জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দেশের ব্যাংক খাতে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে ঋণ খেলাপ হয়েছে ২০২২ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বছরটিতে ব্যাংকগুলোয় শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর অব্যবস্থাপনার ফলে বিতরণ করা ঋণ ফেরত আসছে কম। এতে বড় হচ্ছে খেলাপি ঋণের বোঝা। এদেশীয় বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে গত বছরের শেষ প্রান্তিকে মন্দ ঋণ কিছুটা কমলেও পুরো বছরের হিসাবে বেড়েছে খেলাপির পরিমাণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে ঋণস্থিতি ছিল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত বছর (২০২২ সাল) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়। দেশে এখন বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি।
খেলাপি ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যে খেলাপি ঋণের পরিসংখ্যান দিচ্ছে, এটি আসলে আন্তর্জাতিক মানের নয়। কারণ এখানে অনেক তথ্য উল্লেখ করা হয় না। আবার খেলাপি কম দেখাতে অনেক তথ্য যোগ করা হয় না। ঋণ পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন ও ঋণ অবলোপন করার তথ্য দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বিশেষ ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হয় শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখানোর জন্য, যা কখনোই মানসম্পন্ন বলা যাবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণখেলাপি হয়েছে ২০২২ সালে। বছর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অথচ আগের চার বছরের মধ্যে ২০২১ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা এবং ২০২০ সালে ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাক। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ৯০৪ হাজার ৩৩১ কোটি এবং ২০১৮ সালে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ছিল খেলাপির পরিমাণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনা মহামারির সময় ব্যাংকঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ছাড় ও নানা সুবিধা। বছরের শুরুতে তা তুলে নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে খেলাপির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত বছর ঋণের কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ জমা দিলে খেলাপি মুক্তির সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতেও খেলাপি ঋণ না কমায় পরে খেলাপিদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সুবিধার ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে যাঁরা ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়েছেন, তাঁরা কেউ খেলাপি হননি। তারপরও ১ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে অনেক দিন ধরে কাজ চলছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়তি পদক্ষেপ নেবে। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এসব নীতি সহায়তার কারণে খেলাপি ঋণ শেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।’
দেশের ব্যাংক খাতে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে ঋণ খেলাপ হয়েছে ২০২২ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বছরটিতে ব্যাংকগুলোয় শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর অব্যবস্থাপনার ফলে বিতরণ করা ঋণ ফেরত আসছে কম। এতে বড় হচ্ছে খেলাপি ঋণের বোঝা। এদেশীয় বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে গত বছরের শেষ প্রান্তিকে মন্দ ঋণ কিছুটা কমলেও পুরো বছরের হিসাবে বেড়েছে খেলাপির পরিমাণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে ঋণস্থিতি ছিল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত বছর (২০২২ সাল) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়। দেশে এখন বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি।
খেলাপি ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যে খেলাপি ঋণের পরিসংখ্যান দিচ্ছে, এটি আসলে আন্তর্জাতিক মানের নয়। কারণ এখানে অনেক তথ্য উল্লেখ করা হয় না। আবার খেলাপি কম দেখাতে অনেক তথ্য যোগ করা হয় না। ঋণ পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন ও ঋণ অবলোপন করার তথ্য দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বিশেষ ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হয় শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখানোর জন্য, যা কখনোই মানসম্পন্ন বলা যাবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণখেলাপি হয়েছে ২০২২ সালে। বছর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অথচ আগের চার বছরের মধ্যে ২০২১ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা এবং ২০২০ সালে ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাক। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ৯০৪ হাজার ৩৩১ কোটি এবং ২০১৮ সালে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ছিল খেলাপির পরিমাণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনা মহামারির সময় ব্যাংকঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ছাড় ও নানা সুবিধা। বছরের শুরুতে তা তুলে নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে খেলাপির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত বছর ঋণের কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ জমা দিলে খেলাপি মুক্তির সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতেও খেলাপি ঋণ না কমায় পরে খেলাপিদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সুবিধার ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে যাঁরা ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়েছেন, তাঁরা কেউ খেলাপি হননি। তারপরও ১ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে অনেক দিন ধরে কাজ চলছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়তি পদক্ষেপ নেবে। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এসব নীতি সহায়তার কারণে খেলাপি ঋণ শেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫