Ajker Patrika

সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ০৩
সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর জিডি

রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন তাঁর ছাত্রী। উত্তরা পশ্চিম থানায় করা জিডিতে ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষতি হবে বলে অভিযুক্ত শিক্ষক ভয় দেখিয়েছেন বলেও দাবি ওই ছাত্রীর।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী। তিনি হলি ফ্যামিলির ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। অভিযোগকারী ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় জিডির পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষকেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আগামী ২ জানুয়ারি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। তবে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, শুরুতে এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে চাইলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে তিনি থানায় জিডি করলে ঘটনার প্রায় ১ বছর পর ওই অভিযোগ আমলে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবকিছু অস্বীকার করে ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তদন্তের মাধ্যমে আসল সত্য উঠে আসবে। সেখানেই সব পরিষ্কার হবে।

জিডিতে ওই ছাত্রী বলেছেন, ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মেসেঞ্জারে তাঁকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেন ডা. সালাউদ্দিন। এতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ফেল করিয়ে একই শিক্ষাবর্ষে আটকে রাখার হুমকিও দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় কলেজে বিভিন্নভাবে ডেকে আলাদাভাবে দেখা করতে বলতেন ওই শিক্ষক। টিউশন পড়ানোর নামে ২ দফায় ২০ হাজার টাকাও নিয়েছেন তিনি। টিউশন পড়তে বারবার বাসায় যেতে বলেছেন। কোনো কিছুতেই রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষক অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে দিনের পর দিন ভয়ভীতি দেখান এবং হুমকি দেন।

ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দৌলতুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৩ ডিসেম্বর তাঁরা ওই ছাত্রীর কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন। কমিটি গঠনের পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে বিষয়টি জানাবেন তারা। এতে কেউ দোষী হলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জিডি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক এস এম সামিউল আলম বলেছেন, তাঁরাও বিষয়টি তদন্ত করছেন। এরই মধ্যে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত