কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের পর নাগরিকত্ব পেতে অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা অনলাইনে নাগরিকত্বের আবেদন করবেন, তাঁদের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষে থেকে সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটি।
১৯ এপ্রিল দেশটির লোকসভার ভোট শুরুর আগে নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে তোড়জোড় শুরু করল বিজেপি সরকার। দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন লোকসভা ভোট চলাকালেই যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন করবেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েও যাবেন।
গত ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকর করে। এর পর থেকে নানা রাজ্যে নানা ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। এরপর কলকাতার বিধাননগরে বিজেপির কার্যালয়ে আইটি সেলে কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এই কর্মীরা প্রশিক্ষিত হয়ে জনসাধারণকে নাগরিকত্বের আবেদন করতে সাহায্য করবেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া ও উদ্বাস্তুপ্রধান জেলা নদিয়ার ছয়জন ইতিমধ্যে বিজেপির আইটি সেলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেন কলকাতার বিধাননগরে বিজেপি কার্যালয়ের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্ব।
চেইন প্রক্রিয়ায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিজেপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ শিবিরে রাজ্যের বিজেপির প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা থেকে তিনজন প্রশিক্ষণ নেবেন। সেই তিনজন প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে প্রশিক্ষণ দেবেন। তাঁরা আবার মণ্ডল স্তরে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে শেখাবেন। এভাবে একেবারে প্রান্তিক স্তর পর্যন্ত ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষিত কর্মীরা আবেদনে ইচ্ছুক জনসাধারণকে সহায়তা দেবে।
নগরিকত্বের ওই আবেদনপত্রে জানাতে হবে, আবেদনকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের কোন এলাকা থেকে এসেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ উল্লিখিত ৯টি নথির মধ্যে ১টি দিতে হবে। বিজেপির ‘সিএএ স্টেট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি’ সূত্রের দাবি, যাঁদের নথি নেই, তাঁরা স্থানীয় কোনো মন্দিরের পুরোহিত, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের মতো সংগঠনের শংসাপত্রও জমা দিতে পারেন।
বিজেপির এই উদ্যোগ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ও অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নেতা মমতা ঠাকুর। তিনি দাবি করেছেন, নাগরিকত্বের আবেদন করা মানেই বেনাগরিক হয়ে যাওয়া। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড বাতিল হবে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
যদিও বিজেপি নেতা সৌভিক চক্রবর্তী বলেছেন, নথি না থাকলেও কোনো হিন্দুর নাগরিকত্ব বাতিল হবে না। আইনেই বলা আছে, আবেদনকারীকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
যাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড—সবই আছে, তাঁরা আবেদন জানাতে যাবেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সৌভিক বলেন, আবেদন জানানো বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু পরে নাগরিকত্ব নিয়ে তাঁদের কোনো সমস্যা হলে সরকার দায় নেবে না।
ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের পর নাগরিকত্ব পেতে অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা অনলাইনে নাগরিকত্বের আবেদন করবেন, তাঁদের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষে থেকে সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটি।
১৯ এপ্রিল দেশটির লোকসভার ভোট শুরুর আগে নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে তোড়জোড় শুরু করল বিজেপি সরকার। দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন লোকসভা ভোট চলাকালেই যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন করবেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েও যাবেন।
গত ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকর করে। এর পর থেকে নানা রাজ্যে নানা ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। এরপর কলকাতার বিধাননগরে বিজেপির কার্যালয়ে আইটি সেলে কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এই কর্মীরা প্রশিক্ষিত হয়ে জনসাধারণকে নাগরিকত্বের আবেদন করতে সাহায্য করবেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া ও উদ্বাস্তুপ্রধান জেলা নদিয়ার ছয়জন ইতিমধ্যে বিজেপির আইটি সেলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেন কলকাতার বিধাননগরে বিজেপি কার্যালয়ের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্ব।
চেইন প্রক্রিয়ায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিজেপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ শিবিরে রাজ্যের বিজেপির প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা থেকে তিনজন প্রশিক্ষণ নেবেন। সেই তিনজন প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে প্রশিক্ষণ দেবেন। তাঁরা আবার মণ্ডল স্তরে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে শেখাবেন। এভাবে একেবারে প্রান্তিক স্তর পর্যন্ত ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষিত কর্মীরা আবেদনে ইচ্ছুক জনসাধারণকে সহায়তা দেবে।
নগরিকত্বের ওই আবেদনপত্রে জানাতে হবে, আবেদনকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের কোন এলাকা থেকে এসেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ উল্লিখিত ৯টি নথির মধ্যে ১টি দিতে হবে। বিজেপির ‘সিএএ স্টেট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি’ সূত্রের দাবি, যাঁদের নথি নেই, তাঁরা স্থানীয় কোনো মন্দিরের পুরোহিত, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের মতো সংগঠনের শংসাপত্রও জমা দিতে পারেন।
বিজেপির এই উদ্যোগ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ও অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নেতা মমতা ঠাকুর। তিনি দাবি করেছেন, নাগরিকত্বের আবেদন করা মানেই বেনাগরিক হয়ে যাওয়া। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড বাতিল হবে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
যদিও বিজেপি নেতা সৌভিক চক্রবর্তী বলেছেন, নথি না থাকলেও কোনো হিন্দুর নাগরিকত্ব বাতিল হবে না। আইনেই বলা আছে, আবেদনকারীকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
যাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড—সবই আছে, তাঁরা আবেদন জানাতে যাবেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সৌভিক বলেন, আবেদন জানানো বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু পরে নাগরিকত্ব নিয়ে তাঁদের কোনো সমস্যা হলে সরকার দায় নেবে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫