Ajker Patrika

বালুর ভুয়া কাজ দেখিয়ে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, ১০: ৫৩
বালুর ভুয়া কাজ দেখিয়ে   ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে গুলশানে অফিস নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল-তাকদীর। হাজার কোটি টাকার ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে পণ্য সরবরাহকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই ছিল প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য। কাজের চুক্তির নামে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আল-তাকদীরের কর্ণধার আলমগীর হোসাইন।

সর্বশেষ সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে ব্রিজ প্রজেক্টে ৩০০ কোটি সিএফটি বালু সরবরাহের ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছে বলে প্রচারণা চালায় আলমগীরের ওই প্রতিষ্ঠান। বালু দেওয়ার জন্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে ভুয়া চুক্তি করে কমিশন হিসেবে ৩৫-৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন। তিনি জানান, গত ৮ মার্চ রাজধানীর গুলশান থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলগাঁও ও গুলশান এলাকা থেকে মূলহোতা আলমগীর হোসাইনসহ (৪৮) মো. শফিকুল ইসলাম (৪৬) ও মো. ইমরান হোসাইনকে (৪৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের কপি, সাপ্লায়ারদের সঙ্গে চুক্তিপত্রের কপি ও একটি ১০ কোটি টাকা কাবিনের ফটোকপি জব্দ করা হয়।

ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, প্রতারক আলমগীর আগ্রহী সাপ্লায়ারদের জানিয়েছেন, প্রতি সিএফটি বালুতে ১০ টাকা লাভ হবে। এমন আশ্বাসে সাপ্লায়ারদের একেকজনকে দুই কোটি থেকে বিশ কোটি সিএফটি বালু ভরাটের কাজ সাব-কন্ট্রাক্টে দেওয়ার চুক্তি করেন আলমগীর। আর এই চুক্তির কমিশন হিসেবে সাত থেকে ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন।

ইমাম জানান, প্রতারক আলমগীরের বাড়ি সাতক্ষীরার সদর থানায়। গুলশানে অফিস নিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে অফিসের জাঁকজমকপূর্ণ ডেকোরেশন করেন।

সিআইডি জানায়, প্রতারক আলমগীর বহুমাত্রিক প্রতারক। দুই হাজার কোটি টাকার এলসি ভাঙিয়ে ১২০০ কোটি টাকা ক্যাশ করার চেষ্টা করেন তিনি। এ জন্য ব্যবহার করেন সালমা সুলতানা সুইটি ওরফে কনা নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে। পরে আলমগীর তাঁর প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে ব্যাংকার সালমা সুলতানা সুইটি ওরফে কনাকে ১০ কোটি টাকার কাবিন দিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু এলসি না হওয়ায় সালমাকে ডিভোর্সও দেন তিনি।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রতারক আলমগীর নিজেকে সাবেক সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাঁর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রতারিত হয়েছেন সাড়ে তিন শ মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পালানোর গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরলেন আবদুল হামিদ

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

এআই যুগে চাকরি পেতে যে দক্ষতা লাগবেই, জানালেন মাইক্রোসফটের সিইও

ঈদের ছুটির সুযোগে মাদ্রাসার গাছ বেচে দিলেন সুপার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত