পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরে পাকা সড়কের অভাবে ছয় গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাতায়াতের এই সমস্যার কারণে এলাকায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। এই গ্রামের লোকজনের বর্ষাকালে নৌকাতে ও শুষ্ক মৌসুমে সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময়ও অনেক বেশি লাগে।
উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হলেও এখনো এমন বেশ কিছু গ্রাম রয়ে গেছে, যেখানে পাকা রাস্তার অভাবে হয়নি উন্নয়নের ছোঁয়া। চাটমোহরের নিমাইচড়া, ছাইকোলা ও হান্ডিয়াল ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রাম উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নবীন গ্রাম থেকে শুরু করে চরনবীন, লাঙ্গলমোড়া, বরদানগর, বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর-করকোলা হয়ে মির্জাপুর অভিমুখী প্রায় ১০ কিলোমিটার গ্রামীণ উঁচু-নিচু কাঁচা সড়কের কোথাও হয়নি পিচের সড়ক। এ ১০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এক থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা এইচবিবিকরণ হলেও বাকি সড়কটি এখনো কাঁচা।
লাঙ্গলমোড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবলুর রহমান বলেন, প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার কোথাও পাকা হয়নি। যৎসামান্য রাস্তা এইচবিবিকরণ করা হলেও তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাক কিছুই চলাচল করে না। পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, এ এলাকার মধ্যে চরনবীন হামিদা মমতাজ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চরনবীন মাদ্রাসা, লাঙ্গলমোড়া উচ্চবিদ্যালয়, বরদানগর মাদ্রাসা, বিলচলন উচ্চবিদ্যালয়সহ বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে শত শত শিক্ষার্থীকে পায়ে হেঁটে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে কষ্ট করে পায়ে হেঁটে কোনোরকমে যাতায়াত করলেও বছরের প্রায় ছয় মাস রাস্তাটি কর্দমাক্ত থাকে। তখন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্টে হাট, বাজার, উপজেলা সদরসহ গন্তব্যে যাতায়াত করতে হয়। এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি পাকা করা জরুরি।
নবীন গ্রামের আরমান হোসেন বলেন, গ্রামে চলার মতো কোনো রাস্তা নেই। যে কাঁচা রাস্তা আছে, বর্ষাকালে সেটিও ডুবে যায়। তখন নৌকাই হয় চলাচলের একমাত্র ভরসা। কয়েক মাস আগে বাঁশের বাঁখারিতে করে অবর্ণনীয় কষ্টে এক রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু রাস্তা হয়নি।
চরনবীন হামিদা মমতাজ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন বলেন, গুমানী নদীর পাড়ের এই এলাকার রাস্তার উন্নয়নে না হওয়ায় তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আসছে না। পাকা রাস্তা না থাকায় অনেক সময় রোগীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি পাকাকরণসহ বরদানগর ও বিন্যাড়ি খেয়াঘাটে অন্তত দুটি সেতু নির্মাণের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ছাইকোলা থেকে মির্জাপুর জিসি রোড ভায়া বরদানগর-লাঙ্গলমোড়া রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। তবে এ রাস্তা এখনো প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলে তখন হয়তো রাস্তাটি করা সম্ভব হতে পারে। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তার নদীর পশ্চিম পাড়ে ছাইকোলা গ্রামের মধ্যে দেড় কিলোমিটার বেশ আগেই পাকাকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকাগুলো উন্নয়নের আওতায় আনতে কাজ করছেন তাঁরা।
পাবনার চাটমোহরে পাকা সড়কের অভাবে ছয় গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাতায়াতের এই সমস্যার কারণে এলাকায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। এই গ্রামের লোকজনের বর্ষাকালে নৌকাতে ও শুষ্ক মৌসুমে সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময়ও অনেক বেশি লাগে।
উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হলেও এখনো এমন বেশ কিছু গ্রাম রয়ে গেছে, যেখানে পাকা রাস্তার অভাবে হয়নি উন্নয়নের ছোঁয়া। চাটমোহরের নিমাইচড়া, ছাইকোলা ও হান্ডিয়াল ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রাম উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নবীন গ্রাম থেকে শুরু করে চরনবীন, লাঙ্গলমোড়া, বরদানগর, বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর-করকোলা হয়ে মির্জাপুর অভিমুখী প্রায় ১০ কিলোমিটার গ্রামীণ উঁচু-নিচু কাঁচা সড়কের কোথাও হয়নি পিচের সড়ক। এ ১০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এক থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা এইচবিবিকরণ হলেও বাকি সড়কটি এখনো কাঁচা।
লাঙ্গলমোড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবলুর রহমান বলেন, প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার কোথাও পাকা হয়নি। যৎসামান্য রাস্তা এইচবিবিকরণ করা হলেও তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাক কিছুই চলাচল করে না। পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, এ এলাকার মধ্যে চরনবীন হামিদা মমতাজ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চরনবীন মাদ্রাসা, লাঙ্গলমোড়া উচ্চবিদ্যালয়, বরদানগর মাদ্রাসা, বিলচলন উচ্চবিদ্যালয়সহ বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে শত শত শিক্ষার্থীকে পায়ে হেঁটে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে কষ্ট করে পায়ে হেঁটে কোনোরকমে যাতায়াত করলেও বছরের প্রায় ছয় মাস রাস্তাটি কর্দমাক্ত থাকে। তখন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্টে হাট, বাজার, উপজেলা সদরসহ গন্তব্যে যাতায়াত করতে হয়। এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি পাকা করা জরুরি।
নবীন গ্রামের আরমান হোসেন বলেন, গ্রামে চলার মতো কোনো রাস্তা নেই। যে কাঁচা রাস্তা আছে, বর্ষাকালে সেটিও ডুবে যায়। তখন নৌকাই হয় চলাচলের একমাত্র ভরসা। কয়েক মাস আগে বাঁশের বাঁখারিতে করে অবর্ণনীয় কষ্টে এক রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু রাস্তা হয়নি।
চরনবীন হামিদা মমতাজ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন বলেন, গুমানী নদীর পাড়ের এই এলাকার রাস্তার উন্নয়নে না হওয়ায় তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আসছে না। পাকা রাস্তা না থাকায় অনেক সময় রোগীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি পাকাকরণসহ বরদানগর ও বিন্যাড়ি খেয়াঘাটে অন্তত দুটি সেতু নির্মাণের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ছাইকোলা থেকে মির্জাপুর জিসি রোড ভায়া বরদানগর-লাঙ্গলমোড়া রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। তবে এ রাস্তা এখনো প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলে তখন হয়তো রাস্তাটি করা সম্ভব হতে পারে। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তার নদীর পশ্চিম পাড়ে ছাইকোলা গ্রামের মধ্যে দেড় কিলোমিটার বেশ আগেই পাকাকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকাগুলো উন্নয়নের আওতায় আনতে কাজ করছেন তাঁরা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫