ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
রাঙামাটি জেলায় সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে এক সময় কাপ্তাই উপজেলাকে বিবেচনা করা হতো। অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও এখানে সবচেয়ে জমজমাট ছিল সিনেমা হলগুলো। কিন্তু গত ৩৪ বছরে এই উপজেলার ৭টি সিনেমা হলই বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে উপজেলা কোনো সিনেমা হলই আর চালু নেই। ফলে বিনোদন আয়োজনে চর্চায় পিছিয়ে পড়ছে কাপ্তাই।
স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীরা জানান, গত শতকের নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত জেলার সবচেয়ে উন্নয়নশীল এলাকা ছিল কাপ্তাই উপজেলা। তখন উপজেলায় ৭-৮টি সিনেমা হল ছিল। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয় ছিল। বছরজুড়েই এসব সংগঠনের উদ্যোগে কোনো না কোনো অনুষ্ঠান চলত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে একে বিনোদনের সব মাধ্যমই বন্ধ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা থাকা ‘অলিম্পিয়া’ সিনেমা হল বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অঙ্গনে প্রথম আঘাত আসে। ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত ‘লোটাস’ সিনেমা হলটি। এর পর ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা এলাকার কর্ণফুলী পেপার মিলের (কেপিএম) আওতাধীন ‘চান্দিমা’ সিনেমা হল। প্রায় এক যুগ বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে সিনেমা হলটি পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু দর্শকের অভাবে এক মাসের মাথায় হলটি আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ১৯৯৯ সালে বিধ্বস্ত হওয়া বাঙ্গালহালিয়ার ‘শান্ত’ সিনেমা হলটি আর চালু করা হয়নি। ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালী এলাকার ‘ঊর্মি’ সিনেমা হল। এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিঙ্গাছড়ি এলাকার ‘বজ্রঙ্গনা’ সিনেমা হলটি।
সর্বশেষ ২০০৬ সালের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত ‘বনলতা’ সিনেমা হলটি। এর পর দীর্ঘ দেড় দশক অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এই সিনেমা হল চালানোর আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সিনেমা হল বন্ধের পেছনে আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ম্য আর দর্শকের অভাবকে সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে দেখানো হয়েছে।
উপজেলার প্রবীণ নাট্যজন ইসমাইল ফরিদ বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের বদৌলতে মোবাইলের মাধ্যমে এখন হাতে হাতে নতুন ছবিগুলো চলে আসে। তাই মফস্বল এলাকার সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার সময় কোথায়?’ তিনি আরও বলেন, হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা। যা মোবাইলে অথবা টিভিতে দেখে পাওয়া যায় না।
কাপ্তাই সংগীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ বাউল শিল্পী রফিক আশেকী জানান, ‘আমার শিশুকাল, যৌবন কাল, বেড়ে ওঠা, সবই কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকা। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কাপ্তাই অলিম্পিয়া, নতুনবাজার বনলতা সিনেমা হলে কত ছবি দেখেছি! আজ সব স্মৃতি সব অতীত।’
কাপ্তাই বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব জানান, ‘এক সময় বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে সপ্তাহে দুইবার সিনেমা হলে যেতাম। সে সময় প্রেক্ষাগৃহে ভালোমানের সামাজিক ছবি প্রদর্শিত হতো। দর্শকে হল ভরে যেত। কিন্তু বর্তমানে ভালো মানের ছবির অভাব। ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ক্যাব্ল নেটওয়ার্কের প্রভাবে কাপ্তাইয়ের সমস্ত হল বন্ধ হয়ে গেছে।’
সংস্কৃতিকর্মীরা বলছেন, বিনোদনের অন্যতম উপাদান সিনেমা হলগুলো যদি আবারও চালু করা যেত, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতরা আবারও এই বিনিয়োগে উৎসাহ পেতেন। এজন্য সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা রাখা হবে।
এদিকে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা হল চালু করতে ঋণ তহবিলের আগ্রহের কথা জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, কাপ্তাইয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালুর ব্যাপারের কোনো হল মালিক তাঁর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেননি।
রাঙামাটি জেলায় সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে এক সময় কাপ্তাই উপজেলাকে বিবেচনা করা হতো। অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও এখানে সবচেয়ে জমজমাট ছিল সিনেমা হলগুলো। কিন্তু গত ৩৪ বছরে এই উপজেলার ৭টি সিনেমা হলই বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে উপজেলা কোনো সিনেমা হলই আর চালু নেই। ফলে বিনোদন আয়োজনে চর্চায় পিছিয়ে পড়ছে কাপ্তাই।
স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীরা জানান, গত শতকের নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত জেলার সবচেয়ে উন্নয়নশীল এলাকা ছিল কাপ্তাই উপজেলা। তখন উপজেলায় ৭-৮টি সিনেমা হল ছিল। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয় ছিল। বছরজুড়েই এসব সংগঠনের উদ্যোগে কোনো না কোনো অনুষ্ঠান চলত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে একে বিনোদনের সব মাধ্যমই বন্ধ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা থাকা ‘অলিম্পিয়া’ সিনেমা হল বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অঙ্গনে প্রথম আঘাত আসে। ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত ‘লোটাস’ সিনেমা হলটি। এর পর ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা এলাকার কর্ণফুলী পেপার মিলের (কেপিএম) আওতাধীন ‘চান্দিমা’ সিনেমা হল। প্রায় এক যুগ বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে সিনেমা হলটি পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু দর্শকের অভাবে এক মাসের মাথায় হলটি আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ১৯৯৯ সালে বিধ্বস্ত হওয়া বাঙ্গালহালিয়ার ‘শান্ত’ সিনেমা হলটি আর চালু করা হয়নি। ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালী এলাকার ‘ঊর্মি’ সিনেমা হল। এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিঙ্গাছড়ি এলাকার ‘বজ্রঙ্গনা’ সিনেমা হলটি।
সর্বশেষ ২০০৬ সালের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত ‘বনলতা’ সিনেমা হলটি। এর পর দীর্ঘ দেড় দশক অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এই সিনেমা হল চালানোর আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সিনেমা হল বন্ধের পেছনে আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ম্য আর দর্শকের অভাবকে সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে দেখানো হয়েছে।
উপজেলার প্রবীণ নাট্যজন ইসমাইল ফরিদ বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের বদৌলতে মোবাইলের মাধ্যমে এখন হাতে হাতে নতুন ছবিগুলো চলে আসে। তাই মফস্বল এলাকার সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার সময় কোথায়?’ তিনি আরও বলেন, হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা। যা মোবাইলে অথবা টিভিতে দেখে পাওয়া যায় না।
কাপ্তাই সংগীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ বাউল শিল্পী রফিক আশেকী জানান, ‘আমার শিশুকাল, যৌবন কাল, বেড়ে ওঠা, সবই কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকা। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কাপ্তাই অলিম্পিয়া, নতুনবাজার বনলতা সিনেমা হলে কত ছবি দেখেছি! আজ সব স্মৃতি সব অতীত।’
কাপ্তাই বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব জানান, ‘এক সময় বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে সপ্তাহে দুইবার সিনেমা হলে যেতাম। সে সময় প্রেক্ষাগৃহে ভালোমানের সামাজিক ছবি প্রদর্শিত হতো। দর্শকে হল ভরে যেত। কিন্তু বর্তমানে ভালো মানের ছবির অভাব। ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ক্যাব্ল নেটওয়ার্কের প্রভাবে কাপ্তাইয়ের সমস্ত হল বন্ধ হয়ে গেছে।’
সংস্কৃতিকর্মীরা বলছেন, বিনোদনের অন্যতম উপাদান সিনেমা হলগুলো যদি আবারও চালু করা যেত, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতরা আবারও এই বিনিয়োগে উৎসাহ পেতেন। এজন্য সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা রাখা হবে।
এদিকে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা হল চালু করতে ঋণ তহবিলের আগ্রহের কথা জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, কাপ্তাইয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালুর ব্যাপারের কোনো হল মালিক তাঁর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেননি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪