Ajker Patrika

সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের মানুষ

ইসলামপুর প্রতিনিধি
সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের মানুষ

জামালপুরের ইসলামপুরে দশআনী নদীর ওপর সেতু নির্মিত না হওয়ায় দুই উপজেলার প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। খেয়ানৌকায় নদী পারাপার হতে হয় তাদের। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এই অবস্থায় দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জ এ দুই উপজেলার রশি টানাটানিতে ৫০ বছরেও বোলাকীপাড়া-নয়াপাড়া ঘাটে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। অন্যদিকে উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, খোঁজখবর নিয়ে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার বোলাকীপাড়া এবং বকশীগঞ্জ উপজেলার সাজিমারা-নয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে বয়ে গেছে দশআনী নদী। বোলাকীপাড়া-সাজিমারা-নয়াপাড়া ঘাট দিয়ে খেয়া নৌকায় এই নদী পার হতে হয়। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষ নদী পারাপার করেন। বোলাকীপাড়া, মহলগিরি, সভারচর, কাছিমারচর, বেতমারী, টুংরাপাড়া, গোয়ারপাড়া, নতুন আগুনেরচরসহ আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামের লোকজন প্রতিদিন এই নদী পার হয়ে বকশীগঞ্জের নীলাখিয়া বাজারে কেনাবেচা করেন। এ ছাড়া নীলাখিয়া আর জে পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, অ্যাডভান্সড টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি এম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থীকে পড়ালেখা করতে নদী পার হতে হয়। অন্যদিকে নীলাখিয়া, সাজিমারা, নয়াপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে বোলাকীপাড়া ও নয়াপাড়া এলাকায় কৃষি চাষাবাদ করতে নদী পার হতে হয়।

স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই উপজেলার মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। তাই এখানে সেতু নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বেতমারা গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন এই ঘাট থেকে ছোট্ট খেয়া নৌকায় ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল ও কৃষিপণ্য পারাপার করেন। এতে তাঁদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেতু হলে তা আর থাকবে না।

নীলাখিয়া অ্যাডভান্সড টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি এম কলেজের অধ্যক্ষ রাকিউল করিম বলেন, ‘প্রতিদিন হাজারো মানুষ ছোট্ট খেয়ানৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। এ ছাড়া বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামতউল্লাহ ও শ্রীবর্দী সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নদী পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।’ 
নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছামিদুল হক বলেন, ‘এখানে সেতুর অভাবে নদী পারাপারে আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু সেতু নির্মাণে কারও যেন কোনো খেয়াল নেই।’

গোয়ালেরচর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, ‘সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে শিগগিরই এখানে সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’ 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক আজকের  পত্রিকাকে বলেন, খোঁজখবর নিয়ে সেতু নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত