণতি আছে। তাকে টিকে থাকতে হলে সমাজের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও লুটপাটতন্ত্রকে বিস্তার ও প্রশ্রয় দিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাশের দেশসহ পাশ্চাত্য দেশগুলো তথাকথিত উন্নত সংস্কৃতির কথা বলে থাকে। সেই সব দেশে জাত-উপজাত, বর্ণবাদ ও ধর্মীয় উত্থানের ঘটনা ঘটছে। সবই হলো নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির অনিবার্য ফল।
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকেই যে উদারনীতিবাদী অর্থনীতি গ্রহণ করেছে, যা এখনো বহমান। এর পাহারাদার হচ্ছে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি। অসৎ আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী—এই ত্রয়ী দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি তৈরি করেছে, তাদের বহাল রাখতে গেলে লুটপাটতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রশ্রয় দিতে হবে।
এখন আমরা যদি সাম্প্রদায়িক শক্তি ও লুটপাটতন্ত্রকে উপড়ে ফেলে অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গড়তে বিজয় লাভ করতে চাই, এর জন্য নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির বিরুদ্ধে বৌদ্ধিক সংগ্রামটা আমাদের করতে হবে। স্পষ্ট করে বললে পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য সংগ্রামটা করতে হবে। ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া সাময়িক টোটকা দিয়ে এর পুরো সমাধান করা যাবে না। এর জন্য নীতিনিষ্ঠ বাম বিকল্প শক্তিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।
আজকের পত্রিকা: সিপিবির অভ্যন্তরে বিরোধের কথা শোনা যায়। আসল ঘটনা কী?
রুহিন হোসেন প্রিন্স: যারা বাংলাদেশে বিকল্প শক্তির উত্থান চায় না, এটা তাদের একধরনের অপপ্রচার। এ দেশে যদি বিকল্প বাম শক্তির উত্থান ঘটে, তাহলে তার অন্যতম সহায়ক শক্তি হবে সিপিবি। সুতরাং এটা যেন না ঘটে তার জন্য নানা গ্রুপ, নানাভাবে চেষ্টা করছে।
এক বছর আগে আমাদের পার্টির জাতীয় কংগ্রেস হয়েছে। আমাদের অন্যতম সৌন্দর্য হলো, কংগ্রেসের আগে যে দলিল রচনা করি তার কপি আমরা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিই। সবার মতামত গ্রহণ করি। দলিল নিয়ে নানা মত ও দ্বিমত থাকে।
আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছে আমাদের রাজনৈতিক প্রস্তাব গ্রহণ করি। সুতরাং আমাদের ভেতরে অনৈক্যের কোনো কারণ দেখি না। আমাদের নেতৃত্ব ডেলিগেটদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের দল চলছে। তাই দলের মধ্যে বিরোধের কোনো ব্যাপার নেই। তবে আমার ধারণা, বাংলাদেশে যেভাবে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ প্রধান উপাদান হিসেবে দাঁড়িয়েছে, তাতে করে কোথাও কোথাও নেতৃত্বের কোনো অংশের মধ্যে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার ব্যাপার আছে কি না, আমি জানি না। আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, আমাদের পার্টিতে অনৈক্যের কোনো ধরনের ব্যাপার নেই।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে ধন্যবাদ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১১ জুন ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১১ জুন ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১১ জুন ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১১ জুন ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫