Ajker Patrika

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াই দুলাল বিশ্বাসের নেশা

আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ৩১
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াই দুলাল বিশ্বাসের নেশা

ভোটের নেশাই বলা যায়। হ্যাঁ, ভোট এলেই কেমন করে যেন তিনি প্রার্থী হয়ে যান। মেম্বার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কিংবা সংসদ সদস্য পদের নির্বাচন, কিছুই যেন বাদ রাখেননি তিনি। গত ৩৫ বছরে অংশ নেন ছয়টি নির্বাচনে। এতে এক জয় ছাড়া বাকি সব কটিতে টিকেনি জামানত। তবু দমে যাননি মানিকগঞ্জের ঘিওরের দুলাল বিশ্বাস। ফের প্রার্থী হিসেবে হাজির হয়েছেন ঘিওরের নালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে লড়বেন দুলাল। এর আগে ১৯৮৫ সালে নালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মারা যাওয়ায়, উপনির্বাচনে দুলাল প্রথমবার মেম্বার নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ২ বার, মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে তিনবার প্রার্থী হয়ে সব কটিতেই হারেন। এতবার হেরেও নাকি কোনো দুঃখ নেই তাঁর।

আজকের পত্রিকাকে দুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনগণের ভোট না পেলেও আমার আক্ষেপ নাই। কৃষক-মজুর তথা আপামর জনসাধারণের ন্যায্য অধিকার

প্রতিষ্ঠা, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কমপ্লেক্স ভবন ও জমি জটিলতার সমাধান এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতেই আমি আবার প্রার্থী হয়েছি। তা ছাড়া ভোটের হারানো সংস্কৃতি ফেরানোও প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্য।’

নালী ইউনিয়নের ঠাটেঙ্গা গ্রামের মৃত প্রফুল্ল বিশ্বাসের ছেলে দুলাল বিশ্বাস পেশায় কৃষক। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালে। ১৯৭৩ সালে এসএসসি পাস করে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে ভর্তি হলেও পরে আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি দুলাল। ১৯৮২ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টিতে। বর্তমানে সদ্য গঠিত সিপিবির ঘিওর উপজেলার সভাপতি এবং বাংলাদেশ খেত মজুর সমিতির মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। কমরেড দুলাল বিশ্বাস গণমানুষের বিভিন্ন দাবি আন্দোলনের কারণে ১৯৮৭ সালে গ্রেপ্তার হয়ে ৬ মাস হাজতবাস করেন।

স্থানীয় কেল্লাই বাজারের ব্যবসায়ী মো. শোভন বলেন, ‘তাঁর (দুলাল) মতো সৎ মানুষকে জেতাতে না পারাটা আমাদেরই দুর্ভাগ্য।’

জনগণের দাবি পূরণে মাঠে থাকার কারণে এলাকায় নিরহংকার ও সাদা মনের মানুষ হিসেবেও বেশ পরিচিত দুলাল। তারপরও কেন ভোটের মাঠে হার? এই প্রশ্নের জবাবে দুলাল বলেন, ‘আমি তাঁদের (জনগণের) অধিকার নিয়ে কথা বলতে পেরেই খুশি। তাঁদের ইচ্ছা হলে ভোট দেবে। না হলে দেবে না। আমি এসব ভাবি না।’

এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় সরব দেখা গেছে দুলাল বিশ্বাসকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত