Ajker Patrika

সুরঞ্জনের মনে সুখ নেই

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ০৬
সুরঞ্জনের মনে সুখ নেই

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে তৈরি হচ্ছে বাদ্যযন্ত্র হারমোনিয়াম। উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের রমেশ বৈদ্যের ছেলে সুরঞ্জন বৈদ্য এ হারমোনিয়াম তৈরি করছেন। ৩০ বছর ধরে তিনি নিজ হাতে তৈরি করছেন এ বাদ্যযন্ত্র হারমোনিয়াম।

সুরঞ্জন বৈদ্যের তৈরি হারমোনিয়াম ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শোরুমগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাবে এ যন্ত্রটির ক্রেতা কম বলে জানা গেছে। প্রতিটি হারমোনিয়াম তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১১ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৮ হাজার টাকায়।

জানা যায়, হারমোনিয়াম একধরনের বিদেশি বাদ্যযন্ত্র। ১৮৪২ সালে ইউরোপের প্যারিসে আলেকজান্ডার ডেবিয়ান হারমোনিয়াম আবিষ্কার করেন। এর উদ্ভব পাশ্চাত্যে হলেও কালক্রমে প্রাচ্যেও বাদ্যযন্ত্রের তালিকায় বিশেষ স্থান করে নেয়। এ বাদ্যযন্ত্রটি ‘ক্যাবিনেট অর্গান’ নামেও বেশ পরিচিত।

সুরঞ্জন বৈদ্য জানান, যন্ত্রটি দেখতে একটি বাক্সের মতো। বেলোর সাহায্যে ভেতরে বায়ু চালিয়ে যন্ত্রটি চালাতে হয়। এতে একটি রিডবোর্ড থাকে এবং ধাতব রিডগুলি বোর্ডে সপ্তকের অন্তর্গত স্বরস্থান অনুযায়ী ক্রমোচ্চ পদ্ধতিতে সাজানো থাকে। বেলোর সাহায্যে চালিত বায়ু ভেতরে গিয়ে রিডে আঘাত করে এবং তা থেকে ধ্বনি সৃষ্টি হয়। রিডগুলোর ওপরে থাকে সাদা ও কালো রঙের পর্দা। সাদা পর্দাগুলো সাধারণত শুদ্ধ স্বর এবং কালোগুলো কোমল স্বর বোঝায়। তবে স্কেল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য নয়।

সুরঞ্জন বৈদ্য বলেন, ‘করোনায় বাজার মন্দা থাকায় আগের মতো হারমোনিয়াম বিক্রি হয় না। প্রতি মাসে ৮-১০টা হারমোনিয়াম বানানো যায়। ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় শোরুমগুলোতে বিক্রি হয় আমার তৈরি এসব হারমোনিয়াম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত