Ajker Patrika

শীর্ষ পদ শূন্য ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০২
শীর্ষ পদ শূন্য ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১৪টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও সুপারের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে মারাত্মকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আশানুরূপ ফলাফল করতে পারছে না ওই প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে কমিটি গঠন করতে না পারায় বিভিন্ন জটিলতার কারণে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী অ্যাডহক কমিটি নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করতে না পারায় জটিলতা দেখা দিয়েছে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে। ফলে দাপ্তরিক কাজসহ পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানে চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক নেই সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্রীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মির্জাগঞ্জ দরগাহ শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনোহরখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাবুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভয়াং শরাফতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

সুপার পদ শূন্য রয়েছে চতরা ওলামা মঞ্জিল দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ গাবুয়া হাশেমিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও লেমুয়া চন্দ্রকান্দা আলিম মাদ্রাসা।

অধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে সুবিদখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও কিসমতপুর দেলোয়ার হোসেন কলেজে।

বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সখানাথ রায় বলেন, ‘১০ বছর ধরে বিদ্যালয়ে কোনো কমিটি ছিল না। দুই মাস হয় অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিপত্রের আলোকে অ্যাডহক কমিটি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। ১২ বছর ধরে বিদ্যালয়ে কোনো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নেই।’

কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি না থাকলে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা হয়। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে।’

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠানে কমিটির মেয়াদ শেষ, সেসব প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষা বোর্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করতে পারলে অল্প সময়েই এ জটিলতা নিরসন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত