Ajker Patrika

নদী পারাপারে ভরসা নৌকা

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুন ২০২২, ১৩: ০৭
Thumbnail image

আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধায় সন্ধ্যা নদী পারাপারে কোনো সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকার মাধ্যমে নদী পার হতে হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

উপজেলার পয়সারহাট, বাগধা ও আমবৌলা গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদীর কারণে যোগাযোগের জন্য বাগধা ও আমবৌলা গ্রামের লোকজনকে খেয়ার মাধ্যমেই পার হয় নদীর এপার থেকে ওপারে।

জানা যায়, নদীর পশ্চিম পারে একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ হাটবাজার রয়েছে। তাই নদীর পূর্বপারের শিক্ষার্থীসহ লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হলো খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হওয়া। খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। অন্যদিকে পয়সারহাটে অবস্থিত সেতু ঘুরে যাতায়াতে সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট। তাই ঝুঁকি নিয়ে খেয়ার মাধ্যমেই নদী পার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ পরিস্থিতিতে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর এপার থেকে অন্তত ২৫ জন যাত্রী ওপারে যাওয়ার জন্য খেয়ায় উঠেছেন। এর মধ্যে শিশুসহ ১০ জন ছাত্রীও রয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত নদী পার হয়ে আসছেন এ গ্রামের লোকজন।

বাগধা স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিলি খানম বলে, ‘এখানে খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হতে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা হয়। খেয়ার নৌকায় উঠতে গিয়ে অনেক সময় পড়ে গিয়ে আহত হই এবং সময়মতো খেয়া না পেলে নির্ধারিত সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারি না।’

কলেজছাত্রী মিলির কথার সঙ্গে একমত পোষণ করে একাধিক এলাকাবাসী বলেন, সেতুর অভাবে এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। নদীর এপারে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা এবং অন্য পারে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয় অবস্থিত। তাই দুই পারের বাসিন্দাদেরই সমস্যা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সান্টু সরদার বলেন, ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয় ওপারে হওয়ায় আমাদের প্রতিদিনই সেখানে যেতে হয়। পয়সারহাটে অবস্থিত সেতু ঘুরে যাতায়াতে অনেক সময় লাগে। এ জন্য আমরা খেয়ার মাধ্যমেই নদী পার হয়ে থাকি। নদীতে ভাটার সময় খেয়ার নৌকা কিনারায় না আসাসহ ঝড়বৃষ্টির সময় নৌকায় উঠতে ও নামতে অনেক সমস্যা হয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার জানান, ওখানে (বাগধা খেয়াঘাটে) একটি সেতু নির্মাণের জন্য বরিশাল এলজিইডি কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল এলজিইডি কার্যালয় থেকে ওখানকার মাটি পরীক্ষাসহ সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত