Ajker Patrika

বিনা ভোটে জয়ের পথে ফেনীর আ.লীগ প্রার্থীরা

ফেনী প্রতিনিধি
বিনা ভোটে জয়ের পথে ফেনীর আ.লীগ প্রার্থীরা

ফেনীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত একক প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসানের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল বাশার মজুমদার তপন। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

এরপরই সদস্য প্রার্থী ১ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী ওমর ফারুক, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আবু তালেব জেকব, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল আফছার আপন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে খায়েজ আহাম্মদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুর রহিম মানিক; সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে লায়লা জেসমিন বড়মণি এবং ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহিদা আক্তার শেফালী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না থাকায় তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন বলেন, দল থেকে কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। যেখানে সব ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের, সেখানে অন্য প্রার্থী দিয়ে লাভ নেই।

একই দিন সকালে জেলার সব জনপ্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। শহরের একটি কনভেনশন হলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।

নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে আওয়ামী লীগ যাঁদের মনোনয়ন দিয়েছে, তাঁদের বাইরে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিলে সে মনোনয়নে কোনো জনপ্রতিনিধি প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তাহলে তাঁরা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে ধরা হবে। যদি কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর করে থাকেন, তাহলে নির্বাচন অফিসে গিয়ে আজই (বৃহস্পতিবার) তা প্রত্যাহার করে নিন।’

নিজাম হাজারী আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, জেলা পরিষদের নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কারও ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। সদস্যপদে ১৩১ জন মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন। আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি পছন্দ করে দিতে। সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। আমি জানি, সবাই আমাদের দলের ত্যাগী নেতা-কর্মী; কিন্তু কিছু তো করার নেই। যাকে দেওয়া হয়েছে তাঁর সঙ্গে থেকেই সবাই কাজ করুন।’

তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর ভোটের দিন ধার্য রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৯-২১ সেপ্টেম্বর ও আপিল নিষ্পত্তি ২২-২৪ সেপ্টেম্বর। ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ সময়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন পাটওয়ারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত