Ajker Patrika

বৃষ্টিতে ভোগান্তি, ফসলহানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৮
Thumbnail image

লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবারও বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তীব্র শীতে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ক্ষতিসহ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ।

ঠাকুরগাঁও: গতকাল দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ফসল ও বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে ফসল। আলুখেতে জমেছে বৃষ্টির পানি।

গতকাল সদর উপজেলা আকচা ইউনিয়নে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, আগাম গমের খেত বাতাসে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। আলুখেতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। মাঠে কাজ করতে দেখা যায়নি কোনো শ্রমিককে। এ ছাড়া সরিষা, ভুট্টাসহ সব ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দমকা হাওয়ায় বেশ কয়েকটি ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম: মাঘের শেষ ভাগে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বৃষ্টির আগমন জনভোগান্তি বাড়িয়েছে। গতকাল ভোর থেকে শুরু হওয়া বজ্রসহ বৃষ্টি শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। অনেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোজগারের আশায় বের হলেও নিরাশ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, গতকাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

লালমনিরহাট: গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের জনজীবন।

গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও মাঠে-ময়দানে পানি জমে গেছে।

এদিকে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষ কম চলাচল করছে। কাজে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের লোকজন।

লালমনিরহাটের নির্মাণ শ্রমিক ঠিকাদার মহুবর হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি, বাতাস ও কনকনে ঠান্ডার কারণে শ্রমিকেরা কাজে আসতে না পারে নাই। এখন আমার তিনটি বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে।’

লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের আহসান ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে রাস্তায় ইজিবাইক-রিকশা নেই। ফলে শহরে আসতে বা চলাচল করতে ভোগান্তি হচ্ছে।’

পঞ্চগড়: গতকাল সকাল থেকেই পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকায় শীতার্ত মানুষের মাঝে সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকায় অসংখ্য গাছপালা পড়ে জেলার বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সারা দিন বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন কলকারখানাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

কাজের অভাবে বিপাকে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। শহরের রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে। হাটবাজারে মানুষের তেমন আগমন চোখে পড়েনি।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ মো. মনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুর্যোগপূর্ণ এই আবহাওয়ায় শিশুদের ঘর থেকে বের না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেছেন, আকাশে মেঘের যে অবস্থান, তাতে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত