রাকিবুল হাসান রবিন
উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনাম জগৎজুড়ে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকায় ফান্ড পাওয়া সবচেয়ে সহজ। আর পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বেশি। এ কারণে অনেকেই বিভিন্ন কনসালট্যান্সি ফার্মের শরণাপন্ন হন। এ ক্ষেত্রে ফার্মের পরিবর্তে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে খোঁজ করা এবং সংশ্লিষ্ট প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে নিজে নিজেই ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব।
উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি সময়সাপেক্ষ। ফলে অনেক শিক্ষার্থী দ্রুত হতাশ হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে দ্রুত হতাশ হওয়া যাবে না। সাধারণত যেসব বিষয় প্রধান, যেমন রেজাল্ট, আইইএলটিএস স্কোর, জিআরই স্কোর, এসওপি (স্টেটম্যান্ট অব পারপাস), রিকমেন্ডেশন লেটার, গবেষণাপত্র প্রভৃতি বিষয়ে পরিকল্পনামাফিক গুরুত্ব দিতে হবে। আর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকে। সেখান থেকেও পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব।
মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেশি
গুরুত্বপূর্ণ না
আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসির রেজাল্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক, প্রাইভেট বা ন্যাশনাল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী যে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। করোনাভাইরাসের কারণে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জিআরই স্কোর মওকুফ করা হয়েছে। ফলে এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। এ ছাড়া আইইএলটিএস, টোফেলের পাশাপাশি ডিউ লিংগো পরীক্ষাও দেওয়া যায়। ডিউ লিংগো তুলনামূলক সহজ হওয়ায় এ পরীক্ষায় ভালো করা সহজ।
পিএইচডি প্রোগ্রামে বেশি ফান্ড
আমেরিকায় মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করা যায়। তবে অনার্স ছাড়াও বিশেষত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। কারণ অনেক বিভাগে মাস্টার্সের পরিবর্তে পিএইচডি প্রোগ্রামে বেশি ফান্ড থাকে।
আবেদন শুরু করার সময়
আমেরিকায় প্রতিবছর তিনটি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সেশন তিনটি হলো ফল, স্প্রিং, সামার। তিন সেশনে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সামার সেশন মে মাসে শুরু হয়। তবে সামার সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ সেশনে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকে। মূলত ফল ও স্প্রিং সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ফল সেশন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সেশনে ভর্তির জন্য সবচেয়ে বেশি ফান্ড পাওয়া যায়। প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফল সেশনের ক্লাস শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে এক বছর আগে থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন শুরু হয়। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ভর্তির আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্চ, এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। জানুয়ারি মাস থেকে স্প্রিং সেশনের ক্লাস শুরু হয়। তবে স্প্রিং সেশনের জন্য তিন থেকে চার মাস আগে ভর্তির আবেদন করলেই হয়।
বৃত্তির জন্য প্রয়োজন
আমেরিকা, কানাডাসহ উন্নত দেশগুলোয় পড়াশোনার খরচ বেশি। এই ব্যয় মেটানো সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ওই সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বৃত্তি দেওয়া হয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই বৃত্তির বিস্তারিত তথ্য ও আবেদন-প্রক্রিয়া বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। সাধারণত আবেদনকারীর রেজাল্ট, আইইএলটিএস ও জিআরই স্কোর, গবেষণার অভিজ্ঞতা, ইন্টার্নশিপ বা পেশাদার কাজের অভিজ্ঞতা প্রভৃতি বিষয় বৃত্তির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
তবে রেজাল্ট খারাপ হলেও বৃত্তি পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে রেজাল্ট ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে ভালো করলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আবার অনেকে ফুল ফান্ড না পেলেও টিউশন ফি মুওকফ পান। সে ক্ষেত্রে আমেরিকায় থাকা-খাওয়ার খরচ মেটানোর সামর্থ্য থাকলেই যাওয়া উত্তম। তবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন চাকরি, টিচিং অ্যাসিস্ট্যানশিপ (টিএ) প্রভৃতির মাধ্যমেও পড়াশোনার খরচ মেটানো সম্ভব।
বিস্তারিত ajkerpatrika.com-এ।
অনুলিখন: রাকিবুল হাসান রবিন
উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনাম জগৎজুড়ে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকায় ফান্ড পাওয়া সবচেয়ে সহজ। আর পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বেশি। এ কারণে অনেকেই বিভিন্ন কনসালট্যান্সি ফার্মের শরণাপন্ন হন। এ ক্ষেত্রে ফার্মের পরিবর্তে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে খোঁজ করা এবং সংশ্লিষ্ট প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে নিজে নিজেই ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব।
উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি সময়সাপেক্ষ। ফলে অনেক শিক্ষার্থী দ্রুত হতাশ হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে দ্রুত হতাশ হওয়া যাবে না। সাধারণত যেসব বিষয় প্রধান, যেমন রেজাল্ট, আইইএলটিএস স্কোর, জিআরই স্কোর, এসওপি (স্টেটম্যান্ট অব পারপাস), রিকমেন্ডেশন লেটার, গবেষণাপত্র প্রভৃতি বিষয়ে পরিকল্পনামাফিক গুরুত্ব দিতে হবে। আর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকে। সেখান থেকেও পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব।
মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেশি
গুরুত্বপূর্ণ না
আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসির রেজাল্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক, প্রাইভেট বা ন্যাশনাল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী যে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। করোনাভাইরাসের কারণে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জিআরই স্কোর মওকুফ করা হয়েছে। ফলে এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। এ ছাড়া আইইএলটিএস, টোফেলের পাশাপাশি ডিউ লিংগো পরীক্ষাও দেওয়া যায়। ডিউ লিংগো তুলনামূলক সহজ হওয়ায় এ পরীক্ষায় ভালো করা সহজ।
পিএইচডি প্রোগ্রামে বেশি ফান্ড
আমেরিকায় মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করা যায়। তবে অনার্স ছাড়াও বিশেষত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। কারণ অনেক বিভাগে মাস্টার্সের পরিবর্তে পিএইচডি প্রোগ্রামে বেশি ফান্ড থাকে।
আবেদন শুরু করার সময়
আমেরিকায় প্রতিবছর তিনটি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সেশন তিনটি হলো ফল, স্প্রিং, সামার। তিন সেশনে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সামার সেশন মে মাসে শুরু হয়। তবে সামার সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ সেশনে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকে। মূলত ফল ও স্প্রিং সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ফল সেশন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সেশনে ভর্তির জন্য সবচেয়ে বেশি ফান্ড পাওয়া যায়। প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফল সেশনের ক্লাস শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে এক বছর আগে থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন শুরু হয়। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ভর্তির আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্চ, এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। জানুয়ারি মাস থেকে স্প্রিং সেশনের ক্লাস শুরু হয়। তবে স্প্রিং সেশনের জন্য তিন থেকে চার মাস আগে ভর্তির আবেদন করলেই হয়।
বৃত্তির জন্য প্রয়োজন
আমেরিকা, কানাডাসহ উন্নত দেশগুলোয় পড়াশোনার খরচ বেশি। এই ব্যয় মেটানো সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ওই সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বৃত্তি দেওয়া হয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই বৃত্তির বিস্তারিত তথ্য ও আবেদন-প্রক্রিয়া বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। সাধারণত আবেদনকারীর রেজাল্ট, আইইএলটিএস ও জিআরই স্কোর, গবেষণার অভিজ্ঞতা, ইন্টার্নশিপ বা পেশাদার কাজের অভিজ্ঞতা প্রভৃতি বিষয় বৃত্তির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
তবে রেজাল্ট খারাপ হলেও বৃত্তি পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে রেজাল্ট ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে ভালো করলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আবার অনেকে ফুল ফান্ড না পেলেও টিউশন ফি মুওকফ পান। সে ক্ষেত্রে আমেরিকায় থাকা-খাওয়ার খরচ মেটানোর সামর্থ্য থাকলেই যাওয়া উত্তম। তবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন চাকরি, টিচিং অ্যাসিস্ট্যানশিপ (টিএ) প্রভৃতির মাধ্যমেও পড়াশোনার খরচ মেটানো সম্ভব।
বিস্তারিত ajkerpatrika.com-এ।
অনুলিখন: রাকিবুল হাসান রবিন
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫