Ajker Patrika

ভোট হলো ৩১ জানুয়ারি ফল প্রিন্ট আগের রাতে!

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ৫৮
Thumbnail image

বগুড়ার সারিয়াকান্দির ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে ইভিএমের ফলাফল পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ৪২ ভোটে পরাজিত নৌকার প্রার্থী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের গেজেট প্রকাশ স্থগিত আছে।

৩১ জানুয়ারি সারিয়াকান্দির ১১টি ইউপিতে ভোট হয়। নির্বাচনে কাজলা ইউনিয়নে চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হলেন এ এস এম রফিকুল ইসলাম (আনারস), এ বি এম শামস উদ্দিন জিন্নাহ (মোটরসাইকেল), মো. রাশেদ মোশারফ (ঘোড়া) ও মো. শাহজাহান আলী (নৌকা)। ইউনিয়নটির মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৭০০।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ এ এস এম রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৮৭৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৫ ভোট। ফলে ৪২ ভোট বেশি পাওয়ায় রফিকুল ইসলামকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি নৌকার প্রার্থী শাহজাহান আলী ইভিএমের প্রিন্ট কপি সারিয়াকান্দি নির্বাচন অফিস থেকে তুলে দেখেন পাকুড়িয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল প্রিন্ট করা হয়েছে ৩০ জানুযারি রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে। অথচ ভোট হয়েছে পর দিন ৩১ জানুযারি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

ফলাফলে দেখানো হয় এ এস এম রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭৬ ভোট, এ বি এম শামস উদ্দীন জিন্নাহ পেয়েছেন ২৬ ভোট, মো. রাশেদ মোশারফ পেয়েছেন ৩৮২ ভোট এবং মো. শাহজাহান আলী পেয়েছেন ১৩০ ভোট। নির্বাচনের দিন বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে আগের দিনের প্রিন্ট করা ফলাফল শিটটিই হাতে লিখে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

শাহজাহান আলী বলেন, ‘কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসার ছাইহাটা ডিগ্রি কলেজের সহ. অধ্যাপক মতিয়ার রহমান রফিকুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমি যখন জানতে পারি মতিয়ার প্রিসাইডিং অফিসার হয়েছেন। তখনই সন্দেহ হয়েছিল। ফলে তাঁকে অন্যত্র দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে ৩০ তারিখে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তাঁর কোনো প্রতিকার করেননি।’

এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, নির্বাচনের আগের রাতে ইভিএমের ফলাফল চূড়ান্ত করার বিষয়টি সত্য না। তবে ইভিএমের ফলাফলের প্রিন্ট কপি প্রার্থীদের না দিয়ে হাতে লেখা ফলাফল সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আগের দিন ফলাফল চূড়ান্ত করা সম্পর্কিত একটি কাগজ আমি দেখেছি। ইভিএমের যে প্রিন্ট কপি সরবরাহ করা হয়েছে, তা সঠিক। তবে কীভাবে এটা সম্ভব হলো, তা ভাবনার বিষয়। সেটআপের সময় তারিখে কোনো ভুল হয়েছে কি না, তা এক্সপার্টরা বলতে পারবেন।’

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘অভিযোগটি এখনো হাতে আসেনি। তবে শুনে মনে হচ্ছে অভিযোগটি গুরুতর। অভিযোগটি ফাইল আকারে কমিশনে উঠাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত