মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের ২৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তিন বছর আগে স্থাপন করা হয় কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস তথ্য বোর্ড। কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, কৃষক ও কৃষিবিষয়ক আবহাওয়ার তথ্য সহজলভ্য করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোর্ডগুলো স্থাপন করে। তবে স্থাপনের পর থেকেই অকার্যকর বোর্ডগুলো। সেখানে নিয়মিত আবহাওয়া তথ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এতে সেবাবঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্যোগের পূর্বাভাস না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন ইউপিতে এসব বোর্ড স্থাপন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জের এই তিন হাওর উপজেলায়ও বোর্ড স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া পরামর্শ সেবা সহজলভ্য করার কথা থাকলেও কৃষকের কোনো কাজে আসেনি উদ্যোগটি। ব্যবহারের অভাবে পড়ে থাকা কোনো কোনো ইউনিয়নের বোর্ডগুলো এখন ধ্বংসপ্রায়। দেওঘর ও অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নে বোর্ডের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইটনা সদর ইউনিয়নে ব্যবহারের অভাবে পরিত্যক্ত রয়েছে বোর্ডটি। আবার কোথাও কোথাও বোর্ড দেখে গেলেও তথ্য হালনাগাদ করা হয় না সেখানে।
সরেজমিনে জানা যায়, ইউনিয়নভিত্তিক কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে স্থাপিত বোর্ডে গত ৩ দিন ও আগামী ৩ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্যাদি নিয়মিত লিপিবদ্ধ করার কথা। সেটা করা হলে পূর্বাভাস জেনে কৃষকেরা জমি চাষ করে ভালো ফলন ও প্রাকৃতিক ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম হতো। ফলে কৃষি খাত ও কৃষকের উন্নয়ন কম বাধাগ্রস্ত হতো।
মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কৃষক খোকন মিয়া (৪৫) জানান, জমি চাষ করতে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়। আবহাওয়া তথ্যগুলো যদি ইউনিয়ন পরিষদে থাকত, তাহলে আমরা সহজে পেতাম। চাষবাদে ক্ষতির আশঙ্কা কম হতো।
ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রফুল্ল দাস (৬০) বলেন, ‘সরকার কৃষকের উন্নতি করতে কত জিনিসপত্র দেয়, চিন্তা করে, পরামর্শ দেয়। কিন্তু কতটা আমরা কাজে লাগে, তা কি সরকার জানে?’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই বোর্ডের মাধ্যমে নদ-নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছানো হয়। এ তথ্য সংগ্রহের উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারে ‘ডিএই’ সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ ছাড়া তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, ঝড়ের পূর্বাভাসসহ নানা রকম আবহাওয়া তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার দাস বলেন, সরকারি অর্থ ব্যয় করে এসব তথ্য বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু বোর্ড ব্যবহারে পরিষদের সামনে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহা. আব্দুল মতিন বলেন, ‘কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ডটি কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষি যেহেতু আবহাওয়া নির্ভরশীল তাই, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকের চাষাবাদে সহায়ক হবে। আমাদের উপজেলায় বোর্ডগুলো সক্রিয় করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের ২৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তিন বছর আগে স্থাপন করা হয় কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস তথ্য বোর্ড। কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, কৃষক ও কৃষিবিষয়ক আবহাওয়ার তথ্য সহজলভ্য করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোর্ডগুলো স্থাপন করে। তবে স্থাপনের পর থেকেই অকার্যকর বোর্ডগুলো। সেখানে নিয়মিত আবহাওয়া তথ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এতে সেবাবঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্যোগের পূর্বাভাস না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন ইউপিতে এসব বোর্ড স্থাপন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জের এই তিন হাওর উপজেলায়ও বোর্ড স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া পরামর্শ সেবা সহজলভ্য করার কথা থাকলেও কৃষকের কোনো কাজে আসেনি উদ্যোগটি। ব্যবহারের অভাবে পড়ে থাকা কোনো কোনো ইউনিয়নের বোর্ডগুলো এখন ধ্বংসপ্রায়। দেওঘর ও অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নে বোর্ডের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইটনা সদর ইউনিয়নে ব্যবহারের অভাবে পরিত্যক্ত রয়েছে বোর্ডটি। আবার কোথাও কোথাও বোর্ড দেখে গেলেও তথ্য হালনাগাদ করা হয় না সেখানে।
সরেজমিনে জানা যায়, ইউনিয়নভিত্তিক কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে স্থাপিত বোর্ডে গত ৩ দিন ও আগামী ৩ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্যাদি নিয়মিত লিপিবদ্ধ করার কথা। সেটা করা হলে পূর্বাভাস জেনে কৃষকেরা জমি চাষ করে ভালো ফলন ও প্রাকৃতিক ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম হতো। ফলে কৃষি খাত ও কৃষকের উন্নয়ন কম বাধাগ্রস্ত হতো।
মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কৃষক খোকন মিয়া (৪৫) জানান, জমি চাষ করতে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়। আবহাওয়া তথ্যগুলো যদি ইউনিয়ন পরিষদে থাকত, তাহলে আমরা সহজে পেতাম। চাষবাদে ক্ষতির আশঙ্কা কম হতো।
ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রফুল্ল দাস (৬০) বলেন, ‘সরকার কৃষকের উন্নতি করতে কত জিনিসপত্র দেয়, চিন্তা করে, পরামর্শ দেয়। কিন্তু কতটা আমরা কাজে লাগে, তা কি সরকার জানে?’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই বোর্ডের মাধ্যমে নদ-নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছানো হয়। এ তথ্য সংগ্রহের উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারে ‘ডিএই’ সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ ছাড়া তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, ঝড়ের পূর্বাভাসসহ নানা রকম আবহাওয়া তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার দাস বলেন, সরকারি অর্থ ব্যয় করে এসব তথ্য বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু বোর্ড ব্যবহারে পরিষদের সামনে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহা. আব্দুল মতিন বলেন, ‘কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ডটি কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষি যেহেতু আবহাওয়া নির্ভরশীল তাই, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকের চাষাবাদে সহায়ক হবে। আমাদের উপজেলায় বোর্ডগুলো সক্রিয় করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪