Ajker Patrika

পর্যটক বরণে প্রস্তুতি শঙ্কা জাগাচ্ছে বর্ষা

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২২, ১৫: ০৭
পর্যটক বরণে প্রস্তুতি  শঙ্কা জাগাচ্ছে বর্ষা

ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত বান্দরবান। ইতিমধ্যে পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রাকৃতিক ও কিছু নান্দনিকভাবে গড়ে তোলা পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুম ও পদ্মা সেতু ঘিরে মানুষের আগ্রহের প্রভাব বান্দরবানের পর্যটন খাতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বান্দরবানে পাহাড়-পর্বত ছাড়াও এখানে রয়েছে অসংখ্য ঝিরি-ঝরনা। মেঘলার লেক, স্বর্ণমন্দির, নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীল দিগন্ত, প্রান্তিক লেক, বগা লেক, কেওক্রাডং, তাজিংডংসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছেন এখানে। এসব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়।

জেলা প্রশাসন পরিচালিত শহরের কাছে অবস্থিত নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের ইনচার্জ আদীব বড়ুয়া বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বিপুল পর্যটকের আগমন আশা করছি। তবে বর্ষা মৌসুমের কারণে পর্যটক কম আসার শঙ্কাও রয়েছে।’

বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সদস্য ও হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো. জাফর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রুম বুকিং আশানুরূপ নয়। আগামী ১২ ও ১৩ জুলাইয়ের জন্য হোটেলে ৮-৯টি রুম বুকিং হয়েছে। হোটেলে নিয়মিত যাঁরা আসতেন, তাঁদের অনেকেই এবার পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন। নতুন উন্মাদনা পদ্মা সেতুর কারণে এবার বান্দরবানে পর্যটক কম আসতে পারে।’

পর্যটনকেন্দ্রিক মাহেন্দ্রচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিগত সময়ে ঈদের আগে অনেকে গাড়ি বুকিং দিলেও এবার এখনো কেউ গাড়ি বুকিং দেননি।’

বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, ‘সমিতির আওতায় জেলার ৮০টির মতো হোটেল-রিসোর্টের মধ্যে জেলা শহরে ৬০টির মতো রয়েছে। এবারও ঈদের ছুটিতে পর্যটকের উপস্থিতি আশা করছি।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান অঞ্চলের পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, ‘পর্যটকেরা যাতে বান্দরবান জেলায় নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে।’

এদিকে হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরে সমিতির আওতায় ৫৮টি হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে। এতে প্রায় ৬ হাজার মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারবে।

বিপুলসংখ্যক পর্যটক বহনের জন্য ৬ শতাধিক জিপ-মাইক্রো-মাহিন্দ্র থাকলেও ঈদের বিপুলসংখ্যক পর্যটক বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন। এবার গাড়ি আরও বেড়েছে।

বান্দরবান জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম‍্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান বলেন, ‘ভ্রমণপিপাসুরা বান্দরবানে ভিড় জমান। প্রাকৃতিক ও নান্দনিকভাবে গড়ে তোলা পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য তাঁদের আকৃষ্ট করে। তবে তাঁরা নিরাপত্তা চান।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত