মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
মুক্তিযুদ্ধকালে তখন চলছিল জ্যৈষ্ঠ মাস। কৃষকেরা পাট ও ধান কেটে উঠানে তুলছিলেন। সেই সময়ের এক দিন পাকিস্তানি বাহিনী কাউনিয়ার ভূতছাড়া, প্রাণনাথ ও ঘুঘুরথান গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামের মানুষ প্রাণে বাঁচার জন্য ঘুঘুরথান জুড়াবান্দা বিল পাড় হয়ে সাধু গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু হায়নার দল বিলে অসংখ্য শিশু ও নারী-পুরুষকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
নির্মম এই ঘটনার স্মরণে স্বাধীনতার পর উপজেলার বালাপাড়া ও কুর্শা ইউনিয়নের একাংশ নিয়ে শহীদবাগ ইউনিয়ন গঠন করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারেরা কাউনিয়ার বিভিন্ন গ্রামে গণধর্ষণ ও হত্যায় মেতে ওঠে। তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ উপজেলার রেললাইন উপড়ে ফেলেন। আর এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে দখলদার বাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় হরিশ্বর গ্রামে হামলা চালায়। এরপর প্রাণনাথ ও ভূতছাড়া গ্রামে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ঘটনায় গ্রামের হাজারো মানুষ পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় হায়নার দল তাঁদের ধরে এনে ঘুঘুরথান মন্দিরের মাঠে এবং জুড়াবান্দা বিলে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি এবং আগুন পুড়িয়ে হত্যা করে।
ঘুঘুরথান গ্রামের বৃদ্ধ সুদর্শন চন্দ্র বর্মণ বলেন, জুড়াবান্দা বিলে অসংখ্য নারী- পুরুষের নিথর দেহ পড়েছিল। এই বিল মুক্তিযুদ্ধকালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
একই এলাকার গুলশান মোড়ের হায়দার আলী জানান, ভূতছাড়া গ্রামে এক দিনে শতাধিক মানুষকে গুলি করে এবং আগুন পুড়িয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। আর শিশুদের আছাড় মেরে হত্যা করেছিল।
ঘুঘুরথান গ্রামের সুবল চন্দ্র জানান, হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত ঘুঘুরথান জুড়াবান্দা বিল বধ্যভূমিটি দীর্ঘদিন অযত্নে আর অবহেলায় পড়েছিল। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির উদ্যোগে এখানে শহীদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ‘একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের নির্বিচার হত্যায় ঘুঘুরথান জুড়াবান্দায় শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।’
মুক্তিযুদ্ধকালে তখন চলছিল জ্যৈষ্ঠ মাস। কৃষকেরা পাট ও ধান কেটে উঠানে তুলছিলেন। সেই সময়ের এক দিন পাকিস্তানি বাহিনী কাউনিয়ার ভূতছাড়া, প্রাণনাথ ও ঘুঘুরথান গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামের মানুষ প্রাণে বাঁচার জন্য ঘুঘুরথান জুড়াবান্দা বিল পাড় হয়ে সাধু গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু হায়নার দল বিলে অসংখ্য শিশু ও নারী-পুরুষকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
নির্মম এই ঘটনার স্মরণে স্বাধীনতার পর উপজেলার বালাপাড়া ও কুর্শা ইউনিয়নের একাংশ নিয়ে শহীদবাগ ইউনিয়ন গঠন করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারেরা কাউনিয়ার বিভিন্ন গ্রামে গণধর্ষণ ও হত্যায় মেতে ওঠে। তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ উপজেলার রেললাইন উপড়ে ফেলেন। আর এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে দখলদার বাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় হরিশ্বর গ্রামে হামলা চালায়। এরপর প্রাণনাথ ও ভূতছাড়া গ্রামে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ঘটনায় গ্রামের হাজারো মানুষ পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় হায়নার দল তাঁদের ধরে এনে ঘুঘুরথান মন্দিরের মাঠে এবং জুড়াবান্দা বিলে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি এবং আগুন পুড়িয়ে হত্যা করে।
ঘুঘুরথান গ্রামের বৃদ্ধ সুদর্শন চন্দ্র বর্মণ বলেন, জুড়াবান্দা বিলে অসংখ্য নারী- পুরুষের নিথর দেহ পড়েছিল। এই বিল মুক্তিযুদ্ধকালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
একই এলাকার গুলশান মোড়ের হায়দার আলী জানান, ভূতছাড়া গ্রামে এক দিনে শতাধিক মানুষকে গুলি করে এবং আগুন পুড়িয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। আর শিশুদের আছাড় মেরে হত্যা করেছিল।
ঘুঘুরথান গ্রামের সুবল চন্দ্র জানান, হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত ঘুঘুরথান জুড়াবান্দা বিল বধ্যভূমিটি দীর্ঘদিন অযত্নে আর অবহেলায় পড়েছিল। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির উদ্যোগে এখানে শহীদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ‘একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের নির্বিচার হত্যায় ঘুঘুরথান জুড়াবান্দায় শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪