জশ ক্লেম ও ইসাবেলা উঙ্কলার
লিবিয়ায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। জাতিসংঘের হিসাবে, দেশটিতে বন্যায় অন্তত ১১ হাজার ৩০০ মানুষ মারা গেছে এবং ১০ হাজারের বেশি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এমনটা যে হবে তা আগেই অনুমান করা হয়েছিল এবং চাইলে প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। আমরা যদি পুরোনো এসব বাঁধের সংস্কার না করি বা ভেঙে না ফেলি, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এসব বাঁধের বেশির ভাগের মেয়াদ বহু আগে শেষ হয়ে গেছে।
বিশ্বের অনেক বাঁধের মতো, লিবিয়ার ওয়াদি দারনা এলাকার বাঁধগুলো সত্তরের দশকে তৈরি। ওই দশকের প্রতিটি বছর বিশ্বে এক হাজারটি করে বড় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন এসব বাঁধের অধিকাংশই আয়ুষ্কালের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লিবিয়ায় বাঁধ ভেঙে পড়ার একটি বড় কারণ মনে হচ্ছে দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ এবং জলাধারগুলোতে দুর্বল পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা। গত বছর এই বাঁধগুলোর ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় এবং সংস্কারের তাগিদ দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সারা বিশ্বে লিবিয়ার মতো একই ধরনের দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। সবচেয়ে বড় বিপদে আছে ভারত ও চীন। এই দুটি দেশের গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত ২৮ হাজার বড় বাঁধ এখন বিলুপ্ত হওয়ার কাছাকাছি। ভারতের কেরালার মুল্লাপেরিয়ার বাঁধটি ১০০ বছরের বেশি পুরোনো। এর অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। কখনো এই বাঁধ ভেঙে গেলে ৩৫ লাখ
মানুষ ভেসে যাবে।
চীনের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় বাঁধ নির্মাণকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সব বাঁধের গড় বয়স ৬৫ বছর এবং আনুমানিক ২ হাজার ২০০টি বাঁধ ধসে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশটিতে এখনো হাজার হাজার বাঁধ রয়েছে, যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের নয় এবং সেগুলো মেরামত করতে আনুমানিক ৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে এসব পুরোনো বাঁধ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁধগুলো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়, যেমনটা সে সময় অনুমান করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু গত এক শতাব্দীতে আবহাওয়ার যে রকম পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে বাঁধগুলো দুর্বল হয়ে ব্যাপক ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।
লিবিয়ায় বিপর্যয়ের আগে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়া ইতিমধ্যেই পুরোনো বাঁধগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০১৭ সালের ভারী বৃষ্টিপাত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বহু পুরোনো ওরোভিল বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কায় সে সময় ওই এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০২১ সালে হিমালয়ের হিমবাহের একটি খণ্ড উত্তর ভারতের একটি বাঁধ একেবারে ধ্বংস করে দেয় এবং আরেকটি বাঁধকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে, মারা যায় কয়েক ডজন মানুষ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার ফলে হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাওয়ায় তা এখন বাঁধ এবং নিচু এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
এখন একমাত্র পথ হলো, যেখানে প্রয়োজন, সেখানে পুরোনো বাঁধ মেরামত করা, জলাধারের মাত্রা নিরীক্ষণ করা, উজান থেকে বৃষ্টিপাত ও পানির বর্ধিত প্রবাহ অনুমান করার চেষ্টা করা। দক্ষিণ আফ্রিকার জাম্বেজি নদীর ওপর কারিবা বাঁধের কথা ধরুন, যেটির তলদেশ মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ার পর ভেঙে পড়া রোধ করার জন্য এখন ব্যাপক মেরামত চলছে। নদীর ওপর এই বাঁধটিকে কোনোমতে টিকিয়ে রাখতে মেরামতের জন্য ব্যয় হবে ৩০ কোটি ডলার। অথচ যেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ইতিমধ্যেই পানির অভাবে কমে গেছে। ভুলে ভরা এসব প্রকল্প ইতিমধ্যে সেকেলে হয়ে পড়েছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে এগুলো টিকিয়ে রাখা ভেঙে ফেলার চেয়ে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
যদিও কিছু পুরোনো বাঁধ এখনো পানীয় জল সরবরাহ করে এবং কৃষকদের তাঁদের খেতে সেচ দিতে সাহায্য করে, কিন্তু সেগুলো আসলে তৈরিই হয়েছিল জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। এটা করতে গিয়ে এর চারপাশে পলি জমিয়ে ফেলা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট খরা গভীরভাবে সারা বিশ্বে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকে বিকল করে দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রাজিলকে বিদ্যুতের রেশনিং ও ব্ল্যাকআউটের দিকে নিয়ে গেছে।
বর্তমানে অনেক বাঁধের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাই কঠিন হয়ে গেছে। এর একটা কারণ, এগুলো সরাতে স্থানীয় বাসিন্দা বা ভূমিপুত্রদের আন্দোলন ক্রমে জোরালো হচ্ছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন-ক্যালিফোর্নিয়া সীমান্তে ক্লামাথ নদীর ওপর চারটি বাঁধ আগামী বছরের মধ্যে সরিয়ে ফেলার বিষয়টি চূড়ান্ত। এখন পর্যন্ত বাঁধ-অপসারণ বিষয়ে এটাই হবে সবচেয়ে বড় ঘটনা।
ইউরোপেও বাঁধ অপসারণ ও নদী পুনরুদ্ধারের কাজ দ্রুতগতিতে হচ্ছে। এর নদীগুলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খণ্ডিত অবস্থায় রয়েছে এবং মিঠাপানির জীববৈচিত্র্যে বড় ধরনের হ্রাস পেয়েছে। নেদারল্যান্ডসের রিভার মিউজ পুনরুদ্ধার প্রকল্প, যার মধ্যে রয়েছে বন্যা এবং খরা মোকাবিলায় প্লাবনভূমি পুনরুদ্ধার করা, এতে এক শতাব্দীতে একবার এবং প্রতি ২৫০ বছরে একবারে চরম প্লাবন হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লিবিয়ার মর্মান্তিক বাঁধ বিপর্যয় সারা বিশ্বের অন্যান্য পুরোনো বাঁধের জন্য একটি সতর্কতা সাইরেন। আমাদের সর্বোত্তম কাজই হলো এগুলো পুরোপুরি অপসারণ করা। যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, ততই মঙ্গল।
জশ ক্লেম ও ইসাবেলা উঙ্কলার, সহপরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল রিভারস, যুক্তরাষ্ট্র
(নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
লিবিয়ায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। জাতিসংঘের হিসাবে, দেশটিতে বন্যায় অন্তত ১১ হাজার ৩০০ মানুষ মারা গেছে এবং ১০ হাজারের বেশি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এমনটা যে হবে তা আগেই অনুমান করা হয়েছিল এবং চাইলে প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। আমরা যদি পুরোনো এসব বাঁধের সংস্কার না করি বা ভেঙে না ফেলি, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এসব বাঁধের বেশির ভাগের মেয়াদ বহু আগে শেষ হয়ে গেছে।
বিশ্বের অনেক বাঁধের মতো, লিবিয়ার ওয়াদি দারনা এলাকার বাঁধগুলো সত্তরের দশকে তৈরি। ওই দশকের প্রতিটি বছর বিশ্বে এক হাজারটি করে বড় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন এসব বাঁধের অধিকাংশই আয়ুষ্কালের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লিবিয়ায় বাঁধ ভেঙে পড়ার একটি বড় কারণ মনে হচ্ছে দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ এবং জলাধারগুলোতে দুর্বল পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা। গত বছর এই বাঁধগুলোর ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় এবং সংস্কারের তাগিদ দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সারা বিশ্বে লিবিয়ার মতো একই ধরনের দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। সবচেয়ে বড় বিপদে আছে ভারত ও চীন। এই দুটি দেশের গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত ২৮ হাজার বড় বাঁধ এখন বিলুপ্ত হওয়ার কাছাকাছি। ভারতের কেরালার মুল্লাপেরিয়ার বাঁধটি ১০০ বছরের বেশি পুরোনো। এর অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। কখনো এই বাঁধ ভেঙে গেলে ৩৫ লাখ
মানুষ ভেসে যাবে।
চীনের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় বাঁধ নির্মাণকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সব বাঁধের গড় বয়স ৬৫ বছর এবং আনুমানিক ২ হাজার ২০০টি বাঁধ ধসে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশটিতে এখনো হাজার হাজার বাঁধ রয়েছে, যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের নয় এবং সেগুলো মেরামত করতে আনুমানিক ৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে এসব পুরোনো বাঁধ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁধগুলো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়, যেমনটা সে সময় অনুমান করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু গত এক শতাব্দীতে আবহাওয়ার যে রকম পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে বাঁধগুলো দুর্বল হয়ে ব্যাপক ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।
লিবিয়ায় বিপর্যয়ের আগে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়া ইতিমধ্যেই পুরোনো বাঁধগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০১৭ সালের ভারী বৃষ্টিপাত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বহু পুরোনো ওরোভিল বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কায় সে সময় ওই এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০২১ সালে হিমালয়ের হিমবাহের একটি খণ্ড উত্তর ভারতের একটি বাঁধ একেবারে ধ্বংস করে দেয় এবং আরেকটি বাঁধকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে, মারা যায় কয়েক ডজন মানুষ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার ফলে হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাওয়ায় তা এখন বাঁধ এবং নিচু এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
এখন একমাত্র পথ হলো, যেখানে প্রয়োজন, সেখানে পুরোনো বাঁধ মেরামত করা, জলাধারের মাত্রা নিরীক্ষণ করা, উজান থেকে বৃষ্টিপাত ও পানির বর্ধিত প্রবাহ অনুমান করার চেষ্টা করা। দক্ষিণ আফ্রিকার জাম্বেজি নদীর ওপর কারিবা বাঁধের কথা ধরুন, যেটির তলদেশ মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ার পর ভেঙে পড়া রোধ করার জন্য এখন ব্যাপক মেরামত চলছে। নদীর ওপর এই বাঁধটিকে কোনোমতে টিকিয়ে রাখতে মেরামতের জন্য ব্যয় হবে ৩০ কোটি ডলার। অথচ যেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ইতিমধ্যেই পানির অভাবে কমে গেছে। ভুলে ভরা এসব প্রকল্প ইতিমধ্যে সেকেলে হয়ে পড়েছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে এগুলো টিকিয়ে রাখা ভেঙে ফেলার চেয়ে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
যদিও কিছু পুরোনো বাঁধ এখনো পানীয় জল সরবরাহ করে এবং কৃষকদের তাঁদের খেতে সেচ দিতে সাহায্য করে, কিন্তু সেগুলো আসলে তৈরিই হয়েছিল জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। এটা করতে গিয়ে এর চারপাশে পলি জমিয়ে ফেলা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট খরা গভীরভাবে সারা বিশ্বে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকে বিকল করে দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রাজিলকে বিদ্যুতের রেশনিং ও ব্ল্যাকআউটের দিকে নিয়ে গেছে।
বর্তমানে অনেক বাঁধের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাই কঠিন হয়ে গেছে। এর একটা কারণ, এগুলো সরাতে স্থানীয় বাসিন্দা বা ভূমিপুত্রদের আন্দোলন ক্রমে জোরালো হচ্ছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন-ক্যালিফোর্নিয়া সীমান্তে ক্লামাথ নদীর ওপর চারটি বাঁধ আগামী বছরের মধ্যে সরিয়ে ফেলার বিষয়টি চূড়ান্ত। এখন পর্যন্ত বাঁধ-অপসারণ বিষয়ে এটাই হবে সবচেয়ে বড় ঘটনা।
ইউরোপেও বাঁধ অপসারণ ও নদী পুনরুদ্ধারের কাজ দ্রুতগতিতে হচ্ছে। এর নদীগুলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খণ্ডিত অবস্থায় রয়েছে এবং মিঠাপানির জীববৈচিত্র্যে বড় ধরনের হ্রাস পেয়েছে। নেদারল্যান্ডসের রিভার মিউজ পুনরুদ্ধার প্রকল্প, যার মধ্যে রয়েছে বন্যা এবং খরা মোকাবিলায় প্লাবনভূমি পুনরুদ্ধার করা, এতে এক শতাব্দীতে একবার এবং প্রতি ২৫০ বছরে একবারে চরম প্লাবন হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লিবিয়ার মর্মান্তিক বাঁধ বিপর্যয় সারা বিশ্বের অন্যান্য পুরোনো বাঁধের জন্য একটি সতর্কতা সাইরেন। আমাদের সর্বোত্তম কাজই হলো এগুলো পুরোপুরি অপসারণ করা। যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, ততই মঙ্গল।
জশ ক্লেম ও ইসাবেলা উঙ্কলার, সহপরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল রিভারস, যুক্তরাষ্ট্র
(নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪