Ajker Patrika

পাঁচটি পদের সব কটিই শূন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকে তালাবদ্ধ

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ১৪: ৪৯
পাঁচটি পদের সব কটিই শূন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকে তালাবদ্ধ

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, সহকারী চিকিৎসক, মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট ও পিয়ন কেউ-ই নেই। এক বছর ধরে পাঁচ পদের সব কটিই শূন্য। অধিকাংশ সময়ই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তালাবদ্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে একজন অফিস সহকারী রোগীদের ওষুধ দেন। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিত্র।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সেবা। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে প্রায় বন্ধের পথে এ ইউনিয়নের একমাত্র এই সেবাকেন্দ্রটি।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। সবগুলো কক্ষ বন্ধ।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে দুজন চিকিৎসকসহ মোট পাঁচটি পদ রয়েছে। এক বছর ধরে সবকটি পদই শূন্য।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মাসের অধিকাংশ সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে সরাইল থেকে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি আসেন। তিনি তালা খুলে রোগীদের জ্বর-সর্দি ও কৃমির ওষুধ দেন।

জয়ধরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জিয়ন মিয়া বলেন, ‘একদিনও হাসপাতাল খুলতে দেখিনি। বেশির ভাগ সময় তালা ঝুলে থাকে। চিকিৎসক তো দূরের কথা, তাঁর সহকারী কাউকে পাওয়া যায় না। জরুরি সেবার জন্যও ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।

একই এলাকার বাসিন্দা কামাল মিয়া বলেন, ‘একজন বয়স্ক লোক মাঝেমধ্যে হাসপাতালে এসে বসেন। তিনি চিকিৎসক নাকি পিয়ন জানি না। তিনিই আমাদের ওষুধ দেন।’

জয়ধরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য খলিলুর রহমান মাদারী বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশু-কিশোরীদের সমস্যা বেশি হচ্ছে। চিকিৎসক না থাকলেও একজন মিডওয়াইফ থাকলে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা ন্যূনতম সেবা হলেও পেত।’

ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা হাওরাঞ্চলে বাস করি। ডেলিভারি রোগী নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে।’

ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের জন্য এটিই একটি মাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এখানে চিকিৎসক দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অনুরোধ জানাই।’

এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেনের মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া ৫টি পদের সবকটিই শূন্য স্বীকার করে বলেন, ‘উপস্বাস্থ্যেকেন্দ্রটির দুরবস্থার কথা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি, শিগগির ব্যবস্থা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত