আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে চট্টগ্রাম বিভাগের সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার রাতে সিত্রাং চলে যাওয়ার পর নোয়াখালী, হাতিয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার স্পষ্ট হয়েছে ক্ষতচিহ্ন।
ঝড়ে গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে প্রাণহানি, কয়েক হাজার বসতঘর বিধ্বস্ত, বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে নোনাপানি, কোথাও আমন ও শীতকালীন নানান সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু তোলার কাজে নিয়োজিত আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। কক্সবাজারের সৈকতেও তাণ্ডব চালিয়েছে সিত্রাং।
প্রবল ঢেউয়ে সৈকতে পুনরায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ কৃষি দপ্তর। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে নোয়াখালীর তিনটি উপকূলীয় উপজেলাসহ মোট পাঁচটি উপজেলায় অন্তত দেড় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উচ্চ জোয়ারে মেঘনা নদীতে হেলে পড়েছে একটি আশ্রয়কেন্দ্র। গাছ পড়ে মারা গেছে সানজিদা আফ্রিদী নামের এক বছরের শিশু। জোয়ারের পানিতে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ। তবে গতকাল বিকেল থেকে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বাতাসে জেলার হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (গতকাল বিকেল ৪টা) জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এতে মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস বন্ধ হয়ে যায়। বিপর্যয় দেখা দিয়েছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। এতে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের নয়টি ওয়ার্ড, নলচিরা, হরনী, চানন্দী, চরকিং, চরঈশ্বর, বুড়িরচর, তমরদ্দি ও সোনাদিয়া ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল জোয়ারে প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ওই এলাকাগুলোর লাখ লাখ মানুষ। বেশি বিপাকে পড়েছেন বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা পরিবারগুলোর লোকজন।
এদিকে সোমবার রাতের প্রচণ্ড জোয়ারে ভেঙে হেলে পড়েছে হরনী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তি সমাজ আশ্রয়কেন্দ্রটি।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরবাটা গ্রামের হাবিবিয়া এলাকায় বসতঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে এক বছর বয়সী শিশু সানজিদা আফ্রিদী নিহত হয়। এ সময় তার মাসহ আরও দুজন আহত হন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানান, প্রাথমিকভাবে ২৭০টি কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত ও এক হাজার ৩৩টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হওয়ার প্রাথমিক খবর তাঁরা পেয়েছেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় এলাকা চরএলাহী, চরফকিরা, মুছাপুর ও চরহাজারী ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরহাজারী, চরপার্বতী, চরকাঁকড়া, সিরাজপুর ও রামপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু অংশ। চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ১৫০ পরিবার অতিরিক্ত জোয়ারে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজারে সৈকতে ভাঙন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সাগর উত্তাল থাকায় সৈকত তীরের বিভিন্ন অংশে ভাঙন তীব্র হয়েছে। জোয়ারের সঙ্গে বিভিন্ন বর্জ্য এসে সৈকতের বালিয়াড়ি ভরে গেছে। গতকাল সকাল থেকে জেলা প্রশাসন বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে।
ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের লাবণী পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কলাতলি ও সিগাল পয়েন্ট। এসব স্থানে বালিয়াড়ি একেবারে বিলীন হয়ে সাগরে মিশে গেছে। বিধ্বস্ত সৈকতের বেশির ভাগ জায়গায় পর্যটকদের বেড়ানোর অবস্থাও নেই।
সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী ওয়ালিউর রহমান বলেন, ঝড়ে সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তীরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখে যাচ্ছে। ভ্রমণের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাবণী পয়েন্টের জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ের সামনে ভাঙন ঠেকাতে বসানো জিও টিউব ব্যাগ ছিঁড়ে সাগরে মিশে গেছে। পাশের বিজিবির উর্মি রেস্তোরাঁ ও আর্মি ওয়েলফেয়ার রেস্টহাউসের সামনে বালিয়াড়ি একেবারে বিলীন হয়ে গেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলোচ্ছ্বাসে সৈকতের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সৈকতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, উখিয়া ও সদর উপজেলার কিছু অংশ এবং কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়ায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে। জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব মতে, জেলার ৪৭টি ইউনিয়ন ও চার পৌরসভার দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. জাহিদ ইকবাল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিরূপণ করা হয়নি। প্রাথমিক হিসাবে জেলার ৪৭টি ইউনিয়ন ও চার পৌরসভায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক এবং ১৪ শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরির দ্বীপ ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে মেরিন ড্রাইভের কিছু কিছু অংশে ভাঙন ধরেছে। বিশেষ করে সাবরাং ইউনিয়নের শ্মশান এলাকায় মেরিন ড্রাইভের ভাঙন তীব্র হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে চট্টগ্রাম বিভাগের সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার রাতে সিত্রাং চলে যাওয়ার পর নোয়াখালী, হাতিয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার স্পষ্ট হয়েছে ক্ষতচিহ্ন।
ঝড়ে গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে প্রাণহানি, কয়েক হাজার বসতঘর বিধ্বস্ত, বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে নোনাপানি, কোথাও আমন ও শীতকালীন নানান সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু তোলার কাজে নিয়োজিত আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। কক্সবাজারের সৈকতেও তাণ্ডব চালিয়েছে সিত্রাং।
প্রবল ঢেউয়ে সৈকতে পুনরায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ কৃষি দপ্তর। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে নোয়াখালীর তিনটি উপকূলীয় উপজেলাসহ মোট পাঁচটি উপজেলায় অন্তত দেড় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উচ্চ জোয়ারে মেঘনা নদীতে হেলে পড়েছে একটি আশ্রয়কেন্দ্র। গাছ পড়ে মারা গেছে সানজিদা আফ্রিদী নামের এক বছরের শিশু। জোয়ারের পানিতে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ। তবে গতকাল বিকেল থেকে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বাতাসে জেলার হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (গতকাল বিকেল ৪টা) জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এতে মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস বন্ধ হয়ে যায়। বিপর্যয় দেখা দিয়েছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। এতে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের নয়টি ওয়ার্ড, নলচিরা, হরনী, চানন্দী, চরকিং, চরঈশ্বর, বুড়িরচর, তমরদ্দি ও সোনাদিয়া ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল জোয়ারে প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ওই এলাকাগুলোর লাখ লাখ মানুষ। বেশি বিপাকে পড়েছেন বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা পরিবারগুলোর লোকজন।
এদিকে সোমবার রাতের প্রচণ্ড জোয়ারে ভেঙে হেলে পড়েছে হরনী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তি সমাজ আশ্রয়কেন্দ্রটি।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরবাটা গ্রামের হাবিবিয়া এলাকায় বসতঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে এক বছর বয়সী শিশু সানজিদা আফ্রিদী নিহত হয়। এ সময় তার মাসহ আরও দুজন আহত হন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানান, প্রাথমিকভাবে ২৭০টি কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত ও এক হাজার ৩৩টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হওয়ার প্রাথমিক খবর তাঁরা পেয়েছেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় এলাকা চরএলাহী, চরফকিরা, মুছাপুর ও চরহাজারী ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরহাজারী, চরপার্বতী, চরকাঁকড়া, সিরাজপুর ও রামপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু অংশ। চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ১৫০ পরিবার অতিরিক্ত জোয়ারে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজারে সৈকতে ভাঙন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সাগর উত্তাল থাকায় সৈকত তীরের বিভিন্ন অংশে ভাঙন তীব্র হয়েছে। জোয়ারের সঙ্গে বিভিন্ন বর্জ্য এসে সৈকতের বালিয়াড়ি ভরে গেছে। গতকাল সকাল থেকে জেলা প্রশাসন বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে।
ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের লাবণী পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কলাতলি ও সিগাল পয়েন্ট। এসব স্থানে বালিয়াড়ি একেবারে বিলীন হয়ে সাগরে মিশে গেছে। বিধ্বস্ত সৈকতের বেশির ভাগ জায়গায় পর্যটকদের বেড়ানোর অবস্থাও নেই।
সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী ওয়ালিউর রহমান বলেন, ঝড়ে সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তীরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখে যাচ্ছে। ভ্রমণের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাবণী পয়েন্টের জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ের সামনে ভাঙন ঠেকাতে বসানো জিও টিউব ব্যাগ ছিঁড়ে সাগরে মিশে গেছে। পাশের বিজিবির উর্মি রেস্তোরাঁ ও আর্মি ওয়েলফেয়ার রেস্টহাউসের সামনে বালিয়াড়ি একেবারে বিলীন হয়ে গেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলোচ্ছ্বাসে সৈকতের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সৈকতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, উখিয়া ও সদর উপজেলার কিছু অংশ এবং কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়ায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে। জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব মতে, জেলার ৪৭টি ইউনিয়ন ও চার পৌরসভার দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. জাহিদ ইকবাল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিরূপণ করা হয়নি। প্রাথমিক হিসাবে জেলার ৪৭টি ইউনিয়ন ও চার পৌরসভায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক এবং ১৪ শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরির দ্বীপ ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে মেরিন ড্রাইভের কিছু কিছু অংশে ভাঙন ধরেছে। বিশেষ করে সাবরাং ইউনিয়নের শ্মশান এলাকায় মেরিন ড্রাইভের ভাঙন তীব্র হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪