রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির রামগড়ে স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ থেমে আছে। সীমান্তে ভূমি জটিলতা ও নকশার অনুমোদন না মেলায় এখনো পুরোদমে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ, সীমান্তরক্ষী, জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দর নির্মাণের অনুমোদন দেয় সরকার। এর পাঁচ বছর পর গত বছরের নভেম্বরে স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণকাজ পুরোদমে করার ঘোষণা দেন স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর।
ঘোষণা অনুযায়ী, স্থালবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের একটি যাত্রী টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ভবনের ভেতরই বিজিবি চেক পোস্ট, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য কার্যালয় থাকবে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেমে একই ভবনে সব ধরনের চেকিং সম্পন্ন করে বহির্গমন ও প্রবেশ করবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া মালামাল সংরক্ষণের জন্য আধুনিক ওয়ারহাউস, কোল্ডস্টোরেজ, লোড, আন-লোডের ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, স্ক্যানিং ও প্যাকেজিং ও সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকবে। পরে ভারতের ২০০টি এবং বাংলাদেশের ১০০টি ট্রাকের পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে।
রামগড় ৪৩ বিজিবির জোন কমান্ডার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ারুল মাজহার বলেন, ‘মূলত সীমান্ত জটিলতায় বন্দরের অবকাঠামোর নির্মাণকাজ কিছুটা থমকে আছে।
ন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থাপনা তৈরি করতে হলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) দিয়ে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছ থেকে নকশার অনুমোদন নেয়নি। ফলে স্থলবন্দর ঘোষণার পাঁচ বছর পরও শুরু হয়নি এর নির্মাণকাজ।’ তবে তিনি জানিয়েছেন নকশা অনুমোদন হলে কাজ শুরু হতে দেরি হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম সীমান্তের ফেনী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ নানা লক্ষ্য সামনে রেখে মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ অংশে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করার কথা রামগড় স্থলবন্দর। ২০১৭ সালে সরকার এর অনুমোদন দেওয়ার পর প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ বন্দর নির্মাণের কাজ।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরও বন্দরের অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। করোনা পরিস্থিতি, ভূমি জটিলতা ও দুই দেশের সীমান্তবর্তী জায়গায় নির্মাণকাজ হওয়ায় বন্দরের নকশা অনুমোদনের জন্য দফায় দফায় বিজিবি, বিএসএফের পতাকা বৈঠক করতে হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে। আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।’ ভূমি জটিলতা মিটলে দ্রুত বন্দরে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১ এর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে মনিকো লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রামগড় স্থলবন্দরের কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু করলেও কিছু জটিলতায় পুরোদমে তা শুরু করা যাচ্ছে না। বন্দরটিতে চারতলা টার্মিনাল ও পোর্টভবন নির্মাণসহ নানা অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মোট দুই পর্যায়ে শেষ হবে বন্দরের কাজ। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ১০ একর ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করেছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের ভূমি উন্নয়নসহ সব অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হবে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ থেমে আছে। সীমান্তে ভূমি জটিলতা ও নকশার অনুমোদন না মেলায় এখনো পুরোদমে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ, সীমান্তরক্ষী, জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দর নির্মাণের অনুমোদন দেয় সরকার। এর পাঁচ বছর পর গত বছরের নভেম্বরে স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণকাজ পুরোদমে করার ঘোষণা দেন স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর।
ঘোষণা অনুযায়ী, স্থালবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের একটি যাত্রী টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ভবনের ভেতরই বিজিবি চেক পোস্ট, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য কার্যালয় থাকবে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেমে একই ভবনে সব ধরনের চেকিং সম্পন্ন করে বহির্গমন ও প্রবেশ করবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া মালামাল সংরক্ষণের জন্য আধুনিক ওয়ারহাউস, কোল্ডস্টোরেজ, লোড, আন-লোডের ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, স্ক্যানিং ও প্যাকেজিং ও সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকবে। পরে ভারতের ২০০টি এবং বাংলাদেশের ১০০টি ট্রাকের পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে।
রামগড় ৪৩ বিজিবির জোন কমান্ডার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ারুল মাজহার বলেন, ‘মূলত সীমান্ত জটিলতায় বন্দরের অবকাঠামোর নির্মাণকাজ কিছুটা থমকে আছে।
ন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থাপনা তৈরি করতে হলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) দিয়ে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছ থেকে নকশার অনুমোদন নেয়নি। ফলে স্থলবন্দর ঘোষণার পাঁচ বছর পরও শুরু হয়নি এর নির্মাণকাজ।’ তবে তিনি জানিয়েছেন নকশা অনুমোদন হলে কাজ শুরু হতে দেরি হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম সীমান্তের ফেনী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ নানা লক্ষ্য সামনে রেখে মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ অংশে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করার কথা রামগড় স্থলবন্দর। ২০১৭ সালে সরকার এর অনুমোদন দেওয়ার পর প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ বন্দর নির্মাণের কাজ।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরও বন্দরের অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। করোনা পরিস্থিতি, ভূমি জটিলতা ও দুই দেশের সীমান্তবর্তী জায়গায় নির্মাণকাজ হওয়ায় বন্দরের নকশা অনুমোদনের জন্য দফায় দফায় বিজিবি, বিএসএফের পতাকা বৈঠক করতে হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে। আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।’ ভূমি জটিলতা মিটলে দ্রুত বন্দরে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১ এর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে মনিকো লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রামগড় স্থলবন্দরের কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু করলেও কিছু জটিলতায় পুরোদমে তা শুরু করা যাচ্ছে না। বন্দরটিতে চারতলা টার্মিনাল ও পোর্টভবন নির্মাণসহ নানা অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মোট দুই পর্যায়ে শেষ হবে বন্দরের কাজ। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ১০ একর ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করেছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের ভূমি উন্নয়নসহ সব অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হবে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৪ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪