Ajker Patrika

উদ্বোধন হতে না হতেই ধস

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ২১
উদ্বোধন হতে না হতেই ধস

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় উদ্বোধনের কয়েক দিনের মধ্যেই সড়কে ধস নেমেছে। তা ছাড়া দুই পাশে নির্মাণ করা হয়নি হাঁটার জায়গাও। এ সড়কে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গত রোববার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল সড়কটি উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর বাজার ভায়া আদর্শগ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার অংশে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ টাকা ব্যয়ে সড়কের নির্মাণকাজ পায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মেসার্স দুর্গা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ২৬ মে। কার্যাদেশে নির্মাণকাজ শেষ করার উল্লেখ থাকে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই মাটি সরে গিয়ে সড়কের দুপাশে ধসে যাচ্ছে। এর ফলে অর্ধশতাধিক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন পুরো সড়ক না দেখিয়ে নাপিতেরচর বাজারে সড়কটির নামফলক সাঁটিয়ে গত রোববার ধর্মপ্রতিমন্ত্রী সাংসদ (ইসলামপুর আসন) ফরিদুল হক খান দুলালকে দিয়ে সড়কের উদ্বোধন করে নিয়েছে।

এ সড়কে দত্তপাড়া, মরাবন, আদর্শগ্রাম, ডাকপাড়া এলাকা থেকে গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চবিদ্যালয়, নাপিতেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোবারকগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।

আক্রাম হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, যেভাবে সড়কের কাজ হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে নির্মাণকাজ না করেই ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে সড়কটি উদ্বোধন করে নিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।

কিসমত আলী নামে আরেকজন বলেন, সড়কের নির্মাণকাজ শেষ না হতেই দুপাশের মাটি সরে গিয়ে ধসে যাচ্ছে। ভাঙাচোরা সড়কই উদ্বোধন করা হয়েছে।

নরম উদ্দিন নামে আরেকজন বলেন, ‘আমরা সড়কের ফুটপাত নির্মাণ করতে ঠিকাদারের লোকজনকে অনেকবার বলেছি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা শোনেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী সরকার বলেন, ‘সড়কের দুপাশে নির্মাণ করা হয়নি ফুটপাত। কাছ থেকে মাটি কাটায় ক্রমেই সড়ক ভাঙছে। ধসে পড়ছে ইট-খোয়া। সড়কের এ অবস্থা আমিসহ এলাকার অনেকেই ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল মহোদয়কে অবগত করেছি।’

সড়কের নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দুর্গা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শ্যামল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমি নিজে সড়কের নির্মাণকাজ করিনি। দ্বিতীয় পক্ষের কাছে সড়কের নির্মাণকাজটি চুক্তিতে দিয়েছি। সে কারণে সড়ক নির্মাণে ভুলত্রুটি থাকতে পারে। আমি খোঁজখবর নিয়ে সড়কটি ঠিকঠাক করে দেব।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, ‘সড়কটিতে ধস দেখা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে খোঁজখবর নেব। সড়কে যদি ধস দেখতে পাই, তবে সড়কটি ঠিকঠাক করে না দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত