রাঙামাটি ও লংগদু প্রতিনিধি
কঠিন চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরার রং বস্ত্র) দান শুরু হয়েছে রাঙামাটিতে। সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের শিষ্য সংঘের বনবিহারগুলোতে মাসব্যাপী চলবে এ উৎসব। গতকাল বুধবার লংগদু উপজেলার দুলুছড়ি জেতবন বিহারে অনুষ্ঠিত ২১ তম কঠিন চীবর দানোৎসব। পাহাড়ে পাহাড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কঠিন চীবরে রাঙছে বনবিহারগুলো।
বৌদ্ধ শাস্ত্রমতে, তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় আষাঢ়ের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী বা প্রবারণা পূর্ণিমা পর্যন্ত ভিক্ষুরা একই স্থানে বর্ষাযাপন করেন। এ কারণে তাঁদের পরনের বস্ত্র জীর্ণ হয়ে পড়ে। এ দৃশ্য দেখে বুদ্ধের কাছে চীবর দানের অনুমতি প্রার্থনা করেন বিশাখা নামের এক পুণ্যবতী নারী। বুদ্ধ অনুমতি দিলে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোমর তাঁতে বিশেষ বস্ত্র বোনেন বিশাখা। পরে বুদ্ধ ও তাঁর শিষ্যসংঘকে এই চীবর দান করেন।
এ রীতি অনুসরণ করে ১৯৭২ সালে লংগদুতে পরিনির্বাপিত বনভান্তে সর্বপ্রথম কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন। এর পর থেকে এ রীতিতে চীবর দান করে আসছেন পাহাড়ের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা। প্রবারণা পূর্ণিমার দিন থেকে পাহাড়ে কোথাও না কোথাও প্রতিদিন চলে চীবর দান। এতে অংশ নেন হাজারো পুণ্যার্থী। তাঁদের বিশ্বাস, কঠিন এ দানের কারণে সুখ-শান্তি অর্জনের পাশাপাশি পরবর্তী জন্মে সুখ লাভ করা যায়।
যে বিহারে ভিক্ষুরা বর্ষা যাপন করেন, শুধু সেখানে এ চীবর দান করা যায়। এতে কঠিন চীবর ছাড়াও কল্পতরু, বুদ্ধমূর্তি, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান করা হয়। এ দানকে শ্রেষ্ঠ এবং কঠিন দান বলা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর চীবর দান উৎসব হয়নি। তবে এ বছর কেন্দ্রীয় বনবিহার শাখাপ্রধান রাজবন বিহার এ উৎসবের আয়োজন করছে। এ বছর ৯৮টি বনবিহারে চীবর দান হচ্ছে। আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর রাজবন বিহারে ৪৯ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হবে।
বনভান্তে শিষ্য সংঘ ও রাঙামাটির কুতুকছড়ি নির্বাণপুর বন ভাবনাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ জ্যোতিসার মহাস্থবির বলেন, ‘এ দানের মাধ্যমে দুঃখ থেকে মুক্তিলাভ করে পরম সুখ নির্বাণ লাভ করা যায়। দানটি করার জন্য ভক্তরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন। দানটি বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭ নভেম্বর এ ধর্মানুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।’
গতকাল লংদু উপজেলার দুলুছড়ি জেতবন বিহারে চীবর দানোৎসব হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, কঠিন চীবর দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান, আকাশপ্রদীপ উৎসর্গ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিহারে আসা হাজারো বৌদ্ধধর্মাবলম্বী সাধু সাধু ধ্বনিতে ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ মুক্তযৌতি স্থবির ভান্তকে কঠিন চীবর উৎসর্গ করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হেমন্তময় চাকমা।
বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্ম দেশনা দেন শ্রীমৎ পারং ভান্তে, শীল রক্ষীত স্থবীর ভান্তে।
স্বাগত বক্তব্য দেন চীবর দান উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সুচিত্র কুমার কার্বারীসহ অন্য অতিথিরা।
সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটানো হয়।
কঠিন চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরার রং বস্ত্র) দান শুরু হয়েছে রাঙামাটিতে। সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের শিষ্য সংঘের বনবিহারগুলোতে মাসব্যাপী চলবে এ উৎসব। গতকাল বুধবার লংগদু উপজেলার দুলুছড়ি জেতবন বিহারে অনুষ্ঠিত ২১ তম কঠিন চীবর দানোৎসব। পাহাড়ে পাহাড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কঠিন চীবরে রাঙছে বনবিহারগুলো।
বৌদ্ধ শাস্ত্রমতে, তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় আষাঢ়ের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী বা প্রবারণা পূর্ণিমা পর্যন্ত ভিক্ষুরা একই স্থানে বর্ষাযাপন করেন। এ কারণে তাঁদের পরনের বস্ত্র জীর্ণ হয়ে পড়ে। এ দৃশ্য দেখে বুদ্ধের কাছে চীবর দানের অনুমতি প্রার্থনা করেন বিশাখা নামের এক পুণ্যবতী নারী। বুদ্ধ অনুমতি দিলে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোমর তাঁতে বিশেষ বস্ত্র বোনেন বিশাখা। পরে বুদ্ধ ও তাঁর শিষ্যসংঘকে এই চীবর দান করেন।
এ রীতি অনুসরণ করে ১৯৭২ সালে লংগদুতে পরিনির্বাপিত বনভান্তে সর্বপ্রথম কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন। এর পর থেকে এ রীতিতে চীবর দান করে আসছেন পাহাড়ের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা। প্রবারণা পূর্ণিমার দিন থেকে পাহাড়ে কোথাও না কোথাও প্রতিদিন চলে চীবর দান। এতে অংশ নেন হাজারো পুণ্যার্থী। তাঁদের বিশ্বাস, কঠিন এ দানের কারণে সুখ-শান্তি অর্জনের পাশাপাশি পরবর্তী জন্মে সুখ লাভ করা যায়।
যে বিহারে ভিক্ষুরা বর্ষা যাপন করেন, শুধু সেখানে এ চীবর দান করা যায়। এতে কঠিন চীবর ছাড়াও কল্পতরু, বুদ্ধমূর্তি, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান করা হয়। এ দানকে শ্রেষ্ঠ এবং কঠিন দান বলা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর চীবর দান উৎসব হয়নি। তবে এ বছর কেন্দ্রীয় বনবিহার শাখাপ্রধান রাজবন বিহার এ উৎসবের আয়োজন করছে। এ বছর ৯৮টি বনবিহারে চীবর দান হচ্ছে। আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর রাজবন বিহারে ৪৯ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হবে।
বনভান্তে শিষ্য সংঘ ও রাঙামাটির কুতুকছড়ি নির্বাণপুর বন ভাবনাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ জ্যোতিসার মহাস্থবির বলেন, ‘এ দানের মাধ্যমে দুঃখ থেকে মুক্তিলাভ করে পরম সুখ নির্বাণ লাভ করা যায়। দানটি করার জন্য ভক্তরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন। দানটি বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭ নভেম্বর এ ধর্মানুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।’
গতকাল লংদু উপজেলার দুলুছড়ি জেতবন বিহারে চীবর দানোৎসব হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, কঠিন চীবর দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান, আকাশপ্রদীপ উৎসর্গ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিহারে আসা হাজারো বৌদ্ধধর্মাবলম্বী সাধু সাধু ধ্বনিতে ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ মুক্তযৌতি স্থবির ভান্তকে কঠিন চীবর উৎসর্গ করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হেমন্তময় চাকমা।
বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্ম দেশনা দেন শ্রীমৎ পারং ভান্তে, শীল রক্ষীত স্থবীর ভান্তে।
স্বাগত বক্তব্য দেন চীবর দান উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সুচিত্র কুমার কার্বারীসহ অন্য অতিথিরা।
সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটানো হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪