রবিউল আলম, ঢাকা
রাজধানীর বেসরকারি একটি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঈষিকা খান। যিনি পুরান ঢাকার বাসা থেকে নিয়মিত লোকাল বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। স্নাতকের এ সময়ে কলেজে যাতায়াতকালে অন্তত ৩০ বারের বেশি হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ দিন হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের চালকের সহকারীর কটূক্তির শিকার হয়েছেন ঈষিকা। এ ছাড়া একাধিকবার তিনি বিকৃত যৌন ইচ্ছার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত বা কুদৃষ্টির শিকার হয়েছেন।
আজকের পত্রিকাকে ঈষিকা বলেন, ‘প্রায়ই এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এসব বিষয়ে বাসার কাউকে জানাইনি। বাসে একাধিকবার প্রতিবাদও করেছি। তবে প্রতিবাদের সময় আশপাশে খুব কম লোকই সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। এসব ঘটনার পর আমার মন খুবই খারাপ থাকত।’
শুধু ঈষিকা নন, রাজধানী ঢাকায় জীবিকা নির্বাহ, পড়াশোনা অথবা অন্য কাজে বাইরে যাতায়াতের সময় প্রায় ৬৩ শতাংশ নারী নানা হয়রানির শিকার হন বলে আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ঢাকা শহরে গণপরিবহনে হয়রানি: কিশোরী ও তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণাটির ফলাফল তুলে ধরার কথা জানিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন।
১৩ থেকে ৩৫ বছরের ৮০৫ জন তরুণী ও নারীর অংশগ্রহণে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গত ছয় মাসে ৬৩.৪ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী গণপরিবহনে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬.৫ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ১৫.৩ শতাংশ বুলিং, ১৫.২ শতাংশ সামাজিক বৈষম্য, ১৪.৯ শতাংশ লিঙ্গবৈষম্য এবং ৮.২ শতাংশ বডি শেমিংয়ের মতো হয়রানির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গণপরিবহনে সাধারণ যাত্রীরা যৌন হয়রানি করায় এগিয়ে। যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ৭৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের অন্য যাত্রীদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ২০.৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের হেলপার কর্তৃক এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ ছাড়া ৩ শতাংশ হকারের মাধ্যমে এবং ১.৬ শতাংশ চালকের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। গণপরিবহনকে অনিরাপদ করে তোলার পেছনে সবচেয়ে দায়ী হিসেবে সাধারণ যাত্রীদের কথাই উঠে এসেছে।
গবেষণায় গণপরিবহনে কোন ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, সে বিষয়ে ১১.৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, গণপরিবহনে চলাচলের সময় তাঁদের আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করা হয়েছে। ৩০.৮ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন, গণপরিবহনে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও অন্য যাত্রীরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। ইচ্ছাকৃতভাবে হালকাভাবে স্পর্শ করে গেছেন ১৭.৯ শতাংশকে। এ ছাড়া ১৪.২ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কার শিকার হয়েছেন। ১৩.৮ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন, তাঁরা বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন।
হয়রানি প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশন থেকে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হলো গণপরিবহনে যৌন নিপীড়িত নারীর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে উৎসাহী করতে বিশেষ প্রচারণা চালানো; পরিবহনগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন; সিটের পাশে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক বিভিন্ন লিফলেট টাঙানো; সংরক্ষিত আসনসংখ্যা জরুরি ভিত্তিতে বাড়ানো; নারীদের জন্য আলাদা পরিবহনের ব্যবস্থা করা।
রাজধানীর বেসরকারি একটি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঈষিকা খান। যিনি পুরান ঢাকার বাসা থেকে নিয়মিত লোকাল বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। স্নাতকের এ সময়ে কলেজে যাতায়াতকালে অন্তত ৩০ বারের বেশি হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ দিন হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের চালকের সহকারীর কটূক্তির শিকার হয়েছেন ঈষিকা। এ ছাড়া একাধিকবার তিনি বিকৃত যৌন ইচ্ছার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত বা কুদৃষ্টির শিকার হয়েছেন।
আজকের পত্রিকাকে ঈষিকা বলেন, ‘প্রায়ই এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এসব বিষয়ে বাসার কাউকে জানাইনি। বাসে একাধিকবার প্রতিবাদও করেছি। তবে প্রতিবাদের সময় আশপাশে খুব কম লোকই সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। এসব ঘটনার পর আমার মন খুবই খারাপ থাকত।’
শুধু ঈষিকা নন, রাজধানী ঢাকায় জীবিকা নির্বাহ, পড়াশোনা অথবা অন্য কাজে বাইরে যাতায়াতের সময় প্রায় ৬৩ শতাংশ নারী নানা হয়রানির শিকার হন বলে আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ঢাকা শহরে গণপরিবহনে হয়রানি: কিশোরী ও তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণাটির ফলাফল তুলে ধরার কথা জানিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন।
১৩ থেকে ৩৫ বছরের ৮০৫ জন তরুণী ও নারীর অংশগ্রহণে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গত ছয় মাসে ৬৩.৪ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী গণপরিবহনে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬.৫ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ১৫.৩ শতাংশ বুলিং, ১৫.২ শতাংশ সামাজিক বৈষম্য, ১৪.৯ শতাংশ লিঙ্গবৈষম্য এবং ৮.২ শতাংশ বডি শেমিংয়ের মতো হয়রানির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গণপরিবহনে সাধারণ যাত্রীরা যৌন হয়রানি করায় এগিয়ে। যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ৭৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের অন্য যাত্রীদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ২০.৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের হেলপার কর্তৃক এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ ছাড়া ৩ শতাংশ হকারের মাধ্যমে এবং ১.৬ শতাংশ চালকের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। গণপরিবহনকে অনিরাপদ করে তোলার পেছনে সবচেয়ে দায়ী হিসেবে সাধারণ যাত্রীদের কথাই উঠে এসেছে।
গবেষণায় গণপরিবহনে কোন ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, সে বিষয়ে ১১.৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, গণপরিবহনে চলাচলের সময় তাঁদের আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করা হয়েছে। ৩০.৮ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন, গণপরিবহনে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও অন্য যাত্রীরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। ইচ্ছাকৃতভাবে হালকাভাবে স্পর্শ করে গেছেন ১৭.৯ শতাংশকে। এ ছাড়া ১৪.২ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কার শিকার হয়েছেন। ১৩.৮ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন, তাঁরা বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন।
হয়রানি প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশন থেকে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হলো গণপরিবহনে যৌন নিপীড়িত নারীর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে উৎসাহী করতে বিশেষ প্রচারণা চালানো; পরিবহনগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন; সিটের পাশে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক বিভিন্ন লিফলেট টাঙানো; সংরক্ষিত আসনসংখ্যা জরুরি ভিত্তিতে বাড়ানো; নারীদের জন্য আলাদা পরিবহনের ব্যবস্থা করা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪