শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে আছে রড। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত আছে। পাঠদানের সময় বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গায়ের ওপর পড়ে। অতীতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদানের সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারী শিক্ষা উন্নয়নে ১৯৬২ সালে উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শীর্ষ ফলাফল ধরে রেখেছে এই বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনেই দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থান সংকুলান হচ্ছে না। বর্তমান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ এর বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে এখন রড বের হয়ে আছে। ক্লাস রুমের ইট সরে গিয়ে দেয়াল ফাঁকা হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এক রুম হতে অন্য রুমে ক্যামেরাবন্দী। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুঁয়ে পড়ে ভবনের ভেতরে। এতে করে যেমন শঙ্কায় দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা তেমনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্কুলের গুদাম ঘর ও টিনশেডের ক্লাস চলছে, শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পাঠদান কক্ষ নেই। পাঠদান কক্ষে বাঁশের সঙ্গে ফ্যান ঝোলানো রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটির পাশের ভবনে রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, শিক্ষক মিলনায়তন, রয়েছে লাইব্রেরি, বিজ্ঞান ল্যাবসহ স্পোর্টস অফিস ও বিজ্ঞান বিভাগের পাঠদান কক্ষ রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে রয়েছে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন পাঠদান কক্ষ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি নাজনীন নাহার বলেন, ‘বেশ কিছু বছর ধরে ভবনটির অবস্থা খুবই নাজুক। যেকোনো সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে এমন ভয়ের মধ্যেই থাকতে হয়। সব সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে শঙ্কায় থাকি। এ ছাড়া আবাসন সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।’
দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, ‘ছাদ থেকে কংক্রিট পড়ায় ক্লাস করতে আমাদের ভয় লাগে। কোনো সময় বুঝি মাথার ওপর পড়বে পলেস্তারা। আমরা ভয়ে ভয়ে ক্লাস করি। মাঝে মধ্যে ছাদ থেকে চুন সুরকি পড়ে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর একটি দোতলা ও আরেকটি একতলার ওপর টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে। এ ছাড়া আজও কোনো সরকারি ভবন নির্মাণ হয়নি। বর্তমান ভবনগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ছাদ ধসে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ইকু শিকদার বলেন, ‘শিক্ষার্থী বিবেচনায় উপজেলার সব থেকে বড় বিদ্যালয় এটি হলেও এযাবৎকালের অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। জরাজীর্ণ ভবনের কারণে খুবই ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করে থাকে তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমান অতি সত্তর একটি ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার শামীম আহাম্মেদ খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার উন্নয়নে এই বিদ্যালয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এই বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।’
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে আছে রড। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত আছে। পাঠদানের সময় বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গায়ের ওপর পড়ে। অতীতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদানের সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারী শিক্ষা উন্নয়নে ১৯৬২ সালে উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শীর্ষ ফলাফল ধরে রেখেছে এই বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনেই দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থান সংকুলান হচ্ছে না। বর্তমান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ এর বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে এখন রড বের হয়ে আছে। ক্লাস রুমের ইট সরে গিয়ে দেয়াল ফাঁকা হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এক রুম হতে অন্য রুমে ক্যামেরাবন্দী। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুঁয়ে পড়ে ভবনের ভেতরে। এতে করে যেমন শঙ্কায় দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা তেমনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্কুলের গুদাম ঘর ও টিনশেডের ক্লাস চলছে, শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পাঠদান কক্ষ নেই। পাঠদান কক্ষে বাঁশের সঙ্গে ফ্যান ঝোলানো রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটির পাশের ভবনে রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, শিক্ষক মিলনায়তন, রয়েছে লাইব্রেরি, বিজ্ঞান ল্যাবসহ স্পোর্টস অফিস ও বিজ্ঞান বিভাগের পাঠদান কক্ষ রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে রয়েছে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন পাঠদান কক্ষ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি নাজনীন নাহার বলেন, ‘বেশ কিছু বছর ধরে ভবনটির অবস্থা খুবই নাজুক। যেকোনো সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে এমন ভয়ের মধ্যেই থাকতে হয়। সব সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে শঙ্কায় থাকি। এ ছাড়া আবাসন সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।’
দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, ‘ছাদ থেকে কংক্রিট পড়ায় ক্লাস করতে আমাদের ভয় লাগে। কোনো সময় বুঝি মাথার ওপর পড়বে পলেস্তারা। আমরা ভয়ে ভয়ে ক্লাস করি। মাঝে মধ্যে ছাদ থেকে চুন সুরকি পড়ে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর একটি দোতলা ও আরেকটি একতলার ওপর টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে। এ ছাড়া আজও কোনো সরকারি ভবন নির্মাণ হয়নি। বর্তমান ভবনগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ছাদ ধসে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ইকু শিকদার বলেন, ‘শিক্ষার্থী বিবেচনায় উপজেলার সব থেকে বড় বিদ্যালয় এটি হলেও এযাবৎকালের অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। জরাজীর্ণ ভবনের কারণে খুবই ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করে থাকে তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমান অতি সত্তর একটি ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার শামীম আহাম্মেদ খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার উন্নয়নে এই বিদ্যালয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এই বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।’
বাঙালি মুসলমানের মনে একটা অদ্ভুত ধারণা ভিত্তি পেয়েছে। তাদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ব্রিটিশ যুগে এসেই মুসলমানরা বঞ্চিত হয়েছে। তুর্কি-মোগলদের শাসনামলে বাঙালি মুসলমানরা ধনে-মানে-শিক্ষায়-সংস্কৃতিতে এগিয়ে ছিল। ব্রিটিশরা এসে তাদের সেই অবস্থা থেকে টেনে নামিয়েছে। আর তারই সুযোগ নিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়।
৩ মিনিট আগেসৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪